ব্যাডমিন্টনে মজেও অন্বেষা মেধা তালিকায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
পঞ্চম শ্রেণি থেকেই স্কুলে প্রথম সে। কিন্তু মাধ্যমিকে মেধা তালিকায় ঠাঁই পাবে তার নাম, কল্পনাও করেনি বর্ধমান শহরের বিদ্যার্থীভবন গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী অন্বেষা সোহরাব। যুগ্ম ভাবে সম্ভাব্য দশম স্থান পাওয়া অন্বেষা তাই স্কুলে মার্কশিট আনতে গিয়ে খবর পাওয়ার পরে বন্দি হল সহপাঠীদের হাতে। ৬৭১ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হওয়া
|
অন্বেষা সোহরাব। |
অন্বেষা জানায়, টেস্ট পরীক্ষায় পেয়েছিল ৬৭৫। চার নম্বর কম পাওয়ায় সামান্য আফশোস তার থাকছেই। দিনে ছ’সাত ঘণ্টা পড়াশোনার পাশাপাশি নিয়মিত আশাপূর্ণা দেবী, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ে ডুবে থাকত সে, জানায় অন্বেষা। তার বাবা শেখ সোহরাবউদ্দিন শহরের পশু হাসপাতালের চিকিৎসক। মা তাহেরা খাতুন শ্যামসুন্দর গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। বাবা-মায়ের কাছে পড়া বুঝে নেওয়া ছাড়াও ছ’জন গৃহশিক্ষকের কাছে পড়ত সে। বইয়ে বুঁদ হয়ে থাকা ছাড়া ক্রিকেট ও ব্যাডমিন্টনেও যথেষ্ট উৎসাহ বাহির সর্বমঙ্গলা পাড়ার নজরুলপল্লির এই কিশোরীর। নিয়মিত টিভিতে খেলা দেখে সে। প্রিয় খেলোয়াড় ব্যাডমিন্টনের সাইনা নেহাওয়াল। প্রিয় গায়িকা কৌশিকী দেশিকান। অন্বেষা জানায়, বড় হয়ে সে শিশু বিশেষজ্ঞ হতে চায়। তার বাবা-মা বলেন, “মেয়ে যা চাইবে তা-ই পড়তে দেব।” তার প্রধান শিক্ষিকা কৃষ্ণা মুখোপাধ্যায় বলেন, “ওকে ঘিরে আশা ছিলই। লেখাপড়ার পাশাপশি সে আবৃত্তি, বিতর্ক ও ক্যুইজে যোগ দিয়েও বারবার পুরস্কার পেয়েছে।”
|
বধূর দেহ উদ্ধার
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাটোয়া |
সকালে দোতলা মাটির বাড়ির খড়ের চাল দিয়ে ধোঁয়া বেরোতে দেখে পড়শিরা আগুন নেভাতে যান। ঘণ্টাখানেক পরে দোতলার ঘরে গিয়ে দেখা গেল, দগ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ওই বাড়ির বধূ সুকরানা বিবি (২৪)। সোমবার কাটোয়ার খাজুরডিহির নতুনগ্রামের ঘটনা। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা ওই মহিলাকে মৃত বলে জানান। পুলিশ জানায়, ওই বধূকে হাসপাতালে আনার সময়ে শ্বশুরবাড়ির কেউ ছিলেন না। ছ’বছর আগে করজগ্রামের সুকরানার সঙ্গে ইয়ারুল মল্লিকের বিয়ে হয়। তাঁদের পাঁচ বছরের একটি মেয়ে ও তিন বছরের একটি ছেলে আছে।
|
ছাত্রীর অপমৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • পূর্বস্থলী |
অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক ছাত্রীর। পুলিশ জানিয়েছে, প্রিয়াঙ্কা রায় (১৬) নামে ওই ছাত্রীর বাড়ি পূর্বস্থলী ২ ব্লকের নিমদহ এলাকায়। সে এ বার বিশ্বরম্ভা বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে দাদুর বাড়িতে দিয়েছিল সে। তখন তার কাছে খবর যায়, সে তৃতীয় বিভাগে পাশ করেছে। তার প্রাপ্ত নম্বর ২৭২। পুলিশ সূত্রে খবর, এর পর বাড়ির দোতলায় একটি সিলিং ফ্যানে শাড়ি জড়িয়ে মৃত্যু হয় তার। জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ মির্জা বলেন, “প্রাথমিক অনুমান, ফল খারাপ হওয়ায় সে আত্মঘাতী হয়েছে।”
|
ধর্ষণের নালিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • মঙ্গলকোট |
ধর্ষণের অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার দুপুরে মঙ্গলকোটের রঘুনাথপুর গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানায়, ধৃত মিতন মাঝি, সিদ্ধেশ্বর মাঝি ও বুদ্ধদেব বাগের বাড়ি আউশগ্রামের গোবিন্দপুর ডাঙাল গ্রামে। তারা রঘুনাথপুর গ্রামে গুল তৈরির কারখানায় কাজ করত। অভিযোগ, রবিবার রাতে নির্মাণকাজে যুক্ত এক তরুণীকে গুল কারখানার ভিতরে ধর্ষণ করা হয়। সোমবার ওই তরুণী মঙ্গলকোট থানায় দায়ের করা অভিযোগে জানান, মিতন মাঝি তাঁকে ধর্ষণ করেছে। বাকিরা তাকে সাহায্য করেছে। এ দিন ওই তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা হয়।
|
বর্ধমান
চলচ্চিত্র উৎসব। সংস্কৃতি লোকমঞ্চ। সন্ধ্যা পৌনে সাতটা।
উদ্যোগ: বর্ধমান চলচ্চিত্র চর্চা কেন্দ্র। চলবে ২৯ মে পর্যন্ত। |