তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সারদার ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ করেছিলেন সুদীপ্ত সেন। এ বার নাম জড়াল তিন সিপিএম নেতারও। পুলিশ জানিয়েছে, বিষ্ণুপুরের সারদা গার্ডেনের জমি কেনাবেচায় এক প্রাক্তন বিধায়ক-সহ তিন সিপিএম নেতা জড়িত ছিলেন বলে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের দাবি। এই নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান জেলা পুলিশের কর্তারা। জমি ব্যবসায় সিপিএম নেতাদের জড়িত থাকা নিয়ে কী বলছেন সুদীপ্ত? |
পুলিশ সূত্রের খবর, ১৯৯৯ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাসা, উত্তর গৌরীপুর ও বাগী মৌজায় সারদা প্রায় হাজার বিঘে জমি চাষিদের কাছ থেকে কম দামে ও জোর করে কিনেছিল বলে অভিযোগ। সুদীপ্ত গ্রেফতার হওয়ার পর জমি কেনাবেচা নিয়ে ১৪টি অভিযোগ বিষ্ণুপুর থানায় দায়ের হয়েছে। জেরায় সুদীপ্ত জানান, জমি কেনা নিয়ে সিপিএমের বিষ্ণুপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক অলোক সর্দার, সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক আনন্দ বিশ্বাস ও আর এক স্থানীয় সিপিএম নেতা সাহায্য করেছিলেন। সুদীপ্তর দাবি, তিনিও ওই নেতাদের আর্থিক সাহায্য করেছিলেন। সুদীপ্তর বয়ানের ভিত্তিতে অলোকবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, আর্থিক সাহায্যের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন অলোকবাবু। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, জমি সংক্রান্ত সমস্যার মীমাংসা করে থাকলেও সারদার কাছ থেকে সাহায্য নেওয়া হয়নি। প্রাক্তন বিধায়ক আনন্দবাবুর বক্তব্য, “এ বিষয়ে কথা বলার জন্য পুলিশ ডেকেছে। থানায় যাব।” এ দিন রাতেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশের এক কর্তার বক্তব্য, “সুদীপ্তর বয়ান ও অলোকবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া তথ্যগুলি ফের খতিয়ে দেখতে হবে। কথা বলা হবে অভিযোগকারীদের সঙ্গেও। অলোকবাবুকেও ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।” দক্ষিণ ২৪ পরগনার এসপি কঙ্করপ্রসাদ বারুই জানান, শনিবার বিকেলেই দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে সল্টলেকের দু’টি অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে বারুইপুর অফিসের আর্থিক লেনদেনের বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা।
শনিবার বাঁকুড়ার রাইপুরে সারদা গোষ্ঠীর আর একটি অফিসের তালা ভেঙেও তল্লাশি চালাল বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। নগদ টাকা, নথিপত্র ও তিনটি কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করা হয়। অন্য দিকে ভুয়ো শংসাপত্র দেওয়ার দায়ে শুক্রবার বাঁকুড়া থেকে সূর্যকান্ত রজক নামে সারদার এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালত তাঁকে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
শনিবার সারদা কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত নিয়ে তৃণমূলকে বিঁধেছেন কংগ্রেস নেতা শাকিল আহমেদ। ধর্মতলায় এক দলীয় সমাবেশে শাকিল বলেন, “বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘরে-ঘরে বিবাদ নিয়েও সিবিআই তদন্ত চাইতেন। অথচ এ ক্ষেত্রে তিনি সিবিআই তদন্ত
চাইছেন না।” শাকিলের মতে, সারদা কাণ্ডে তৃণমূলের নেতা-সাংসদদের নাম জড়িয়েছে। দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রাখতেই মমতার সিবিআই তদন্ত চাওয়া উচিত।
|
আত্মঘাতী যুবক
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল বেলঘরিয়ার নন্দন নগরে তাঁর বাড়ি থেকে। নাম স্বপন মজুমদার (৩০)। তিনি একটি অর্থলগ্নি সংস্থার এজেন্ট ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক। টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য আমানতকারীদের চাপেই স্বপনবাবু এমনটা করলেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। |