রাজনৈতিক গোলমালে উত্তেজনা ছড়াল কোচবিহারে। শুক্রবার দিনহাটা থানার নয়ারহাট এলাকা সিপিএম ও ফরওয়ার্ড ব্লকের পার্টি অফিস ভাঙচুরের ঘটনার অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়। রাতে কোচবিহার কোতুয়ালি থানার বাণেশ্বরে সিপিএমের জেলা সম্পাদক তথা রাজ্যসভার সাংসদ তারিণী রায়ের গাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। রাতে ঘটনার পর বানেশ্বর চৌপতিতে আলিপুরদুয়ার-কোচবিহার সড়ক প্রায় আধঘণ্টা সিপিএম কর্মীরা অবরোধ করেন। আজ, শনিবার বাণেশ্বর এবং আমবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১২ ঘণ্টার বন্ধের ডাক দিয়েছে সিপিএম।
এ দিন দিনহাটায় পুলিশের সামনেই তৃণমূল ও কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা একজোট হয়ে দুটি অফিসে হামলা চালায় বলে অভিযোগ বামেদের। রাতে বোকালীরমঠ এলাকায় কর্মিসভা সেরে তারিণীবাবু কোচবিহার ফিরছিলেন। বাণেশ্বর চৌপতি এলাকায় অন্ধকারে রাস্তার ঝোপ থেকে দুষ্কৃতীরা পাথর ছুড়তে শুরু করে। তারিণীবাবু রক্ষা পেলেও গাড়ির কাচ গুড়িয়ে যায়। পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল বলেন, “এলাকায় পুলিশি টহল চলছে। অভিযোগ দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল এবং কংগ্রেস দুই পক্ষই। তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটে হার নিশ্চিত বুঝে বামেরা বিভিন্ন এলাকায় গোলমাল পাকিয়ে আমাদের কর্মী, সমর্থকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।” আর দিনহাটার সিতাইয়ের কংগ্রেসের বিধায়ক কেশব রায় বলেছেন, “আমাদের লোকজনকে সিপিএম, ফরওয়ার্ড ব্লকের লোকজন হুমকি দিচ্ছে। মিথ্যা অভিযোগ তুলে বাজার গরম করতে চাইছে। কংগ্রেসের কেউ গোলমালে জড়িত নয়।” |