জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সরকারি জমি দখল মুক্ত করাকে স্বাগত জানাল সব রাজনৈতিক দল। পাশাপাশি, শিলিগুড়ি ও সংলগ্ন যে সব জায়গায় সরকারি জমি দখল হয়ে আছে তাও মুক্ত করার দাবি জানিয়ে সরব হয়েছে তারা। বৃহস্পতিবার জেলাশাসকের নেতৃত্বে মাটিগাড়ার একটি বিস্কুট কারখানা-সহ চারটি এলাকায় সরকারি জমিতে থাকা বেআইনি নির্মান ভেঙে দেওয়া হয়। যার বাজার মূল্য ১৬ কোটি বলে জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন জানিয়েছেন।
শুক্রবার বামফ্রন্টের দার্জিলিং জেলার আহ্বায়ক অশোক ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন, শিলিগুড়ি শহরে বহু জমি এখনও দখলদারদের হাতেই রয়েছে। তিনি বলেন, “এটা তৃণমূল সরকারের ভাবমূর্তি উদ্ধারের চেষ্টা। তৃণমূল কর্মীরাই বিভিন্ন জায়গায় জমি দখল করে রেখেছেন।” তিনি কয়েকজনের নামে অভিযোগও করেছেন। মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক ও কংগ্রেসের দার্জিলিং জেলা (সমতল) সভাপতি শঙ্কর মালাকার বলেন, “২০টি জায়গা চিহ্নিত করে তার তালিকা তৈরি করে দিয়েছি। কিছু দখলদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও অভিযান হচ্ছে না।”
অশোকবাবুর অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে তৃণমূল জেলা সহাসচিব কৃষ্ণ পাল বলেন, “যাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে তারা বাম আমলেই অশোকবাবুদের সময়ে দখল করেছিলেন। অশোকবাবুরা নিজেরা অর্থের বিনিময়ে সরকারি জমিতে প্রচুর বহিরাগতদের বসিয়েছেন।” বিজেপির দার্জিলিং জেলা সভাপতি নৃপেন দাস অবশ্য সরকারি জমি দখলমুক্তকরণের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।
দার্জিলিঙের জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন বলেন, “আরও কিছু সরকারি জমি দখল করে নির্মাণের অভিযোগ আছে। পরে অভিযান চালানো হবে।” |