না, দু’জনে একসঙ্গে নয়। সাগরমাথার চুড়োয় প্রথম পদক্ষেপ ছিল আমার।
খোদ তেনজিং নোরগের মুখে এমন কথা শুনে চমকে উঠেছিলেন ওঁর পারিবারিক চিকিত্সক ডা. বিমল ঘোষাল। এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য যে অন্য কথা বলে!
পাল্টা তিনি প্রশ্ন করেন, “কিন্তু এত দিন যে বলে আসছেন, আপনি আর হিলারি একসঙ্গেই চুড়ো স্পর্শ করেছিলেন?”
তেনজিং উত্তর দেন, ‘‘সেটা কিছুটা ভয়ে, কিছুটা ভালবাসায়, আসলে সাহেবরা এ রকমই আমায় বলতে বলেছিল।” দিন কয়েক আগে তেনজিং নোরগের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে এ কথা বলছিলেন বিমলবাবু।
এভারেস্ট জয় করে ফেরার পর, মাঝে মাঝেই শারীরিক খুঁটিনাটির বাইরে দীর্ঘ আলাপচারিতা চলত দু’জনের মধ্যে। এমনই এক সান্ধ্যকালীন শীতের আড্ডায় ডা. ঘোষালের কাছে এই স্বীকারোক্তি তেনজিংয়ের।
প্রথম এভারেস্ট অভিযানের ষাট বছর পূর্তির সপ্তাহ খানেক আগে ডা. ঘোষাল বলছিলেন, ‘‘ওঁর কথা শুনে আমি তো থ। সে দিন তেনজিংকে যেন আবার নতুন করে চিনলাম। বুঝলাম, মানুষটি কত সরল! কত মোহহীন।”
থিয়াংবোচে নেপালের একটা ছোট্ট নয়নাভিরাম গ্রাম। টুকরো টুকরো সবুজ পাহাড়ে ঘেরা। বছরের বেশির ভাগ সময় সে পাহাড়ের চুড়োগুলো ঝকঝকে সাদা বরফ চাদরে ঢাকা থাকে। মাঝে থিয়াংবোচে বৌদ্ধ গুম্ফা। এই বরফে মোড়া চূড়াগুলোর কাছ থেকে উঁকি মারে পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়া—স্থানীয় নেপালি ভাষায় সাগরমাথা ...তিব্বতিতে... চোমালাংমা...। আর এক বঙ্গসন্তান রাধানাথ শিকদারের জরিপ করা পিক ফিফটিন...। এটাই মাউন্ট এভারেস্ট নামে পরিচিত। উচ্চতা ২৯,০২৮ ফুট।
নেপালের উত্তর-পূর্ব অংশে খুম্বু অঞ্চলের সোলো খুম্বুতে ১৯১৪ সালের মে মাসের শেষ সপ্তাহে জন্ম হয় নামগিয়াল ওয়াংগির। বাবা খাংলা মিংমা ও মা ডোকমার। বাবা ইয়াক পালক। তেরো ভাই বোনের মধ্যে নামগিয়াল ছিলেন এগারোতম। পরবর্তী কালের তেনজিং।
ছোটবেলা থেকে বরফ মোড়া পাহাড় চূড়ার ফাঁক থেকে এভারেস্ট দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকত নামগিয়াল। রংবুক গুম্ফার প্রধান লামা নামগিয়ালের নামকরণ করেন তেনজিং নোরগে। |
কৈশোরে রোমাঞ্চকর অভিযানের নেশায় তেনজিং দু’দুবার পালিয়ে যান বাড়ি থেকে। প্রথম বার কাঠমাণ্ডু। দ্বিতীয় বার দার্জিলিং। এর পর বাড়ির লোক তাঁকে পাঠিয়ে দেন থিয়াংবোচে গুম্ফায়। লক্ষ্য ছিল তেনজিং গুম্ফায় পাঠ নিয়ে বৌদ্ধ সন্ন্যাসী হবে।
কিছু দিন পরে তেনজিং বুঝতে পারে, সন্ন্যাস ধর্ম তাঁর জন্য নয়। উনিশ বছর বয়সে তিনি পাকাপাকি ভাবে দার্জিলিংয়ে তু সুং শেরপা বস্তিতে বসবাস শুরু করেন। ঠিক করলেন, এভারেস্টে তাঁকে যেতেই হবে। শুরু করলেন মালবাহকের কাজ। ১৯৩৫ সালে প্রখ্যাত ব্রিটিশ পর্বতারোহী এরিক শিপটন তাঁর এভারেস্ট অভিযানের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলেন। মালবাহক আর শেরপা বাছাই পর্বে হঠাত্ ভিড়ের মধ্যে তাঁর নজর পড়ে একটা সুঠাম হাসিখুশি মুখ। পাকা জহুরির মতো এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে তিনি বেছে নেন তেনজিংকে। পরে এরিক বলেছিলেন, “কয়লার মধ্যে হিরের দ্যুতি ঢাকা পড়ে না। সে রকম এক ঝাঁক মালবাহকের মলিন মুখের মাঝে হঠাত্ নজরে এল একটি যুবকের ঝকঝকে তামাটে মুখ। যেন না-কাটা হিরের ঝলক। আমি সে দিনই বুঝেছিলাম এভারেস্টকে বাগ মানাতে পারে এই যুবক।”
১৯৩৫ সাল থেকে শুরু হয়ে গেল লাগাতার অভিযান। বছরের পর বছর ধরে। শুরুতে তেনজিং ছিলেন নিছকই মালবাহক মাত্র। কিন্তু প্রথম অভিযানেই তিনি তাঁর জাত চিনিয়ে দেন। বছর কয়েক ধরে নানা দলের সঙ্গে চলতে থাকে তাঁর পাহাড় অভিযান আর গিরিশৃঙ্গ জয়।
বারবার চেষ্টা করেও বহু দিন পর্যন্ত এভারেস্ট ছিল তাঁর অধরা। দুর্ভাগ্যও যেন তাড়া করে ফিরছিল তাঁকে। ১৯৫২-তে সুইস দল লম্বেয়ারের সঙ্গে এভারেস্ট অভিযান যেমন। নেপালের দক্ষিণ পথ দিয়ে। এভারেস্ট চূড়ার মাত্র ৭৭৮ ফুট দূর থেকে খালি হাতে ফিরে আসতে হয়। চূড়ার কাছে পৌঁছে হঠাত্ লম্বেয়ারের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। তেনজিংয়ের কাছে তখন এভারেস্ট জয়ের থেকেও লম্বেয়ারকে সুস্থ অবস্থায় ক্যাম্পে ফিরিয়ে আনাটা ছিল অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
এই অভিযানের শেষে অবসাদে ভুগতে শুরু করলেন তেনজিং। ভাবলেন, এভারেস্ট বোধহয় এ জন্মে তাঁকে ধরা দেবে না।
১৯৫৩ সাল। ঠিক এক বছর পর। তাঁর জীবনে এল চরম পরীক্ষা। তখন ব্রিটিশ অভিযাত্রী কর্নেল এইচ সি জন হান্টের নেতৃত্বে এভারেস্ট অভিযানের প্রস্তুতি চলছে। নোরগে কি আর ঘরে বসে থাকতে পারেন!
তেনজিং-এর জীবনে এটি ছিল সতেরোতম এভারেস্ট অভিযান। চারশো সদস্যর এই অভিযানে ছিলেন ৩৮২ জন মালবাহক ও ২০ জন শেরপা। এই দলের সদস্য ছিলেন স্যার এডমন্ড হিলারি।
অভিযান চলাকালীন একটা দুর্ঘটনায় হিলারি হঠাত্ বরফ খাদে পড়ে যান। কিন্তু উপস্থিত বুদ্ধি ও তাত্ক্ষণিক দ্রুত প্রচেষ্টায় মৃত্যুর গহ্বর থেকে হিলারিকে ফিরিয়ে আনেন তেনজিং। সে দিন থেকে তেনজিংয়ের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ হিলারি। এর পর থেকে হিলারি-তেনজিং একই দড়িতে ক্লাইম্বিং পার্টনার হিসাবে নতুন উদ্যমে অভিযান শুরু করলেন। |
এভারেস্ট অভিযানের বেস ক্যাম্প তৈরি হয় বরফ খাদে ভরা খুম্বু হিমবাহর নীচে। শুরু হয় পরবর্তী অভিযানের ক্যাম্প তৈরির কাজ। প্রায় এক হাজার পাউন্ডের মালপত্র নিয়ে মালবাহকরা ধীরে ধীরে এভারেস্টের দিকে এগোতে থাকেন।
মে মাসে সাউথ কল-এর ২৫৯০০ ফুট উপর তৈরি হয় সামিট ক্যাম্প। এত দিন আবহাওয়া মোটামুটি ভালই ছিল। কিন্তু সামিট ক্যাম্প তৈরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়া গেল বিগড়ে। শুরু হল প্রচণ্ড তুষার ঝড়।
মে ২৬। ডেপুটি লিডার ইভান, তাঁর সঙ্গী বরিলিয়ানকে নিয়ে অন্তিম আরোহণের জন্য চূড়ার দিকে যাত্রা শুরু করলেন। তখন আবহাওয়া ভালই। এ বার জয় প্রায় নিশ্চিত। এভারেস্ট হাতের মুঠোয় আসবেই! তখনই ভাগ্যদেবতা বোধহয় অলক্ষ্যে হেসেছিলেন। অক্সিজেন সিলিন্ডার গোলমাল করল। চূড়োর মাত্র তিনশো ফুট নীচ থেকে ফিরে এলেন ইভানরা।
দলনেতা জন হান্ট বুদ্ধিমান। কালক্ষেপ না করে তেনজিং-হিলারিকে পাঠিয়ে দিলেন। সামিট ক্যাম্প ওঁরা দখল নিলেন। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার জন্য দু’তিন দিন ক্যাম্পে বন্দি রইলেন। তেনজিং-এর মনে তখন আবার ভয়। খুব ভেঙে পড়লেন তিনি। বয়সও বেড়ে যাচ্ছে। তখনই তিনি আটত্রিশ। এর পর শরীর যে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। এ বারও কি হিমালয় খালি হাতে ফিরিয়ে দেবে তাঁকে?
হান্ট এ বার আস্তিনের শেষ তাসটি ফেললেন। ২৮ মে তিন জনের একটি সহযোগী দল পাঠালেন। তাঁরা সামিট ক্যাম্প থেকে এগিয়ে ২৭ হাজার ৯০০ ফুটে একটি তাঁবু গেড়ে নীচে বেস ক্যাম্পে ফিরে এলেন।
এ বার তেনজিংরা প্রস্তুত। সুন্দর ঝকমকে সকাল। শুরু হবে সর্বোচ্চ শৃঙ্গের দিকে শতাব্দীর সেরা অভিযান। শুধু সময়ের অপেক্ষা। প্রস্তুত হয়ে তাঁবুর বাইরে বেরিয়েই হিলারির মাথায় বাজ পড়ল। তিনি আবিষ্কার করলেন, তাঁর চামড়ার বুট জোড়া বরফে জমে গিয়েছে ভুলবশত আগের দিন বিকেলে বাইরে শুকোতে দিয়ে জুতো জোড়া ভিতরে আনতে ভুলে গিয়েছিলেন। তা হলে কি আজ এগোনো হবে না!
প্রায় দু’তিন ঘণ্টার চেষ্টায় অবশেষে ভিজে জুতোয় পা গলানো গেল। এর পর বাকিটা ইতিহাস।
১৯৫৩ সালের ২৯ মে। সকাল সাড়ে এগারোটা। প্রথম বারের মতো এভারেস্ট চূড়া স্পর্শ করলেন দুই অভিযাত্রী তেনজিং নোরগে আর স্যার এডমন্ড হিলারি। পৃথিবীর সর্বোচ্চ শিখরে উড়ল ইউনিয়ন জ্যাক। দুজনে শিখরে কাটালেন মিনিট পনেরো।
শৈশব থেকে নিজের জন্মের তারিখটা সঠিক জানতেন না তেনজিং। এভারেস্ট জয়ের পর ২৯ মে তারিখটাকেই তিনি জন্মদিন হিসেবে উদ্যাপন করতেন। এই অভিযানের পর সত্যিই তো এক নতুন তেনজিংয়ের জন্ম হয়েছিল পৃথিবীর বুকে। তাঁকেই বোধহয় মনে মনে স্বীকৃতি দিতে চেয়েছিলেন তেনজিং!
এভারেস্ট অভিযানের পরে খুব সিগার খাওয়ার অভ্যেস তৈরি হয়েছিল ওঁর। স্টাইল করে সিগার খেতেন। এমনিতে তেনজিং ‘ছাং’ খেতে খুব ভালবাসতেন। স্কচ-হুইস্কি প্রায় ছঁুতেনই না। প্রথম জীবনে নস্যি নিতেন। আর সবাইকে বলতেন, নস্যি নিলে নাকি পাহাড়ে খুব ভাল চড়া যায়। খাবারের মধ্যে তাঁর স্ত্রীর হাতে তৈরি মোমো ছিল অসম্ভব প্রিয়।
প্রবীণ পর্বতারোহী অমূল্য সেন ছিলেন তেনজিংয়ের বিশেষ পরিচিত। তাঁর সঙ্গে একসময় ‘ইনস্ট্রাকটর কোর্স’ করেছিলেন তিনি। অমূল্য সেন বলেন, সদাহাস্যময় তেনজিং সব সময় চিন্তা করতেন কী ভাবে বাঙালি পর্বতারোহী তৈরি করা যায়। নেপালে জন্মালেও ভারতের প্রতি তাঁর ছিল আমৃত্যু নাড়ির টান।
শেষ বয়সে দার্জিলিং-এর ঠান্ডা হাওয়া তেনজিংয়ের সহ্য হত না। অন্তত শীতের মাস ক’টা শিলিগুড়ির মহানন্দা নদীর পাশে থাকার ইচ্ছে ছিল। একটা বাড়িও ঠিক হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সে বাড়িতে শেষ পর্যন্ত তাঁর আর যাওয়া হয়ে ওঠেনি।
এভারেস্টে অভিযান সফল হয়েছিল। বহু চেষ্টার পর। কিন্তু কোথায় যেন এই অভিযান নিয়ে এক চাপা দুঃখ আজীবন বয়ে বেড়িয়েছেন তেনজিং। না, সে দুঃখ এভারেস্ট প্রথম স্পর্শ করার কথা লুকিয়ে রাখা নয়। তিনি বলতেন, “প্রথম এভারেস্ট জয় করলাম বটে, কিন্তু শিখরে ভারতের তেরঙা পতাকা ওড়াতে পারলাম কই!”
এভারেস্ট জয়ের সুখ পেয়েও এই অপূর্ণ স্বাদ তাঁকে আমৃত্যু পীড়া দিয়ে গিয়েছে।
কিন্তু আমরা তো মৃত্যুতে বিশ্বাস করি না। আত্মা অবিনশ্বর। তেনজিংয়ের আত্মা হয়তো আজও পাহাড় থেকে পাহাড় চূড়োয় ভেসে বেড়ায়। সেই আত্মা তো দেখতে পায় অনেক অনেক তেরঙা পতাকা এখন এভারেস্টের শিখরে পতপত করে উড়ছে।
শুধু কি বাঙালি পুরুষ? বাঙালি মেয়েরাও যে বাঁধনছেঁড়া আবেগে পৌঁছে যাচ্ছে তেনজিংয়ের মহাতীর্থে।
তেনজিং-এর স্বপ্ন সত্যি হয়েছে।
|
ওঁরা চার জন
তিয়াস মুখোপাধ্যায় |
টুসি দাস |
উজ্জ্বল রায় |
ছন্দা গায়েন |
দেবদাস নন্দী |
|
শিখরে ওঠার প্রাণান্তকর লড়াই শেষ। ওঁরা এখন খবরের শীর্ষে। প্রস্তুতির লড়াইটাই বা কম কী ছিল!
টাকা জোগাড় হয়নি বলে শেষ মুহূর্তে নামই বাদ যেতে বসেছিল টুসি দাসের। সরকারের দেওয়া পাঁচ লক্ষ আর নিজের জমানো মিলিয়ে লাখ সাতেক টাকা হাতে ছিল। প্রয়োজন প্রায় ১৮ লক্ষ। যাওয়ার এক সপ্তাহ আগে পর্যন্তও নিশ্চিত হতে পারেননি টাকার ব্যাপারে। ভোর থেকে ডিমের দোকান সামলে দুপুরের পরে বেরোতেন স্পনসর খুঁজতে। এত দৌড়ঝাঁপ করে সন্ধ্যায় আর অনুশীলনও করতে পারতেন না। টাকার অভাবে প্লেনে নয়, ট্রেনেই গিয়েছেন নিউ জলপাইগুড়ি। সস্তার জ্যাকেট পরে যুঝেছেন সামিট ক্যাম্পের হাড় জমিয়ে দেওয়া ঠান্ডার সঙ্গে।
অর্থের সমস্যায় ভুগেছেন ছন্দা গায়েনও। এক দিকে স্পনসরের দরজায় দরজায় ঘোরা, অন্য দিকে সকালে আড়াই ঘণ্টা, বিকেলে দেড় ঘণ্টা মাঠে ফিটনেসের জন্য হাড়ভাঙা অনুশীলন। একই টানাপোড়েনে নাজেহাল ছিলেন আরেক অভিযাত্রী দেবদাস নন্দী। দেবদাসবাবু পেশায় বেসরকারি নির্মাণ সংস্থার সুপারভাইজার। সরকার থেকে ৫ লক্ষ টাকা পাওয়ার পর আত্মীয়-বন্ধুরাও সাহায্য করেছেন। তার পরেও বাকি টাকার জন্য ঘোরাঘুরি করতে গিয়ে অফিস কামাই হত। ভাগ্যিস সহকর্মীদের প্রশ্রয় পেয়েছিলেন!
টাকার সমস্যা হয়তো শ্যামপুকুর থানার ওসি উজ্জ্বল রায়ের ততটা ছিল না। কিন্তু ফিটনেসের জন্য খাটুনিটা? হাজারটা কাজ সামলে বাড়ি ফিরতে কোনও কোনও দিন ঘড়ির কাঁটা গড়িয়ে যেত ১০টারও বেশি। তার পরেও চলত মাঠে গিয়ে ২-৩ ঘণ্টা দৌড়ঝাঁপ। সে’ও কি খুব আয়াসের ছিল! |
|