মোটরবাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দুই যুবকের। শনিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে চিংড়িহাটা উড়ালপুলে। মৃতদের নাম তনভির আহমেদ ও মহম্মদ রিজওয়ান। বাড়ি গার্ডেনরিচ এলাকায়। দু’জনেরই বয়স পঁচিশের আশপাশে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, বন্ধুদের সঙ্গে ওই উড়ালপুলে দ্রুত মোটরবাইক চালানোর প্রতিযোগিতা করছিলেন তনভির ও রিজওয়ান। তখনই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উড়ালপুলের দেওয়ালে ধাক্কা মেরে নীচে রাস্তায় পড়ে যান তাঁরা। পুলিশ জানায়, তনভির ও রিজওয়ান কয়েক জন বন্ধুর সঙ্গে মোটরবাইক চালিয়ে পরমা আইল্যান্ড থেকে সল্টলেকের দিকে যাচ্ছিলেন। বাইপাস ধরে সল্টলেকে ঢোকার সময়ে তাঁরা চিংড়িহাটা উড়ালপুলে ওঠেন। প্রচণ্ড গতিতে উড়ালপুল পার হওয়ার সময়ে মোটরবাইকটি উড়ালপুলের দেওয়ালে ধাক্কা মারে। ছিটকে নীচে রাস্তায় পড়েন তনভির ও রিজওয়ান। এন আর এস হাসপাতালে তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।চিংড়িহাটা উড়ালপুলে দুর্ঘটনা এই প্রথম নয়। আগেও এই উড়ালপুলে দ্রুত গতিতে মোটরবাইক চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে। উড়ালপুলের নীচেই বেলেঘাটা ট্রাফিক গার্ড। উড়ালপুলটির ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করার কথা বিধাননগর ট্রাফিক গার্ডের। শনিবারের দুর্ঘটনার পরে প্রশ্ন উঠেছে রাতে ওই উড়ালপুলে পুলিশি টহল নিয়ে। বিধাননগর ট্রাফিকের পুলিশ কর্তারা জানান, উড়ালপুলের দু’দিকেই রাতে পুলিশ থাকে। শনিবার রাতেও ছিল। তবু কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তনভির ও রিজওয়ানের বন্ধুদের খোঁজ চলছে।
|
সুদীপ্ত-কনভেনশনের জেরে বাড়ছে ফাটল |
ছাত্র-নেতা সুদীপ্ত গুপ্তের মৃত্যুর বিচার বিভাগীয় তদন্ত-সহ তিন দফা দাবিতে কলকাতায় ডাকা কনভেনশন বাতিলের জল গড়াচ্ছে আরও! ঘটনার জেরে মতের ফারাক দেখা দিয়েছে বামফ্রন্টের ছাত্র সংগঠনগুলির মধ্যেও। এসএফআই থেকে বহিষ্কৃত জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনএউ) ছাত্র-নেতারা ডিএসএফ নামে নতুন যে সংগঠন গড়ে তুলেছেন, তারাই আগামী বুধবার একই দাবিতে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাল্টা কনভেনশন করতে চলেছে। এসএফআইয়ের আপত্তি সত্ত্বেও সেই কনভেনশনে যোগ দেওয়ার পক্ষপাতী বাম শরিক আরএসপি-র ছাত্র সংগঠন পিএসইউ। ডিএসএফ-কে ডাকা হয়েছিল বলেই শনিবারের প্রস্তাবিত কনভেনশন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিল এসএফআই। তার পরে গোটা কনভেনশনটিই স্থগিত করে দেন উদ্যোক্তারা। বাম সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গ এবং কেরলের নানা রাজনৈতিক প্রশ্নে ডিএসএফের তীব্র সিপিএম-সমালোচনার কথা মাথায় রেখে ওই কনভেনশনে বামফ্রন্টের কোনও সংগঠনেরই যোগ দেওয়ারই পক্ষপাতী নন এসএফআই নেতৃত্ব। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যা ঠিক আছে, পিএসইউ বড় শরিকের অবস্থানের পাশে দাঁড়াচ্ছে না। ফরওয়ার্ড ব্লক এবং সিপিআইয়ের ছাত্র সংগঠন অবশ্য এসএফআইয়ের মত উড়িয়ে দিতে পারছে না। ডিএসএফের সঙ্গে এসএফআই-কেও ডেকে শনিবারের অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ‘শান্তি, সংহতি, গণতন্ত্র মঞ্চ’ সিপিএমের অন্দরে প্রশ্নের মুখে পড়েছে। তবে মঞ্চের সম্পাদক সুপ্রিয় গুপ্ত ও সভাপতি প্রিয়ব্রত ভৌমিক রবিবার বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, তাঁরা কোনও রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় নেই। শনিবারের কনভেনশন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত একান্ত সাংগঠনিক কারণে বলে তাঁদের দাবি।
|
আইন অমান্যে অনড় বামফ্রন্ট |
পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে আগামী ৩১ মে-র ‘আইন অমান্য’ কর্মসূচি বহাল রাখল বামফ্রন্ট। শহরে আপাতত আইন অমান্য না-করার জন্য শনিবারই সব রাজনৈতিক দলকে অনুরোধ করেছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার। কিন্তু সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রবীন দেব রবিবার বলেছেন, “৩১ তারিখ ১৪৪ ধারা আছে, এমন জায়গা আমরা অতিক্রম করব। সেটাই আইন অমান্য। পুলিশ যদি তার পরেও আমাদের গ্রেফতার না করে বা তার ব্যবস্থা না রাখে, তা হলে তারা অপদার্থ প্রমাণিত হবে! বোঝা যাবে, ১৪৪ ধারার
জোরে যে সব জায়গা তাদের রক্ষা করার কথা, তারা সেগুলি রক্ষা করতে পারল না!” পুলিশ কমিশনারের শনিবারের সিদ্ধান্তকে ‘অগণতান্ত্রিক’ আখ্যা দিয়ে রবীনবাবুর অভিযোগ, সর্বদল বৈঠকে বামফ্রন্টের পাঁচ শরিককে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। |