বেড়ানো...
চলো একটু পালাই
ভালোবাসা দিতে পারি, তুমি কি গ্রহণে সক্ষম?
রওনা হয়েছি সকাল সাতটায়, ঠিকঠাক যেতে পারলে বর্তমানে বর্ধমানে তো বটেই। কোনা এক্সপ্রেস ওয়েতে যান-জটে আটকা পড়েছি। সময় কাঁদছে কোনা এক্সপ্রেস ওয়ে আর বম্বে রোডের ক্রসিংয়ে।
গাড়ির হাল্কা কালো কাচ তোলা। ঝিরঝির করে এসি চলছে। বাইরে, সকাল ন’টাতেই, প্রথম জ্যৈষ্ঠের জামাই-তাড়ানো রোদ। সাড়ে ন’টা নাগাদ সিঙ্গুর। সূর্যটা যেন শ্মশানে শবের প্রতীক্ষায় প্রৌঢ় মাতাল ডোমের মতো ঝিমোচ্ছে।
মুকুর-মসৃণ পথ ধরে বুদবুদ-কোটা পার হয়েই ডান দিকে মোড় নিতে হল। মোড়গ্রাম-পানাগড় রাজ্য সড়ক। সোজা চলে গিয়েছে বক্রেশ্বর-তারাপীঠ হয়ে উত্তরবঙ্গের দিকে। এই গাড়ির গন্তব্য কাছেই। সিডিতে মান্না দে’র পাঁচটা গান শেষ হতে না হতেই এগারো মাইল। সামনেই অজয় নদ। টোল প্লাজা। গাড়ি ঘুরল বাঁ দিকে।
গ্রামের নাম বনকাটি। সরু পথ। দু’দিকে নিকোনো উঠোন-পাকা বাড়ি-টিনের দো’তলা বাড়ি-ঠাকুর দালান। ডান দিকে শুরু হয়েছে গাছপালা। বাঁ দিকে পুকুর। বেলা বেশ গড়িয়েছে। সামনে গরুর পাল। গাড়ির গতি শ্লথ। চোখ আটকে গেল এক অভাবিত দৃশ্যে। পুকুরে স্নান সেরে ভিজে শাড়িতে ত্রস্ত পায়ে বাড়ির পথে গাঁয়ের বধূ। পিঠে-গলায়-বুকে-কপালে সপসপে ভিজে কালো চুল। দিঘল শরীর। মধুর-অধর-বধূর দ্রুত পায়ে চলে যাওয়া দেখতে দেখতে গাড়ি গতি পেল। আর তত্‌ক্ষণাত্‌ বেজে উঠল বৃষ্টি: বলছিলাম না, লীলাময় করপুটে তোমাদের সব ঝরে যায়। অত কী দেখার আছে? সিক্ত নারী আগে দ্যাখোনি? ভালোবাসা দিতে পারি, তোমরা নিতে জানো না।
বৃষ্টি চুপ করতেই নামল বৃষ্টি। প্রথমে বড় ফোঁটায়। তার পর দিকচক্রবাল ঝাপসা করে। গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে বিশাল অশ্বত্থ গাছের তলায়। সামনেই ইছাই ঘোষের দেউল। বাঁ দিকে আস্তে আস্তে অস্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে বহু পুরনো মন্দির। উইন্ড স্ক্রিনের বাইরে ঢালু হয়ে গিয়েছে জমি। তার পর অজয়। ও-পারে বীরভূম।
কালো জিন্স-লাল টুকটুকে টি শার্ট। কপালে তোলা মহার্ঘ রোদ চশমা। আভাময় আভিজাত্যে ভিজে যাচ্ছে বৃষ্টির পাঁচ ফুট পাঁচ ইঞ্চির শরীর, গোটা ব্যক্তিত্ব।
বৃষ্টি থামতেই ইছাই ঘোষের দেউলের সামনে।
দেউল কেন বলে? দেউল মানে তো মন্দির। এটা কি মন্দির? না মনুমেন্ট? কে তৈরি করিয়েছিল? কেন করিয়েছিল? কবে গড়েছিল?
প্রশ্নের ঝড়। সামলাতে বলতেই হয়, বৃষ্টি সব বলব। দুপুর গড়ায়। আগে গেস্ট হাউসে চলো। ফ্রেশ হয়ে লাঞ্চ। বিকেলে আবার আসব। যেটুকু জানা গিয়েছে, সব বলব।
দেউলের অদূরেই, পিছন দিকে, অজয়-মুখো গেস্ট হাউস। তিন তলা ছিমছাম, নিরিবিলি। পাশেই পুকুর। সরু চালের ভাত-আলু ভাজা-বেগুন ভাজা-কুচো মাছ ভাজা-স্থানীয় মাছের ঝোল-পাঁপড়-আমের চাটনি-রসগোল্লা। ঘণ্টা দুয়েক বিশ্রামের পর ফের অশ্বত্থ তলায়। গাছের তলায় শ্যামা মায়ের মিষ্টি মূর্তি-ছোট্ট মন্দির। এবং দেউলের পদতলে।
বৃষ্টি জানো, আনুমানিক সপ্তম শতকে, স্থানীয় দুগ্ধ ব্যবসায়ীদের নেতা, ডাকাবুকো ইছাই ঘোষ কালক্রমে এলাকার ডন হয়ে ওঠেন। চ্যালেঞ্জ জানান তত্‌কালীন গৌড়ের রাজাকে। যুদ্ধে জয়ী হয়ে নিজেকে ‘রাজা’ ঘোষণা করেন। তৈরি করান এই বিজয়-কেতন। কেউ কেউ বলেন, এটা দেবী ভগবতীর মন্দির। প্রমাণ মেলে না। এখানে বহু কাল কোনও মূর্তি নেই। কালের করাল থাবা মন্দির গাত্রে। ভাঙা মন্দির-দ্বারে তেমন কেউ আসেও না। তা ছাড়া দেখছ তো, জঙ্গুলে পথ পার হয়ে আসতে হয়। আর এখান থেকে অজয়ের পাড় বরাবর পশ্চিমে মাইল দুয়েক হাঁটলে গভীর জঙ্গল। শ্যামারূপার মন্দির আছে সেখানে। যাবে?
অশ্বত্থের উল্টো দিকে ছোট্ট চায়ের দোকান। দেশি মুরগির ডিমের বড়া আর কালো চা খেয়ে ফের গেস্ট হাউসের পথে।
সোনার থালার মতো চাঁদ উঠেছে পশ্চিমাকাশে। নাকি অন্তরীক্ষে? মনোস্থাপন করব ভিক্ষে? বলব বৃষ্টিকে না-বলা তিনটে শব্দ! বলার আগেই বেজে ওঠে বৃষ্টি: দ্যাখো নীল আকাশ, সাদা মেঘ, মনে হচ্ছে চলমান চাঁদ!
বিশাল অজয় তখন ক্ষীণতোয়া। শুধু বালির বিস্তার আর বিবর্ণ কাশফুল। ‘কী রোমান্টিক লাগছে না নদীটাকে?’
—বৃষ্টি, অজয় কিন্তু নদী নয়, নদ।
—রাখো তোমার তত্ত্ব-কথা। আমি নদীতে নামব।
—কিন্ত তুমি কি জানো, বর্ধমান-বীরভূমের এই অঞ্চল এই সময় কাল কেউটে আর গোখরোর জন্য কুখ্যাত!
—আমি মহাষ্টমীর দিন উপোস করে অঞ্জলি দিই। মনসার বাহন আমার কী করবে? ও সব মানি না। তাকে ম্যানেজ করেন অতিথিশালার অমায়িক ম্যানেজার।
চার চাকা, ছয় দিক
• হাতে ৬/৭ ঘণ্টা সময় নিয়ে কলকাতা থেকে গাড়িতে মালদহ চলে যান অনেকেই। গৌড় আর পাণ্ডুয়ার ঐতিহাসিক স্থাপত্যের টানে। রাত কাটান ডব্লুবিটিডিসি-র কটেজে।
• চার চাকায় মুর্শিদাবাদ সফর বেশ জমাটি। ইতিহাস লুটিয়ে আছে পায়ে পায়ে। নবাব নাজিম হুমায়ুন খাঁ-র হাজারদুয়ারি। সিরাজের আমলে তৈরি মদিনা। ঘড়িঘর, ইমামবাড়া, ফুটি মসজিদ, জগত্‌ শেঠের বাড়ি ...। সময় লাগে কলকাতা থেকে প্রায় ৫ ঘণ্টা। রাত কাটাতে প্রচুর প্রাইভেট হোটেল আছে।
• পুরুলিয়ার গড়পঞ্চকোট লং ড্রাইভের আর এক ঠিকানা। জঙ্গল ঘেঁষা ডব্লুবিএফডিসি-র ডেরা। যেতে কলকাতা থেকে বড়জোর সাড়ে ৪ ঘণ্টা।
• মুকুটমণিপুর। সময় লাগে ঘণ্টা ৫। কংসাবতী আর কুমারী নদীর সঙ্গমে। হ্রদ, বিশাল লম্বা বাঁধ, চারপাশে সবুজ আর সবুজ, কাছে-দূরে পাহাড়ি টিলা। এখানে সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত দেখাও অসাধারণ অভিজ্ঞতা। রাত কাটাবার জন্য আছে ডব্লুবিটিডিসি-র রিসর্ট।
• গোপগড়। মেদিনীপুরে। কংসাবতী নদীর পারে। জঙ্গলের একেবারে গায়ে বনদপ্তরের কটেজ। লাল মাটির বিশাল চত্বর। তার ভিতরেই এক কোণে পড়ে আছে বিরাট রাজার ভগ্নস্তূপ। যেতে সময় লাগে কলকাতা থেকে ৪ ঘণ্টা।
• তিন নদীর সঙ্গমে গাদিয়াড়াও লং ড্রাইভের পক্ষে আদর্শ। এখানেও রয়েছে ডব্লুবিটিডিসি-র রিসর্ট। নদীর একেবারে ধারে। যেতে সময় লাগে সাড়ে ৩ ঘণ্টা।
যোগাযোগ: ২২৪৩৭২৬০/ ৪৪০১/২৬৫৯-৬৫ (ডব্লুবিটিডিসি), ২২৩৭০০৬০/৬১ (ডব্লুবিএফডিসি), ০৩২২২২৭৫৮৬৯ (গোপগড়)
তথ্য সহায়তা: অয়ন গঙ্গোপাধ্যায়
রাত ন’টা। অতিথিশালার বিশাল ছাদে আমরা দু’জন। আর অকৃত্রিম বন্ধু কঙ্কন। কর্পোরেট কর্তা, কিন্তু কম কথার মাটির মানুষ। ছানা-কাটা-জল-জ্যোত্‌স্নায় ভেসে যাচ্ছে জগত্‌-সংসার। কাট গ্লাসে উপচে উঠছে তরল-গরল। কারও মুখে কথা নেই। ‘পৃথিবীর সব স্বপ্ন তখন সে-কুমারীর মুখের আশ্রয়ে’।
সকালে জঙ্গুলে পথে অনেক হেঁটে শ্যামারূপার মন্দির। ডান দিকে অজয়। সেখানে এখনও শান্তিনিকেতনি-ভিড় ভাবাই যায় না।
সাড়ে ন’টার মধ্যেই ইলামবাজার জঙ্গল। শ্রীনিকেতনের পথে। ইলামবাজার জঙ্গল এক সময় ডাকাতির জন্য কুখ্যাত ছিল। জঙ্গলের মাঝেই ধল্লার মোড়।
ডান দিকে লাল-পথ চলে গিয়েছে সবুজ শাল-জঙ্গল চিরে। গাড়িতে মিনিট আষ্টেক। তার পরেই শাল-জঙ্গলের মধ্যে এক টুকরো স্বর্গ-উদ্যান— ‘বানজারা হাট’। অজস্র গোলাপ ফুটে আছে সে অতিথিশালার বাগানে। লেবুর শাখা শুয়ে আছে সবুজ ঘাসের উপর। আছে শাল-পিয়াল-পেয়ারা-আম-লেবু গাছ। ফলে ভরা। ছ’টা তাঁবু। দ্বিশয্যার। ছ’টাই বিদেশি। এবং বেশ দামি ও নিরাপদ। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত। তাঁবুগুলোর সামনে মারকাটারি হলুদ সর্ষে খেত। উঁচু কাঁটা তারে ঘেরা বিশাল এলাকা জুড়ে ‘বানজারা হাট’। জমকালো অনুষ্ঠান বা পার্টির জন্য পৃথক সবুজ মাঠ। মহার্ঘ মিউজিক সিস্টেম। মেঘলা দিনে দুপুর বেলায় সে বন-নিলয়ে বনের বাঘ না-বের হলেও ভালবাসার চিরকালীন বাঘ বের হবে মনে। আর রাতে শাল গাছের মাথার উপর চাঁদ উঠলে? সেই রাত তোমার-আমার। রসুই থেকে আসছিল টাটকা মাছ ভাজা, বকফুল ভাজা, বেগুনি, লঙ্কার চপ, ধনে পাতার বড়া। হাতে ইন্দ্র-কাঙ্ক্ষিত পান-পাত্র। রাতে দেশি মুরগির ঝাল ঝাল মাংস। সব কিছু পরিবেশ-বান্ধব। যাবেন সে বন-বাড়িতে? বোলপুর স্টেশন থেকে তাদের গাড়িতে? তবে সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে সুরা থেকে সিগারেট, ডায়জেস্টিভ থেকে কন্ট্রাসেপটিভ। কারণ, ‘বানজারা হাট’ শহর-সভ্যতা থেকে অনেক দূরের এক শুদ্ধ-সত্ত্ব-সবুজ-নক্ষত্র।
চেক লিস্ট
• গাড়ির সমস্ত নথিপত্র সঙ্গে রাখা
• গাড়ির প্রতিটি অংশ ঠিকঠাক রাখা। টায়ার, টিউব, ব্রেক, সাসপেন্সর, আলো, ওয়াইপার, চাকা ও স্টিয়ারিংয়ের অ্যালাইনমেন্ট ঠিক আছে কিনা দেখে নেওয়া। গাড়ি ‘গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স’ যেন ভাল হয়। অর্থাত্‌, গাড়িটির নীচের অংশ যাতে রাস্তা থেকে একটু উঁচুতে থাকে
• পারলে রাতে চালানোটা এড়িয়ে চলা
• গাড়িতে দু’জন ড্রাইভার থাকলে ভাল
• ওভারটেক, খুব দ্রুত গাড়ি চালানো কখনওই নয়। রাস্তার মাঝখান দিয়ে নিয়মমতো গাড়ি চালানো
• গাড়ির মধ্যে খুব জোরে মিউজিক সিস্টেম না চালানো, চেঁচিয়ে কথা বলা বন্ধ রাখা, মদ্যপান না করা, শুকনো খাবার, জল সঙ্গে রাখা
• ঘণ্টা দেড়েক বাদে বাদে একটু ব্রেক নেওয়া দরকার
• আলোর ক্ষেত্রে ‘ডিপার’ ব্যবহার করা, যাতে সোজাসুজি আলো গিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ির ড্রাইভারের চোখে না পড়ে
• ঘুম-ঘুম লাগলে থেমে যাওয়া
• ফার্স্ট-এড কিট সঙ্গে রাখা
• নিজের গাড়ি না থাকলে চেনা ও বিশ্বস্ত এজেন্টের কাছ থেকে গাড়ি নেওয়া
পরামর্শ: ধ্রুব মুখোপাধ্যায় ও ডা. সিদ্ধার্থ পুরকায়স্থ
সকাল সাতটা। শ্রীনিকেতন। পেরিয়ে যাচ্ছে প্রতীচি, খোয়াই, বুড়োর আশ্রম, রামকিঙ্করের ভাস্কর্য, কাচের মন্দির, বিশাল বট গাছ। গাড়ি দ্রুত গতিতে পেরিয়ে যাচ্ছে শ্যামবাটি, ডিভিসি’র খাল। বাঁ দিকে সোনাঝুরি। গাড়ি ডান দিকে, পুবমুখো। পার হয়ে যাচ্ছে প্রান্তিক স্টেশন।
প্রান্তিক থেকে গাড়িতে মিনিট দশেক গেলেই মায়ের মন্দির। কঙ্কালীমাতার ছোট্ট-সুন্দর মন্দির। একান্ন পীঠের অন্যতম কঙ্কালীতলায় কোনও মূর্তি নেই। পটচিত্র। কথিত আছে, এখানেই সুদর্শন চক্রে ছিন্ন হওয়া মায়ের কোমরের অংশ পড়েছিল। পাশেই মহাশ্মশান। গোটা চত্বর গাছগাছালিতে ভরা। আর আছে অপার শান্তি। মন্দিরের পাশে উঁচু জমি। সেখানে সারাক্ষণ গান গেয়ে যান বীরভূমের বাউলরা। আর আছে একটা ছোট্ট পুকুর। বীরভূমের গরমেও সেই পুকুরের জল শুকোয় না। লোকশ্রুতি, বছরে একবার সে পুকুরে জলোচ্ছ্বাস হয়।
লাল পাড় ঘি রং শাড়ি। লাল ব্লাউজ। শ্যামল-কোমল কপালে লাল প্রসাদী টিপ। এই প্রথম দেখলাম বৃষ্টিকে, এই বেশে। এই প্রথম দেখলাম নতজানু হয়ে পুজো দিতে। কী বললে মাকে?
বললাম, ‘মাগো, কঙ্কনদার পা দু’টো ফের সবল করে দাও। পথ ওর এত প্রিয়, কেড়ে নিও না।’
হাতে রইল স্টিয়ারিং
ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত
যখনই সুযোগ পাই, বেরিয়ে পড়ি। দু’তিন মাসে একবার তো বটেই। কলকাতায় থাকলে বিশেষ হয়ে ওঠে না। মুম্বইতে গাড়ি নিয়ে মাঝে মাঝেই লোনাভালা কী পুনে যাওয়া চলে যাই। এমনিতে রাতেই লং ড্রাইভ-য়ে বেরই। আমি আর আমার বউ। নিজেরাই ড্রাইভ করি। ঘুরেটুরে কোথাও খাওয়াদাওয়া সেরে,আড্ডা দিয়ে ভোরের আগেই ফেরা। ছুটি থাকলে ভোর বেলায় বেরিয়ে পড়ি। তখন সারাটা দিন বাইরেই খাওয়া। একেবারে ব্রেকফার্স্ট থেকে। সেই রাতে ফেরা। পুণেতে আমার কয়েকজন বন্ধু আছে, ওরাও জয়েন করে। সবমিলিয়ে বেশ ফ্রেশ লাগে।
শিলাজিত্
গাড়ি চালানোটা খুব এনজয় করি। কলকাতার আশেপাশে আড়াই-তিন ঘণ্টার জার্নিতে যত ট্যুরিস্ট স্পট আছে, নিজেই ড্রাইভ করে যাই। বীরভূমের গড়গড়িয়ায় আমার দেশের বাড়ি। মাসে দু’বার অন্তত ওখানে যাই গাড়ি নিয়েই। অনেকগুলো পুকুর দিয়ে ঘেরা লাল মাটির গ্রাম। গড়গড়িয়া যেতে বর্ধমান পেরিয়ে খড়িরগণ্ডি বলে একটা জায়গা পড়ে। নদীর ধারে। ওখানে মাঝেমাঝেই থেমে যাই। নদীর ধারে বসে পারাপার দেখি। এবারে দার্জিলিঙে শুটিংয়ে গিয়ে ছবির কারণেই পাহাড়ে গাড়ি চালাতে হল। দিন কয়েক ধরে ভাবছি, গাড়ি নিয়ে দার্জিলিং গেলে কেমন হয়!

মডেল: লক্ষ্মীরতন শুক্ল, তনুশ্রী চক্রবর্তী
তনুশ্রীর স্টাইলিং: স্যান্ডি
ছবি: কৌশিক সরকার


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.