নেতাজুল ইসলামের স্ত্রী তারিফা খাতুন বহরমপুর থানায় কনস্টেবল। অভিযোগ, ওই দম্পতি গোরাবাজারে যেখানে বাড়ি ভাড়া করে থাকেন, সেখানে সপ্তাহ খানেক আগে রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ তিন জন অপরিচিত লোক এসে নিজেদের তৃণমূল কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে তাদের ‘তৃণমূলের দিলীপদা পাঠিয়েছে’ বলে জানায়। নেতাজুলবাবুর অভিযোগ, “ওখানে বাড়ি করতে হলে দিলীপদা ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথাও বলেছে বলে তারা জানায়। ব্যাঙ্ক ঋণ করে আমি বাড়ি করছি। ফলে ওই টাকা দিতে পারব না বলে জানাই। তখন তারা ওই টাকা দিতে না পারলে বাড়ি তৈরি আটকে যাবে বলে।”
বহরমপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য দিলীপ রায়ই কি দিলীপদা? গত পঞ্চায়েত ভোটে তিনি কংগ্রেসের হয়ে জিতে পরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তৃণমূলের তরফে ভাকুড়ি-১ পঞ্চায়েত এলাকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁকে। দিলীপবাবু অবশ্য বলেন, “গত ২৬ বছর ধরে রাজনীতি করছি। কোনও টাকাপয়সা লেনদেনের সঙ্গে আমি জড়িত নই।”
গত ৩ মে থেকে ওই বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়। বাড়ির তিন ফুট দূরত্বে প্রতিবেশী শুভেন্দু মণ্ডল বাড়ি তৈরি করেছেন। কিন্তু সে ক্ষেত্রে ‘পুকুর ভরাটের’ কোনও অভিযোগ ওঠেনি। এ দিনের আন্দোলনে অবশ্য ছিলেন না বহরমপুর ব্লকের পূর্বপাড়ের দায়িত্বে থাকা তৃণমূলের জেলা নেতা সত্যেন চৌধুরী। সত্যেনবাবু বলেন, “এক সময়ে ওখানে পুকুর ছিল। পরে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের অনুমতি নিয়ে পুকুর থেকে ভিটা জমিতে পরিণত হয়েছে। অন্যরা বাড়ি করতে পারলে, ওই দম্পতি কেন পারবেন না!” এ দিনের আন্দোলনের কোনও যৌক্তিকতা নেই বলে সত্যেনবাবু জানান। তিনি বলেন, “আন্দোলনের পিছনে কোনও অসত্ উদ্দেশ্য রয়েছে কি না, তা দেখা উচিত।” যাঁর নেতৃত্বে এই আন্দোলন, তৃণমূলের যুবনেতা উত্পল পাল অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি। |