সরকারি প্রকল্পের চাষিদের বীজধান, সার, তৃণমূলেরপার্টি অফিস থেকে বিলি করার অভিযোগ উঠল। রবিবার সকালে বসিরহাটের পিঁফার দেভোগ গ্রামে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকেরা। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভকারীদের হাতে ঘেরাও হয়েছিলেন কৃষি ও প্রযুক্তি সহায়ক নিরঞ্জন দাস। বিক্ষোভের জেরে বীজধান ও সার বিলি বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে নিরঞ্জনবাবুকে ঘেরাওমুক্ত করেন। নিরঞ্জনবাবু বলেন, “সরকারি প্রকল্পের সাহায্য পার্টি অফিস থেকে বিলি করা যায় না। আসলে এ দিন বিলি-বণ্টনের জন্য আমাকে যে জায়গায় বসতে দেওয়া হয়েছিল তা যে একটি রাজনৈতিক দলের অফিস তা জানা ছিল না। তবে অভিযোগ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে আমি ওই জায়গা ছেড়ে কাছেই গাছতলায় সরে আসি। কেউ কেউ আমাকে ভুল বুঝে বিক্ষোভ দেখান।”
তৃণমূলের পক্ষ থেকেও দলীয় অফিস থেকে বীজধান, সার বিলির অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করা হয়েছে। তৃণমূল নেতা সাত্তার মোল্লা বলেন, “কংগ্রেসীরা মানুষকে খেপাতে আমাদের পার্টি অফিস থেকে সরকারি সাহায্য বিলির মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। মিথ্যা প্রচারের জেরে বিলি-বণ্টন বন্ধ হওয়ায় তিনশোরও বেশি চাষি তাঁদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হলেন।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পিঁফা পঞ্চায়েতের দেভোগ মৌজায় সাড়ে সাতশো বিঘা জমিতে চাষের জন্য ১৬৪ বস্তা বীজধান এবং সেই অনুপাতে সার চাষিদের মধ্যে বিলি করার জন্য আসে। এ দিন সকালে কৃষি ও প্রযুক্তি সহায়ক নিরঞ্জন দাস দেভোঘ গ্রামে চাষিদের মধ্যে সরকারি সাহায্য হিসাবে ওই বীজধান ও সার বিলি করতে শুরু করলে কংগ্রেসের তরফে তাঁকে ঘেরাও করে বিক্ষো শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে চাষিদের কাছে দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে এ সব বিলি করা হচ্ছে। স্থানীয় কংগ্রেস নেতা আব্দুল কাদের সর্দার বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটের মুখে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তৃণমূল তাদের পার্টি অফিস থেকে সরকারি সাহায্য বিলি করছে দেখে গ্রামের মানুষ ক্ষোভে বিক্ষোভ দেখান। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেই ওই কৃষি আধিকারিককে ঘেরাও করা হয়েছিল।” |