স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা-সহ ১৩ জন শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা তালা বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার মালদহের চাঁচলের কলিগ্রাম গার্লস হাইস্কুলে ঘটনাটি ঘটেছে। স্কুল সূত্রের খবর, দুপুর তিনটা থেকে স্কুলে তালা বন্ধ করার পর স্কুলের কয়েকজন শিক্ষিকা কান্নাকাটি শুরু করেন। তাঁদের উদ্ধার করতে চাঁচল থানায় শিক্ষিকারা টেলিফোন করেন। আধঘণ্টার মধ্যে পুলিশ পৌঁছালেও রাত আটটা নাগাদ তালা খুলে পুলিশ শিক্ষিকা এবং অন্য কর্মীদের ঘেরাওমুক্ত করেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা কৃষ্ণকলি লাহিড়ি বলেন, “দুপুর ৩টা থেকে আমরা আটকে ছিলাম। জল, খাবার কিছু খেতে দেয়নি।” পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশ গিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২ জুন স্কুলে পরিচালন কমিটির অভিভাবক প্রতিনিধির ছয়টি আসনে নিবার্চন। এ দিন দুপুর ২টা অবধি মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা ছিল। প্রধান শিক্ষিকা জানান, দুপুর ২টা এক মিনিট আগে একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে দুইজন মনোনয়ন জমা দেন। ২টা কিছুক্ষণ পর আরও দুইটি মনোনয়ন জমা দিতে এসেছিলেন কয়েকজন। কিন্তু স্কুলের ঘড়িতে নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাওয়ায় তা নিতে অস্বীকার করি। এর পরেই আমাকে ও স্কুলে সমস্ত শিক্ষিকা, শিক্ষা কর্মীকে আটকে গেটে তালা মেরে দেওয়া হয়। তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী তথা মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “প্রধান শিক্ষিকা কংগ্রেসের হয়ে কাজ করছেন। উনি দু’জনের মনোনয়ন বাতিলের চেষ্টা করেন। তাই কর্মীরা খেপে গিয়ে তাঁদের ঘেরাও করেন।” পুলিশ সূত্রের খবর, রাত ৮টা নাগাদ প্রধান শিক্ষিকা চারটি মনোনয়ন জমা নেওয়ায় ঘেরাও বিক্ষোভ ওঠে।
|
এক সিকিউরিটি এজেন্সির ছাঁটাই হওয়া এক নিরাপত্তারক্ষীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। শুক্রবার দুপুরে রায়গঞ্জের উদয়পুর এলাকায়। মৃতের নাম নারায়ণ মণ্ডল (৪১)। তিনি উত্তর দিনাজপুর প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের সিকিউরিটি এজেন্সি নিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। মৃতের স্ত্রী দুলালী দেবী ডেপুটি ডিরেক্টরের নামে কর্ণজোড়া পুলিশ ফাঁড়িতে স্বামীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করেন। কাজ থেকে ছাঁটাই করায় মানসিক অবসাদে নারায়ণবাবু আত্মহত্যা করেন বলে পরিবারের অভিযোগ। জেলা প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরে ডেপুটি ডিরেক্টরকে দায়ী করে মৃতের বাড়ির লোক জন ও বাসিন্দাদের একাংশ দেহ নিয়ে এক ঘণ্টা দফতর চত্বরে ক্ষোভ দেখায়।
|
বোমা বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণে এক কিশোর-সহ তিন দুষ্কৃতীর মৃত্যু হল। জখম তিন দুষ্কৃতী। দু’জনকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাঁদের কলকাতায় রেফার করানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে কালিয়াচক থানার পুরাতন ১৬ মাইল গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম বাদসু শেখ (৩৮), বাদসু’র ছেলে সাদ্দাম শেখ (১৮), টিঙ্কু শেখ (২২)। চিকিৎসাধীন সালাম শেখ ও ঝড়ু শেখের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ছাড়াও জখম বাক্কার শেখ নামে আরেক দুষ্কৃতীকে পুলিশ খুঁজছে। ৩৪টি বোমা উদ্ধার হয়েছে। |