পানীয় জলের সঙ্কটে ভুগছে বর্ধমান পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বালির বাগান। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভার কল থেকে সুতোর মতো জল পড়ে। সিলিন্ডার নলকূপ ও সাধারণ নলকূপ থেকেও অতি সামান্য জল উঠছে। পুরপ্রধান ও বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের কর্তাদের কাছে আবেদন করেও পরিস্থিতি পাল্টায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা মহর্ষি মণ্ডলের অনুযোগ, “বাড়িতে স্নান-খাওয়া প্রায় বন্ধ করে দিতে হয়েছে। শ’খানেক পরিবারের সকলেই জলের জন্য হাঁ করে বসে থাকতে বাধ্য হচ্ছে।” অপর বাসিন্দা বন্দনা রামের কথায়, “অবস্থা সঙ্গীন। দুপুরের দিকে ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত যে জল সরবরাহ করা হয়, তার পরিমাণ খুবই কম। ফলে এলাকাবাসীকে বালতি নিয়ে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।” আর এক বাসিন্দা মঞ্জু ঠাকুর বলেন, “বাম জমানায় আমাদের জলকষ্ট ঘোচেনি। নতুন সরকার আসার পরে আমরা বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদকে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলাম। তাতেও কাজ হয়নি।” |
বালির বাগানে জলের সমস্যা প্রায় বিশ বছরের পুরনো। পুরসভার জল বিভাগের সুপারিন্টেন্ডেন্ট প্রদীপ দে আবার দাবি করেন, “কিছু দিন আগেও ওখানে জলের সমস্যা তীব্র ছিল। কিন্তু ওই এলাকার সমস্ত নল আমরা পরিষ্কার করেছি। ফলে জলের সমস্যা আর ততটা নেই।” বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদ চেয়ারম্যান তথা বর্ধমান দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ওই এলাকায় পানীয় জলের কষ্ট দূর করতে আমরা নলকূপ বসাতে পারি। তবে তার জন্য আমাদের কাছে দরখাস্ত করতে হবে। ওঁরা যদি তা করেন, তাহলে আমরা গভীর নলকূপ বসিয়ে দেব।” বর্ধমানের পুরপ্রধান আইনূল হক বলেন, “ওই এলাকার মানুষেরা আমাদের কাছে এসে সমস্যার কথা বলেছেন। গ্রীষ্মে জলের সমস্যা বাড়ে। যে পাম্প হাউস থেকে ওই এলাকায় জল যায়, সেটি অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকায় থাকায় জল যেতে সমস্যা হচ্ছে। তবে আমরা ওই সমস্যা দূর করার চেষ্টা করছি।” |