নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের জায়গায় ইস্টবেঙ্গলের কোচ হওয়ার দৌড়ে সবার আগে রয়েছেন ব্রাজিলের কোচ মার্কোস ফেলোপা। যিনি ’৮৬ থেকে ’৮৮ব্রাজিল বিশ্বকাপ দলের সহকারী কোচ হিসাবে কাজ করেছেন। যে দলে ছিলেন জিকো, কার্লোস, মুলার, লুসিওরা। কর্তারা যদি নামী এই কোচের আর্থিক দাবি মেনে তাঁকে রাজি করাতে পারেন, তা হলে ফেলোপা-ই হবেন ভারতে আসা সবথেকে নামী কোচ।
লাল-হলুদ কর্তারা সম্ভাব্য কোচেদের যে তালিকা নিয়ে সোমবার ইউ বি-র সঙ্গে বোর্ড মিটিং-এ বসছেন তাতে বর্তমান ফিফা ইনস্ট্রাকটর ফেলোপার নাম রয়েছে সবার আগে। বর্তমানে ফেলোপা ফিফার প্রতিনিধি হয়ে ব্রাজিলের ইউথ ডেভেলপমেন্টের দেখাশোনা করছেন। তাঁর জীবনপঞ্জি চোখ ধাঁধিয়ে দেওয়ার মতো। মায়ানমার জাতীয় দলের পাশাপাশি ক্লাব পর্যায়ে ব্রাজিলের স্যান্টোস, পালমেইরাস ছাড়াও সৌদি আরব, বাহারিন, কাতার, জাপানে কোচিং করিয়েছেন। ব্রাজিল এবং ইতালির যৌথ নাগরিকত্ব রয়েছে ফেলোপার। ইতালির ক্লাবে কোচিং করার অভিজ্ঞতা রয়েছে ষাটোর্ধ এই কোচের। কিন্তু ফিফা ইনস্ট্রাকটারের পদ ছেড়ে অভিজ্ঞ এই কোচ ভারতে আসতে কত টাকা চাইবেন তা নিয়ে চিন্তিত কর্তারা। |
কোচ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। সচিব কল্যাণ মজুমদার বললেন, “সোমবার আমরা আলোচনা করে কোচের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।” ফেলোপা ছাড়াও আলোচনায় উঠবে আরও কিছু নাম। সেখানে ইংল্যান্ড, ডাচ কোচ-সহ আরও কয়েকটি নাম রয়েছে। পরিচিতদের মধ্যে ভারতীয় যুব দলের প্রাক্তন কোচ ডেভিড বুলপিন, স্পোর্টিং ক্লুবের প্রাক্তন কোচ চুকুয়ামা, সালগাওকর কোচ ডেভিড বুথের নামও ঘোরাফেরা করছে। কলকাতায় আই লিগের একটি বড় ক্লাবের কোচিং করানো একজন কোচের সঙ্গেও প্রাথমিকভাবে কিছু কথাবার্তা হয়েছে কর্তাদের বলে ক্লাব সূত্রের খবর। তবে মার্কোস ফেলোপার দাবি মতো টাকা ইউবি দিতে রাজি হলে তাকেই সামনের মরসুমে চিডিদের কোচ হিসাবে দেখা যাবে।
এ দিকে শনিবার রাতেই শহর ছাড়লেন ইস্টবেঙ্গলকে কলকাতা লিগ জয়ের হ্যাটট্রিক করানো ট্রেভর জেমস মর্গ্যান। নাইজিরিয়া গেলেন এডে চিডিও। যাওয়ার সময় বলে গেলেন, “মর্গ্যানের দল ছেড়ে যাওয়াটা দুঃখজনক। তবে এটা তো আমাদের হাতে নেই। আই লিগ আমরা পাইনি। সেই দুঃখ ভুলতে যিনি-ই কোচ হয়ে আসুন, আমার লক্ষ্য এ এফ সি কাপে ভাল ফল করা।” অধিনায়ক সঞ্জু প্রধানকে ঝুলিয়ে রাখলেও এরই মধ্যে নওবা সিংহর সঙ্গে চুক্তি করে ফেলল ইস্টবেঙ্গল। গোয়ায় অ্যালভিটো ডি’ কুনহা এ দিন বিয়ে করলেন পার্লকে। ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে দেওয়া হল সোনার ফলক। |