|
|
|
|
রাজধানীর খাবার খেয়ে অসুস্থ, অবরোধ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ফের কাঠগড়ায় রাজধানী এক্সপ্রেস। দিন কয়েক আগেই এসি বিকল হয়ে শিরোনামে এসেছিল রাজধানী। এ বার এসি খারাপ হওয়ার পাশাপাশি ট্রেনে দেওয়া খারাপ খাবার খেয়ে এক দল যাত্রীর অসুস্থ হয়ে পড়ার অভিযোগ উঠল। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নয়াদিল্লি থেকে শিয়ালদহগামী রাজধানী এক্সপ্রেসে। অসুস্থ যাত্রীদের চিকিৎসার দাবিতে কানপুরে আড়াই ঘণ্টা ট্রেনটি অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান যাত্রীদের একাংশ। পরে যাত্রীদের চিকিৎসা শুরু হলে অবরোধ ওঠে। কিন্তু রাজধানীর মতো দেশের প্রথম সারির ট্রেনের পরিষেবা নিয়ে বারবার এমন অভিযোগ কেন উঠছে, সে প্রশ্নের সদুত্তর নেই রেল কর্তৃপক্ষের কাছে।
শনিবার শিয়ালদহগামী ট্রেনটির বি-১১ নম্বর কোচে প্রথম থেকেই এসি চলছিল না বলে যাত্রীদের অভিযোগ। কোচের দায়িত্বে থাকা রেলের কর্মীদের সে কথা বারবার জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে জানান তাঁরা। এসি বন্ধ থাকায় নাকাল হওয়ার পাশাপাশি রেলের দেওয়া খাবারের জেরেও হেনস্থা হতে হয় বলে ওই কোচের যাত্রীদের অনেকেরই অভিযোগ। অত্যন্ত খারাপ মানের চা, জলখাবার দিয়ে শুরু হয় ভোগান্তি। পরে রাতের খাবারে দেওয়া ভাত, ডাল, রুটিও ছিল তথৈবচ। যাত্রীদের অভিযোগ, তাঁদের দেওয়া মাংস, দই পচে গিয়েছিল। অল্প খাবার খেয়েই অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের বারবার বমি হতে থাকে বলে অভিযোগ।
এর পরেই যাত্রীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ট্রেনের মধ্যে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এসে আরপিএফ উল্টে তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলে গোলমাল বেড়ে যায়। গোটা ঘটনার প্রতিবাদে এবং অসুস্থ যাত্রীদের চিকিৎসার দাবিতে কানপুরে ট্রেনটি অবরোধ করে রাখেন তাঁরা। ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে কয়েক জন চিকিৎসকও ছিলেন। তাঁরাই অসুস্থদের চিকিৎসা শুরু করলে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বাদে অবরোধ তোলেন যাত্রীরা। রাত পৌনে ১২টা নাগাদ ট্রেন ফের কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেয়।
কিন্তু কেন এমন অঘটন?
রেল সূত্রের খবর, রাজধানীতে খাবার দেওয়ার দায়িত্ব একটি বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে। তারাই এই কাজ করে। কেন এ দিনের খাবার খেয়ে যাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়লেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে রেলের কর্তারা জানান। ওই কোচে দেওয়া খাবারের নমুনাও সংগ্রহ করেছে রেল। যদিও কর্তাদের বক্তব্য, “ওই ট্রেনের অন্য কোনও কোচে তো এমন ঘটনা ঘটেনি। ওই কোচেই কেন ঘটল, তা-ও দেখতে হবে।” এসি বন্ধ থাকার অভিযোগও খতিয়ে দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা। |
|
|
|
|
|