|
|
|
|
|
জেলা আরটিএ-তে আর্জি জানালেই পারমিট
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
|
নতুন বাস বা গাড়ির পারমিট পাওয়ার জন্য কাকদ্বীপ, কোচবিহারের মতো দূরদূরান্ত থেকে আর মহাকরণে আসতে হবে না। রাজ্যের পরিবহণ দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এ বার জেলার আঞ্চলিক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ বা আরটিএ-র কাছে আবেদন করলেই নতুন গাড়ির পারমিট পাওয়া যাবে। সরকারের এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টও। কিন্তু নতুন ব্যবস্থায় ঢালাও পারমিট দেওয়ার সম্ভাবনা আটকাতে একটি টাস্ক ফোর্সও তৈরি করা হয়েছে।
সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থের মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলায় সরকারের পক্ষে রায় দিয়ে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত বলেন, “২৪ বছর পরে সরকারের ঘুম ভেঙেছে। এটা আগেই করা উচিত ছিল। হাইকোর্ট এচে কোনও ভাবেই হস্তক্ষেপ করবে না।”
প্রায় ২৪ বছর আগে, ১৯৮৮ সাল থেকে আন্তঃজেলা (দুই বা তার বেশি জেলা)-র রুটে চলাচলকারী গাড়ির পারমিট দেওয়া হচ্ছে মহাকরণ থেকে। পারমিট দেয় স্টেট ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (এসটিএ)। এসটিএ থেকেই জেলা-ভিত্তিক রুট তৈরি করে পারমিট দেওয়ার ব্যবস্থা চলে আসছে। পরিবহণ দফতরের এক কর্তা জানান, কলকাতা থেকে পারমিট দেওয়া হত বলে গাড়ি-মালিকেরা অযথা হয়রানির শিকার হতেন। অনেক সময় পারমিট পেতে বছর গড়িয়ে যেত। পারমিট দেওয়ার ব্যবস্থাটা কার্যত চলে গিয়েছিল দালাল চক্রের হাতে। ওই কর্তার কথায়, “যে-পারমিট ১৫ দিনেই পাওয়ার কথা, তা পেতে বছর ঘুরে যেত। পারমিট দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা এবং দ্রুততা আনতেই সরকার বিকেন্দ্রীকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বার থেকে পারমিট দিতে পারবে আরটিএ-ই।”
ইতিমধ্যে আঞ্চলিক পরিবহণ কর্তৃপক্ষকে পারমিট দেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছে। তিনটি জেলা দিয়ে গিয়েছে, এমন রুটের দূরপাল্লার বাসের পারমিট দিতে পারবে আরটিএ। ধীরে ধীরে তিনের বেশি জেলা দিয়ে যাওয়া বাসের ক্ষেত্রেও পারমিট দেওয়ার অধিকার দেওয়া হবে আরটিএ-কে। ঠিক হয়েছে, তিনটি বা তার বেশি জেলা দিয়ে কোনও রুট থাকলে যে-জেলায় তার সব চেয়ে বেশি অংশ রয়েছে, পারমিট দেবে সেই জেলারই আরটিএ। পারমিটের নতুন ব্যবস্থা নিয়ে বাস-মালিক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকও করেছে পরিবহণ দফতর।
বাস-মালিক সংগঠনগুলির সাধারণ ভাবে সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে তাদের আশঙ্কা, এর ফলে ঢালাও পারমিট দেওয়া শুরু হতে পারে। জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটসের নেতা তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এতে বাস-মালিকেরা উৎসাহ পাবেন।” নতুন ব্যবস্থা বলবৎ করতে গিয়ে জেলায় রুট নিয়ে সমস্যা তৈরি হবে মনে করছে প্রশাসনের একাংশ। তবে জেলায় বাসের সংখ্যা বেড়ে গেলে আখেরে লোকের যাতায়াতের সুবিধা হবে বলেও মনে করে তারা। |
|
|
|
|
|