স্পট ফিক্সিং কাণ্ড নিয়ে আমার খুব বেশি জানা নেই। অনেক কিছুই বলা হচ্ছে, অনেক কিছুই শুনছি। আমার মনে হয় এখনই এত কিছু বলার সময় আসেনি। তবে, এঁরা সত্যিই দোষী প্রমাণিত হলে, আসল কাজটা শুরু হবে। ক্রিকেট যে এই রোগ দূর করতে মরিয়া, সেটা দেখিয়ে দিতে সঙ্গে সঙ্গে দোষী ক্রিকেটারদের সারা জীবনের মতো নির্বাসিত করা উচিত। কেউ যেন নির্বাসন কাটিয়ে ফিরে আসতে না পারে। আশা করব দোষীদের লম্বা হাজতবাস হবে।
এখনও পর্যন্ত কেউ দোষী প্রমাণিত হলে আমার নজর এড়াত না। ছ’বছর আইপিএলে আমি কখনও সন্দেহজনক কিছু দেখিনি। সরাসরি তো দূরের কথা, গুজবেও কিছু শুনিনি। তাই এসব শোনার পর এত খারাপ লাগছে। সঙ্গে রাগও হচ্ছে। কয়েকজন অসৎ ক্রিকেটারের জন্য এতগুলো সৎ, প্রতিভাবান ক্রিকেটারকেও কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে।
আইপিএলে দুর্নীতি ছিল, অথচ সেটা বুঝতে না পেরে টুর্নামেন্টটা ছ’বছর খেলে ফেললাম, এটা বিশ্বাস হচ্ছে না। সৎ, পরিশ্রমী ক্রিকেটাররা জেতার জন্য জান লড়িয়ে দিচ্ছে, এই চিত্রটাই আমার চোখে ধরা পড়েছে। বলছি না সবাই সৎ, তবে রোগটা এখনও বিশাল ভাবে ছড়ায়নি।
এ বার আইপিএল ফাইনালের কথায় আসা যাক। সাত সপ্তাহের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর এ বার গ্র্যান্ড ফিনালে। ফাইনালের আগে একটা কথাই আমার বেশি করে মনে হচ্ছে। একটা তত্ত্ব কিন্তু প্রমাণ হয়ে গেল, এই ফরম্যাটে একজন প্লেয়ার ম্যাচ জেতাতে পারে, টুর্নামেন্ট জেতে কিন্তু টিমটাই।
চেন্নাই আর মুম্বই দুটো দলই ফাইনালে ওঠার উপযুক্ত। কোনও সন্দেহ নেই এই দুটো দলে বেশ কয়েকজন ম্যাচ উইনার রয়েছে। তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ, দুটো দলই দুর্দান্ত ধারাবাহিকতা দেখিয়েছে। ব্যক্তিগত শৌর্য এবং দলগত ধারাবাহিকতার পার্থক্য বোঝানোর জন্য এ বারের বেঙ্গালুরুর থেকে ভাল উদাহরণ হয় না। |