‘ফ্রি স্পিরিট অব দ্য মাউন্টেন্স’ |
‘একে নিয়ে লোকের এত কী হইচই, বুঝি না বাপু! সেই তো একটা পাহাড়চুড়োই!’ জুন্কো তাবেই-এর কাছে তো পর্বতশীর্ষে ওঠা জলভাত! কেন নয়? ছোট্টখাট্টো শরীরটায় বাসা বেঁধে আছে যে মন, সে তো চেয়েইছে সব থেকে উঁচুতে উঠতে। ফল: ১৯৭৫-এ এভারেস্ট জয়। সেই প্রথম কোনও নারী ছুঁলেন এভারেস্ট। ছোটবেলায় এই মেয়েরই ফুসফুস দুর্বল, জ্বরজারি ফ্যাঁচফ্যাঁচ, নিউমোনিয়া বারকয়েক। তবু, টিচারের সঙ্গে সামার ট্রেক-এ নাসু যাওয়াটাই কাল হল। পাহাড় ঢুকল রক্তে। লোকে এভারেস্ট-জয় করেই যেখানে সাকসেসে হাবুডুবু, ৫৩ বছর বয়সেই তাবেই উঠলেন ‘সেভেন সামিট্স’-এ। সাত মহাদেশের সাতটা সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। সবাই ডাকে ‘এভারেস্ট মম্’। কিন্তু তিনি নিজেকে বলতে ভালবাসেন ‘ফ্রি স্পিরিট অব দ্য মাউন্টেন্স’।
|
এক সময় ফুটবলের বেজায় ভক্ত। অথচ কেরিয়ার গড়লেন ক্রিকেটে। আর, কেল্লা ফতে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ‘অফসাইডের ভগবান’-এর ব্যাটিং দাপট তখন টপাটপ ঝুলিতে পুরছে রেকর্ড। এতেই কিন্তু থেমে রইলেন না তিনি। প্রত্যেক ভারতীয়র স্বপ্ন, দেশের অধিনায়কের মুকুটটিও চাপিয়ে নিলেন মাথায়। এক বিশাল শৃঙ্গ জয়। লড়াইয়ের শুরুটা হয়েছিল সেই দিন, যখন একটামাত্র ওয়ান ডে ম্যাচ খেলার পরেই তাঁকে ছেঁটে ফেলা হল ভারতীয় দল থেকে। তার ওপর অভিযোগ, তিনি নাকি বেজায় উদ্ধত। শেষই তো হয়ে যেতে পারত তাঁর ক্রিকেটজীবন। কিন্তু না, তিনি ফিরে এলেন স্রেফ একবগ্গা মন আর ব্যাটের জোরে। অভিষেক টেস্টেই হাঁকালেন সেঞ্চুরি। পরের টেস্টে আবার। এক সময় সারা পৃথিবী স্বীকার করে নিয়েছে শক্তিশালী প্রতিপক্ষের চোখে চোখ রেখে যে ভাবে তিনি চ্যালেঞ্জটা ফিরিয়ে দিতেন, সেই ক্ষমতাকে। গোটা টিমের বডি ল্যাংগোয়েজই যা সম্পূর্ণ পালটে দিয়েছিল। |