এমন একটা টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ জিতে ফাইনালে ওঠার মজাই আলাদা। শুক্রবার ইডেনে অবশ্য নিজেদের কাজটা আরও কঠিন করে তুলেছিলাম আমরা নিজেরাই। তবে শেষ পর্যন্ত যে সেই পরীক্ষায় উতরে গিয়েছি, এটাই বড় কথা। আজ শেষ পরীক্ষাটায় পাস করতে পারব কি না, এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। রাজস্থান আর চেন্নাই তো আর এক নয়। প্রতিপক্ষ হিসেবে ধোনিরা রাহুলদের চেয়ে বেশ অন্য রকমের। তাই রবিবার আমাদের অন্য খেলা খেলতে হবে। সে দিন রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে যে গেমপ্ল্যান ও স্ট্র্যাটেজি নিয়ে আমাদের ছেলেরা খেলেছে, রবিবারও সেগুলোই থাকবে এমন মনে করার কোনও কারণ নেই। |
পারিপার্শ্বিক অবস্থা ও সামগ্রিক পরিস্থিতি যে রকম, তাতে অনেককেই বলতে শুনছি, ফাইনালে ধোনিরা বেশ চাপে রয়েছে, এটাই ওদের সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। দুঃখিত, তাঁদের সঙ্গে আমি একমত হতে পারছি না। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, মাঠে নামার পর আর সে সব মনে রাখে না কেউ। অন্তত পেশাদার ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে নিয়ম সেটাই। আর চেন্নাই সুপার কিংসে পেশাদার ক্রিকেটারদের অভাব নেই। সুতরাং এই যুক্তিটা মানতে পারছি না। পারিপার্শ্বিকতা নয়, ধোনিদের চাপ বাড়াতে পারে শুধু আমাদের দলের ছেলেরাই। সে জন্য ওদের প্রত্যেককে নিজেদের সেরাটুকু উজাড় করে দিতে হবে। আইপিএলের খেতাব জয়ের এই সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। আর সে জন্য চেন্নাইকে হাল্কা ভাবে নেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।
আমার এটা তৃতীয় আইপিএল ফাইনাল। আগের দু’বার অন্য দলে ছিলাম। মুম্বইয়ের এটা দ্বিতীয় ফাইনাল। কিন্তু আমরা কেউই কখনও ফাইনালে শেষ হাসি হাসতে পারিনি। তাই দু’দিক থেকেই আমাদের খিদেটা প্রায় একই রকমের। শেষ মুখোমুখিতে চেন্নাই আমাদের হারিয়েছে ঠিকই, তবে সেটা আমাদের কাছে তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। ছেলেদের মোটিভেট করার কাজে এটা হয়তো কোনওভাবে কাজে লাগতে পারে। তবে আগের ম্যাচগুলো ভুলে গিয়েই এই ম্যাচে মাঠে নামতে হবে। |