|
|
|
|
স্থগিত হল বিদ্যাসাগর ব্যাঙ্কের নির্বাচন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
স্থগিত হয়ে গেল মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত। জেলার অ্যাসিস্টেন্ট রেজিষ্ট্রার অফ কো-অপারেটিভ সোসাইটি (এআরসিএস) তথা অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার মদনমোহন ঘোষ বলেন, “রাজ্য সমবায় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের প্রেক্ষিতে ব্যাঙ্কের নির্বাচন সাময়িক ভাবে স্থগিত রাখা হচ্ছে।” বিদ্যাসাগর ব্যাঙ্কের জেনারেল ম্যানেজার বিবেক সেন বলেন, “নির্বাচন স্থগিত হওয়ার কথা বিজ্ঞপ্তি দিয়েও জানানো হবে।”
কমিশনের এই নির্দেশে তৃণমূল-শিবির অবশ্য স্বস্তিতে। কারণ, এই ব্যাঙ্কের নির্বাচন ঘিরে প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। দলের দুই শীর্ষ নেতা মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছিলেন। শুভেন্দু নিজেও মনোনয়ন জমা হন।
ঠিক ছিল, আগামী ২ জুন এই ব্যাঙ্কের নির্বাচন হবে। সেই মতো বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ হয়। ইতিমধ্যে মনোনয়ন-পর্ব মিটেছে। ১২টি আসনের জন্য সব মিলিয়ে ৪৩টি মনোনয়নপত্র তোলা হয়েছিল। জমা পড়ে ৩১টি। সম্মুখ সমরে নেমে পড়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। ২টি আসনে মোট ৪ জন প্রার্থী ছিলেন। একজন সিপিএম সমর্থিত। বাকি তিন জন তৃণমূল সমর্থিত। এঁদের মধ্যে একজন শুভেন্দু অধিকারী, একজন নারায়ণ সাঁতরা, অন্যজন মধুসূদন গাঁতাইত। মধুসূদনবাবু মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষক। দলে শুভেন্দু-অনুগামী বলে পরিচিত। নারায়ণবাবু নয়াগ্রাম হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। তিনি মুকুল-অনুগামী। ২টি আসনে ৪ জন প্রার্থী থাকলে যে দু’জন সর্বোচ্চ ভোট পাবেন, তাঁরাই নির্বাচিত হবেন।
এ ক্ষেত্রে কোন দু’জনকে ভোট দেবেন, তা নিয়ে সংশয়ে পড়েন তৃণমূল সমর্থকেরা। পরিস্থিতি দেখে একপক্ষ প্রচারপত্রও ছাপায়। তাতে শুভেন্দু এবং মধুসূদনকে নির্বাচিত করার আবেদন জানানো হয়। প্রচারপত্রে লেখা হয়, এই দু’জনই তৃণমূল মনোনীত প্রার্থী। অন্যপক্ষও প্রচারপত্র ছাপানোর তোড়জোড় শুরু করে। তাতে শুভেন্দু ও নারায়ণকে নির্বাচিত করার আবেদন জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তার আগেই নির্বাচন স্থগিত হয়ে গেল। দলেরই এক সূত্রে খবর, জেলা তৃণমূলের একাংশ নেতা চাইছিলেন না ২ জুন ভোট হোক। বিষয়টি তাঁরা রাজ্য নেতৃত্বের নজরে আনেন। এঁদের মতে, ব্যাঙ্ক নির্বাচন ঘিরে দলের দ্বন্দ্ব সামনে এলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরূপ প্রভাব পড়বে। |
|
|
|
|
|