|
|
|
|
পিংলার বিক্ষুব্ধ দুই নেতাকে বহিষ্কার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর ও বর্ধমান |
দলের ব্লক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে কলকাতার তৃণমূল ভবনে গিয়েছিলেন পিংলার দুই তৃণমূল নেতা। কথা হয়েছিল দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের সঙ্গে। ঘটনার তিন দিনের মাথায়, রবিবার অভিযোগকারী দুই নেতাকেই বহিষ্কার করে পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীকে ‘বার্তা’ দিলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
যে দুই নেতা বহিষ্কৃত হলেন, তাঁদের এক জন গৌর ঘোড়ই পিংলা ব্লক তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি। অন্য জন, মহম্মদ মহসিন দলের সংখ্যালঘু সেলের নেতা। তবে কি ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মুখ খোলার জন্যই দলের কোপে পড়তে হল? পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষের বক্তব্য, “রাজ্য নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ওঁদের বিরুদ্ধে দলবিরোধী কাজের অভিযোগ ছিল।” বৃহস্পতিবার গৌরবাবু ও মহসিনের নেতৃত্বে পিংলা থেকে একদল তৃণমূল কর্মী কলকাতায় গিয়ে দলের বর্তমান পিংলা ব্লক সভাপতি গৌতম জানার বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ, দুর্নীতি, তোলাবাজি-সহ একগুচ্ছ নালিশ জানান। গৌরবাবুরা তৃণমূল ভবনে গিয়ে রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে দেখা হয়নি। মুকুল রায়ের কাছে অভিযোগ জানান তাঁরা। তার পরই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত। গৌরবাবু অবশ্য বলেন, “বহিষ্কারের ব্যাপারে দল কিছু জানায়নি।” মহসিনেরও বক্তব্য, “দল কিছু বলেনি। লোকমুখে শুনেছি। অপ্রত্যাশিত সিদ্ধান্ত।” গৌতমবাবুর দাবি, “আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হয়। জেলা নেতৃত্ব তা জানিয়েছেন।”
তৃণমূল সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত ভোটের আগেই অনুগামীদের নিয়ে কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন গৌরবাবু। প্রকাশ্যে তিনি বলছেন, “কী জল্পনা চলছে জানি না। এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি। যাঁরা আমার পাশে রয়েছেন, আমারই মতো তৃণমূলের দুর্দিনে দলের সঙ্গে থেকেছেন, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে জানাব।” যদিও জেলা তৃণমূলের এক নেতার কথায়, “মতভেদ থাকলে দলেই আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়ার কথা আমরা বলছি। তা অগ্রাহ্য করে কেউ প্রকাশ্যে লাগাতার দলবিরোধী কাজ করে গেলে কড়া পদক্ষেপ তো করতেই হবে।” |
|
|
|
|
|