পানীয় জলের দাবিতে সোমবার প্রায় আড়াই ঘণ্টা বার্নপুর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন আসানসোল পুরসভার ১ ও ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে জল সরবরাহের আশ্বাস দিয়ে অবরোধ তোলেন পুরসভার ডেপুটি মেয়র অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়।
এ দিন সকাল ১০ টা থেকে আসানসোলের চিত্রা মোড়ের কাছে বার্নপুর রোড অবরোধ শুরু করেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, গত এক মাস ধরে পুরসভার ১ ও ৪৭ নম্বর ওর্য়াডের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে পানীয় জল সরবরাহ হচ্ছে না। বাসিন্দাদের দাবি, ২৪ এপ্রিল তাঁরা পুরকর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ভাবে এই সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দা রণজিৎ চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, গত ২৪ মে তাঁরা ফের একটি চিঠি দিয়ে পুর কর্তৃপক্ষের কাছে পানীয় জলের সমস্যা সমাধানেরআবেদন করেন। কিন্তু সমস্যা সমাধানের জন্য নড়ে চড়ে বসেননি পুর কর্তৃপক্ষ। বাসিন্দাদের বক্তব্য, এই অবস্থায় পথ অবরোধ করা ছাড়া আর কোনও রাস্তাই খোলা ছিল না। প্রায় ঘন্টাখানেক অবরোধ চলার পর ঘটনাস্থলে ছুটে আসে হিরাপুর পুলিশ। কিন্তু তাতে লাভ তো হয়নি, বরং বিক্ষোভ আরও বেড়েছে। দুপুর ১টা নাগাদ আসানসোলের ডেপুটি মেয়র অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে এসে আশ্বাস দিয়ে অবরোধ তোলেন।
|
জলের দাবিতে অবরোধ বাসিন্দাদের। —নিজস্ব চিত্র। |
বেশ কিছু দিন ধরে কোনও কাউন্সিলর নেই আসানসোল পুরসভার এই ১ ও ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে। ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গৌতম মাজি প্রায় বছর দুয়েক আগে মারা গিয়েছেন। কিন্তু নির্বাচন না হওয়ায় ওয়ার্ডে নতুন কাউন্সিলর কেউ হননি। অন্য দিকে, মাস খানেক আগেই মারা গিয়েছেন ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বীরেন কর। বাসিন্দাদের অভিযোগ, কাউন্সিলরবিহীন ওয়ার্ড দু’টিতে নাগরিক পরিষেবা একেবারেই মিলছে না। এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে পানীয় জলের সমস্যার কথা পুর কর্তৃপক্ষ জানলেও সমস্যার সমাধানে কোনই হেলদোল নেই তাঁদের।
সোমবার আচমকা রাস্তা অবরোধের এই ঘটনায় চরম সমস্যায় পড়েন এলাকার মানুষ। গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য রাস্তায় বেরিয়েও সাধারণ মানুষ প্রায় আড়াই ঘণ্টা গনগনে রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হন। পুরসভার জল দফতরের মেয়র পারিষদ রবিউল ইসলাম জানান, নির্জলা অঞ্চলগুলিতে জলের ট্যাঙ্ক পাঠিয়ে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, নতুন জলপ্রকল্পটির কাজ শুরু না করলে শহরে পানীয় জলের স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। চলতি বছরের শেষে নতুন জলপ্রকল্পটি চালু করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি। |