ওষুধ পাচারের অভিযোগ দায়ের নিয়ে চাপান-উতোর তৈরি হয়েছে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের মধ্যে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁরা স্টোররুম থেকে ওষুধ পাচারের বিষয়টি জানিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু পুলিশের দাবি, হাসপাতালের তরফে পাচারের বিষয়টি শুধু লিখিত আকারে জানানো হয়েছে। কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ করা হয়নি। তাই তারা তদন্তও শুরু করেনি।
গত ১৭ মে একটি বেনামি চিঠি পান কাটোয়া হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার তাপস সরকার। তাতে অভিযোগ করা হয়, ১০ মে বিকেলে হাসপাতালের স্টোররুম থেকে দু’টি সাদা বস্তায় ওষুধ পাচার হয়েছে। ঘটনার সময়ে দুই ওষুধ সরবরাহকারী ও হাসপাতালের এক কর্মী হাজির ছিলেন বলে অভিযোগ। চিঠি পেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গড়েন। সিসিটিভি-র ফুটেজ জোগাড় করা হয়। তদন্ত কমিটির সুপারিশ মতো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পরে বৃহস্পতিবার পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি।
কিন্তু শুক্রবার জেলা পুলিশের এক কর্তা বিষয়টি তাঁদের শুধু লিখিত আকারে জানানো হয়েছে দাবি করে বলেন, “যেহেতু কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি, তাই কোনও তদন্ত শুরু করা যায়নি। পুলিশ নিজে থেকে অভিযোগ দায়ের করে কোনও তদন্ত শুরু করতে পারে কি না, তা দেখা হচ্ছে।” হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার তাপসবাবুর যদিও দাবি, “নিয়ম মেনেই অভিযোগ করা হয়েছে।” হাসপাতালের একটি সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার পুলিশকে ঘটনার কথা জানানো নিয়ে টালবাহানা তৈরি হয়। প্রথমে শুধু ঘটনার কথা জানানো হয়। পরে ঊর্ধ্বধন কর্তৃপক্ষের কথা মতো সিসিটিভি ফুটেজে যাদের দেখা গিয়েছে, তাদের নাম জানানো হয়।
এ দিনই তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি কাঞ্চন মুখোপাধ্যায় কাটোয়ার মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ করেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কাউকে আড়াল করার জন্যই অভিযোগ দায়েরে গড়িমসি করেছে। মহকুমাশাসক জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। |