শিক্ষকের অভাবে সপ্তাহে তিন দিন ক্লাস। বাকি তিন দিন ছুটি।
মালদহের খাস জেলা স্কুলের প্রাথমিক বিভাগেই দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থা চলছে বলে অভিভাবকদের দাবি। স্কুল সূত্রেও জানা গিয়েছে, প্রতি সোম, মঙ্গল ও বুধবার স্কুলের প্রথম শ্রেণি থেকে তৃতীয় শ্রেণির ক্লাস হয়। বাকি তিন দিন, বৃহস্পতি থেকে শনিবার চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস হচ্ছে। দেড়শো বছরের পুরনো এই স্কুলে সকালে প্রাথমিক বিভাগের ক্লাস হয়। প্রতিটি শ্রেণির দু’টি করে সেকশন রয়েছে। স্কুলের মোট ছাত্রের
সংখ্যা প্রায় ৪০০। বর্তমানে প্রাথমিক বিভাগে শিক্ষক কিন্তু মাত্র ৬ জন। প্রধানশিক্ষক-সহ আরও ৬টি পদ ফাঁকা পড়ে রয়েছে।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক আশিস সরকার জানান, তিনি হাইস্কুলের দায়িত্বে রয়েছেন। প্রাথমিক স্কুলের প্রধানশিক্ষক নেই বলে তার দায়িত্বও তাঁকেই সামলাতে হচ্ছে। তাঁর কথায়, “শিক্ষক কম থাকার জন্যই তিন দিন ক্লাস ও তিন দিন ছুটি দিয়ে প্রাথমিক বিভাগ চালাতে হচ্ছে। গত জানুয়ারিতে শিক্ষা দফতরের প্রয়োজনীয় শিক্ষক চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। কিন্তু শূন্যপদ এখনও পূরণ হয়নি। বাধ্য হয়ে ওই ভাবে ক্লাস করাতে হচ্ছে। ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ সব জানে।”
শুক্রবার ঐতিহ্যবাহী এই জেলা স্কুলের প্রাথমিক বিভাগে গরমের ছুটি পড়েছে। কিন্তু তিতিবিরক্ত অভিভাবকেরা সেই দিনই এই সরকারি স্কুলের পরিচালন সমিতির চেয়ারম্যান জেলাশাসক গোদালা কিরণকুমারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। জেলাশাসক জানান, গরমের ছুটির পরেই যাতে অবস্থা স্বাভাবিক হয়, তার জন্য তিনি এই সপ্তাহের মধ্যেই পরিচালন সমিতির বৈঠক ডেকে ব্যবস্থা নেবেন। তিনি বলেন,
“সপ্তাহে প্রতিদিন যাতে সব শ্রেণির ক্লাস হয় তা দেখা হবে। আমরা রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের সঙ্গেও যোগাযোগ করছি।” প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য অবশ্য জানিয়েছেন, এই ঘটনার কথা
তাঁদের কেউ আগে জানাননি। তবে তিনি বলেন, “সোমবারই মালদহের ডিআই আসবেন। তাঁর সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলব।” অভিভাবকদের অভিযোগ, যে কোনও কারণেই হোক, দীর্ঘদিন ধরে এমন অব্যবস্থা চলতে থাকায় ছাত্রদের পঠনপাঠনের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। |