|
|
|
|
টুকরো খবর |
‘বদলা’র খুন ঘিরে উত্তেজনা
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথগঞ্জ |
বাজার ফেরত এক ব্যক্তিকে শুক্রবার গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠল। মৃত চন্দন দাস রঘুনাথগঞ্জের সাধুয়ার বাসিন্দা। মৃতের পরিজনদের দাবি, দিন কয়েক আগে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল নিস্তা গ্রামের যুবক অসিত ঘোষের। ময়নাতদন্তে তার প্রমাণও মেলে। কিন্তু তাঁর আত্মীয়দের সন্দেহ, মৃত্যুর পিছনে ছিল চন্দন। তাই ‘বদলা’ নিতে এ দিন চন্দনকে খুন করা হল বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে যান জেলা পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর। পুলিশ নিস্তা গ্রামে অভিযুক্তদের বাড়িতে যায়। কিন্তু সেখানে কারও দেখা মেলেনি। চন্দনের দাদা তপন দাস বলেন, “সন্দেহের বশে ভাইকে খুন করা হল।” প্রত্যক্ষদর্শী সুদান দাস বলেন, “জনা পাঁচেক লোক বৃষ্টির সময় একটি চায়ের দোকানে অপেক্ষা করছিল। আমাকে সরে যেতে বলে। রওনা দিতেই গুলির আওয়াজ শুনি।” পুলিশের জালে ‘অপহৃত’ লগ্নি কর্তা নিজস্ব সংবাদদাতা: ছাড়া পেয়ে গেল অপহরণে অভিযুক্তেরা। অপহৃতের ভাগ্য এখন পুলিশের হাতে। আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে না পেরে মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতায় পালিয়ে এসেছিলেন লগ্নি সংস্থার কর্ণধার। তাঁকে ‘অপহরণ’ করে মুর্শিদাবাদেই ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন কিছু এজেন্ট। কিন্তু পথেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেল দলটি। শুক্রবার অপহরণের অভিযোগে প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ ওই ন’জন এজেন্ট ও গাড়িচালককে গ্রেফতার করে। অপহরণকারীদের কবল থেকে ছাড়া পেলেও মুর্শিদাবাদ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় অপহৃতকে। জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, মহম্মদ মুস্তাকিন নামে ওই কর্ণধারকে গ্রেফতার করেছে। অন্য দিকে, অপহরণে অভিযুক্তদের এ দিন আলিপুর পুলিশ আদালতে হাজির করায়। বিচারক ধৃতদের জামিন মঞ্জুর করেন।
|
বাড়ি ফিরল দুই শিশু
নিজস্ব সংবাদদাতা • রানাঘাট |
অবশেষে বাড়ি ফিরল বছর ছয়েকের জেসী ও গ্রেসী। শুক্রবার রাতে রানাঘাটের এসডিপিও সুপর্ণ রায়চৌধুরী ওই দুই শিশুকে বাবার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন। ঘরে জল-খাবার দিয়ে তালাবন্দি করে সোমবার শিশুদুটির মা রানু অধিকারী রাঁচীতে হস্টেল থেকে মেজো মেয়েকে আনতে যান। একা ঘরে দুই বোনকে কাঁদতে দেখে মঙ্গলবার পড়শিরা পুলিশে খবর দেন। সেই থেকেই তারা সরকারি নিরাপত্তায় ছিল। এ দিকে বুধবার রাতে মেজো মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফেরেন রানুদেবী। এসেই দেখেন একরত্তি দুই মেয়ে পুলিশি প্রহরায়। এ দিন শিশু দু’টিকে কৃষ্ণনগরে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। কমিটির চেয়ারপার্সন রীনা মুখ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শিশুদুটিকে এসডিও-র কাছে পাঠানো হয়েছে। মহকুমাশাসক সুপর্ণ রায়চৌধুরীর বক্তব্য, “বাবার আবেদনের ভিত্তিতে দু’টি শিশুকেই বাড়ি ফেরানো হয়েছে।” মা রানুদেবী বলেন, “বাচ্চাদের ফিরে পেয়ে খুব ভাল লাগছে।” বাবা নিখিল অধিকারী জানান, ওদের মায়ের ভুল হয়েছিল। পড়শিদের জানিয়ে গেলে এমনটা ঘটত না। |
|
|
|
|
|