|
|
|
|
আই লিগে চার বিদেশি পাকা হয়ে যাচ্ছে আজই
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বিদেশি খেলানোর নিয়ম বদলাতে চলেছে আই লিগে। নতুন নিয়মে পরের মরসুম থেকে দলে তিনের বদলে চার জন বিদেশিকে একসঙ্গে মাঠে নামাতে পারবে ক্লাবগুলি। আজ দিল্লির ফুটবল হাউসে ফেডরেশনের জরুরি সভার আগেই এ ব্যাপারে একরকম এক মত হয়ে গিয়েছেন ফেডারেশনের কর্তারা। ফলে ওই বৈঠকেই এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে যেতে চলেছে।
এত দিন নিয়ম ছিল, চার জন বিদেশিকে ক্লাবগুলি সই করাতে পারলেও দলে একসঙ্গে শুধু তিন জন খেলতে পারবেন। কিন্তু ফেডারেশনের সভাপতি প্রফুল্ল পটেল চাইছেন, পাঁচ জনকে সই করিয়ে চার জনকে খেলানোর নিয়ম চালু করতে। তবে ফেডারেশনের সহ-সভাপতি সুব্রত দত্ত-সহ বেশির ভাগ কর্তাই ক্লাবগুলির উপর পাঁচ বিদেশির বোঝা চাপাতে খুব একটা আগ্রহী নন। তাঁরা ক্লাব প্রতি বিদেশির সংখ্যা চারই রাখতে চান। দিল্লির জরুরি সভায় আজই বিদেশিদের সংখ্যা-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কিছু চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত হতে পারে। রবিবার দিল্লিতে ফোনে ধরা হলে সুব্রতবাবু বললেন, “এ বার ক্লাবগুলোর আর্থিক সমস্যা রয়েছে। সেখানে পাঁচ জন বিদেশি নিতে গেলে বোঝা বাড়বে। আমি প্রস্তাব দেব চার জনকে সই করিয়ে চার জনকেই খেলানো হোক।”
আই লিগে বিদেশি বাড়লেও, আই লিগ টু-তে অবশ্য পরের বার থেকে বিদেশি খেলানোর সংখ্যা কমছে। কলকাতা, গোয়া-সহ বিভিন্ন রাজ্যের ঘরোয়া লিগেও বিদেশি খেলানোর সংখ্যা কমতে পারে। রবিবার রাত পর্যন্ত যা খবর, তাতে আই লিগ টু এবং ঘরোয়া লিগে এক বা দু’জন বিদেশিকে খেলানোর ছাড়পত্র দেবে ফেডারেশন। এ ছাড়াও আই লিগের প্রত্যেক ক্লাবকে কমকরে দু’জন অনূর্ধ্ব বাইশ ফুটবলার নথিভুক্ত করাতে হবে। যাঁদের মধ্যে আবার একজনকে খেলাতেই হবে।
দিল্লির সভায় আই লিগের নতুন তিনটি ফ্রাঞ্চইজিও বেছে নেওয়া হবে আজ। সম্ভবত তিন ফ্রাঞ্চাইজি হচ্ছে ডডসাল, জিন্দাল গোষ্ঠার একটি টিম এবং কেরলের ঈগল এফসি।
সভায় আই লিগের পরিকাঠামো নিয়েও কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অ্যারোজের স্পনসর পৈলানের সঙ্গে সমস্যা চলছে ফেডারেশনের। অ্যারোজ যদি না খেলতে পারে, সেক্ষেত্রে আবার ওএনজিসি’কে একটা সুযোগ দেওয়া হতে পারে। তবে পৈলান বা ওএনজিসি যে দলই খেলুক না কেন, লিগের পরিকাঠামো বদলাচ্ছে। বাংলা, দিল্লি, উত্তর পূর্বাঞ্চলের আটটি দল নিয়ে একটি গ্রুপ হবে। গোয়া, পুণে, মুম্বই-সহ বাকিদের নিয়ে আরও একটি গ্রুপ। দু’টি গ্রুপ আলাদা, আলাদা, হোম অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে। প্রতি গ্রুপের প্রথম চার দল মূল পর্বে খেলার সুযোগ পাবে।
এ দিকে ফুটবলের যে আইপিএল চালু হচ্ছে, সেখানে এক একটি টিমে মোট ১১ জন করে বিদেশি ফুটবলার নেওয়া হবে। যাঁদের সাত বা আট জন খেলতে পারবে প্রতি ম্যাচে। মূলত ক্লাবগুলির ফুটবলার না ছাড়ার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইএমজি রিল্যায়ান্স। আই লিগের ক্লাব জোট অবশ্য এই লিগের চূড়ান্ত বিরোধীতার পথে হাঁটছে। ইতিমধ্যেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে যে ফুটবলার রিল্যায়ান্সের চুক্তিতে সই করবেন, তাঁদের বয়কট করা হবে। একই সঙ্গে নিজেদের দলের ফুটবলারদেরও তারা ছাড়বে না।
ক্লাব জোটের সভাপতি রাজ গোমস তো পরিষ্কার বলে দিলেন, “আরে এক সঙ্গে দু’জায়গায় সই করা যায় নাকি! যারা ওই লিগ খেলতে আগহী তারা ওটাই খেলুক। আই লিগ খেলার প্রয়োজন নেই।” সচিব চিরাগ তন্না বললেন, “আমারা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যারা রিল্যায়ান্সে সই করবে, তাদের কোনও ক্লাব সই করাবে না।” এ দিকে, আইএমজি লিগের জন্য রহিম নবি, সুনীল ছেত্রী, গৌরমাঙ্গিরা ইতিমধ্যেই মেডিক্যাল টেস্ট দিয়ে এসেছেন। এই ফুটবলারেদর ভবিষ্যৎ কী? রহিম নবি বলছিলেন, “এখনও সই করিনি। দেখা যাক কী হয়! আমাদের কাছে এখনও কিছুই পরিষ্কার নয়। তবে আই লিগ খেলার অন্য একটা গুরুত্ব রয়েছে।” |
|
|
|
|
|