এক যুবককে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে দুই মহিলার বিরুদ্ধে। সম্পর্কে তাঁরা দুই বোন। এ দিন খুন হওয়া যুবকের বিরুদ্ধে তাঁদের এক জনের ছেলেকে খুনের অভিযোগ ছিল। শুক্রবার বিকেলে রায়গঞ্জ থানা এলাকার খরমুজাঘাট রোড এলাকায় এমনই ঘটনা ঘটেছে। এ দিন বিকেলে খুনের ঘটনার পরে সন্ধ্যায় ওই দুই মহিলা নিজেরাই থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহতের নাম বাপি চৌহান (২৪)। গত বছরের মার্চ মাসে বাপির বিরুদ্ধে পড়শি যুবক জগদীশ চৌহানকে খুন করে পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ দিন বাপিকে খুন করার কথা থানায় এসে কবুল করেছেন জগদীশ চৌহানের মা গীতা চৌহান এবং মাসি মুন্নি চৌহান। এই ঘটনায় প্রথমে রায়গঞ্জ থানার অফিসাররা হকচকিয়ে গেলেও পরে তাঁদের গ্রেফতার করেন।
এ দিন বিকেলে বাড়ি থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে রাস্তার পাশের একটি ঝোপ থেকে বাপির ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি ভোজালি। নিহতের মাথা, মুখ, কপাল সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, “পুরনো একটি খুনের ঘটনার জেরে তৈরি হওয়া শত্রুতার কারণেই ওই যুবককে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। আত্মসমর্পণকারী দুই মহিলাকে জেরা করে খুনের ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না জানার চেষ্টা চলছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ২০১২ সালে এলাকার তুলসীতলা এলাকার একটি পুকুর থেকে খরমুজাঘাট রোড এলাকার বাসিন্দা জগদীশ চৌহান নামে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। মদ খাওয়া নিয়ে গোলমালের জেরে দুষ্কৃতীরা ওই যুবককে কাঁচের বোতল ভেঙে আঘাত করে খুন করে বলে অভিযোগ। ওই খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিল বাপি। ঘটনার পরে তাকে পুলিশ গ্রেফতারও করেছিল। আদালতের নির্দেশে প্রায় এক বছর জেল হেফাজতে থাকার পরে তিন মাস আগে সে জামিনে মুক্তি পায়।
বাপি কয়েক দিন ধরে গীতাদেবী ও মুন্নিদেবীকে খুনের হুমকি দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। সে কারণেই খুনের ঘটনাটি ঘটেছে কি না খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বাপির দাদা দীপক চৌহান পুলিশে ভাইকে খুনের অভিযোগ দায়ের করে জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন। ধৃত দুই মহিলা পুলিশে দাবি করেছেন, এ দিন বাপিই প্রথমে ধারাল অস্ত্র নিয়ে তাঁদের ওপর চড়াও হয়েছিল। ঠিক কী হয়েছিল তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। |