|
|
|
|
পঞ্চায়েত ভোট
|
গোলমালের আশঙ্কা মুর্শিদাবাদে
নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
মুর্শিদাবাদ জেলার ৪৯১০টি বুথের জন্য রয়েছে মাত্র ১০ হাজার পুলিশ। এত কম সংখ্যক পুলিশ দিয়ে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করানো নিয়ে প্রশাসনিক মহলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আতঙ্কিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বও।
পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘন্ট অনুযায়ী দ্বিতীয় দফায় ৬ জুলাই মুর্শিদাবাদের ২৫৪টি পঞ্চায়েত ও ২৬টি পঞ্চায়েত সমিতিতে ভোটগ্রহণ হবে। জেলার ৪৯১০টি বুথের মধ্যে সবগুলিই স্পর্শকাতর। তার মধ্যে অতি স্পর্শকাতার ও স্পর্শকাতার বুথের সংখ্যা ৬০ শতাংশ, বাকি ৪০শতাংশ বুথ অপেক্ষাকৃত কম স্পর্শকাতর বলে জেলা পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে ‘সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট করা নিয়ে’ আশাবাদী জেলা পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর। কিন্তু ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে জেলায় সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট নিয়ে সংশয়ে বিভিন্ন রাজনৈতি ক নেতৃত্ব। জেলা কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরী যেমন বলেন, “আমার দলের সকলেই ধোয়া তুলসি পাতা বলে আমি দাবি করতে পারি না। তেমনি বিরোধী দলেও যে কুখ্যাত লোকজন নেই, তা নয়। তাই পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে মুর্শিদাবাদে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট করা সম্ভব নয়।” গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সরকারি ভাবে ভোটগ্রহণের দিনই ডোমকল মহকুমা এলাকার বিভিন্ন বুথে ভোটের বলি হন ১৭ জন। বেসরকারি ভাবে ওই মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়ে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শতাধিক নেতা-কর্মী বোমা-গুলির আঘাতে জখম হয়ে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন। এ প্রসঙ্গে সিপিএমের জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য বলেন, “জেলায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য উপযুক্ত পুলিশি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা চাই। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলায় ১১ জন ঘটনাস্থলে মারা যান। পরে হাসপাতালে মারা যান আরও ৬ জন। ফলে মুর্শিদাবাদের মত উত্তেজনা প্রবণ এলাকায় সশস্ত্র ও আধাসামরিক বাহিনী দিয়ে ভোট করানো উচিত বলে আমরা এখনও মনে করি।” পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলায় খুন-সন্ত্রাস হবে বলে মনে করেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি আবু সুফিয়ান। তিনি বলেন, “কোনও রাজনৈতিক দলই জেলায় এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে দেবে না। ফলে রেষারেষি থেকেই ভোটের দিন গণ্ডগোল ঘটবে বলে আশঙ্কা রয়েছে।” |
|
|
|
|
|