|
|
|
|
সামান্য বাধাতেই প্রকল্প থমকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
একবার জমির মাপজোক করতে গিয়ে বাধা পেয়েছিলেন এক আধিকারিক। তারপর থেকে আর কাজ এগোয়নি। ফলে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ‘নিজ গৃহ নিজ ভূমি’ প্রকল্পের কাজ থমকে গিয়েছে বলে অভিযোগ উপভোক্তাদের। ইতিমধ্যে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে এই নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন কয়েকজন। শেখ ইসরাইল, শেখ সানু, সুফিয়া বিবিদের অভিযোগ, তাঁদের মতো অসহায়, গরিব মানুষদের এই প্রকল্পে জমি দেওয়ার ক্ষেত্রে দফতরেরই একাংশ আধিকারিক গড়িমসি করছেন। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর।
দফতরের মহকুমা (সদর) আধিকারিক আশিস সরকারের বক্তব্য, “একবার খাসজঙ্গল এলাকায় জমির মাপজোক করতে গিয়ে এক আধিকারিক বাধা পেয়েছিলেন। ঘটনার পর দু’পক্ষকে নিয়ে শুনানিও হয়। তবে কাজ না-এগোনোর অভিযোগ ঠিক নয়।”
আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে সমস্ত ভূমিহীন মানুষকে বাড়ি তৈরি করে দিতে উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ জন্য ভূমিহীন মানুষকে ‘নিজ গৃহ নিজ ভূমি’ প্রকল্পের আওতায়ে নিয়ে আসা হচ্ছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্যের নতুন সরকার শুরুতে ১ লক্ষ উপভোক্তাকে জমি দিয়ে বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। এ জেলার জন্য বরাদ্দ হয় ৩ হাজার বাড়ি। গত ডিসেম্বর মধ্যে এই কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তা হয়নি। সব জেলায় সমান গতিতে কাজ না-এগোনোয় ‘টাস্ক ফোর্স’ গঠন করার করার নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার। নির্দেশে জানানো হয়, একেবারে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে ‘টাস্ক ফোর্স’ গঠন করতে হবে। সরকারের এই প্রকল্পের জন্য বিভিন্ন ব্লকে এক বা একাধিক জায়গা চিহ্ণিত করা হয়েছে। যেগুলো খাস। জমি ভূমি দফতরের হাতে রয়েছে। মেদিনীপুর সদর ব্লকের খাসজঙ্গলে তেমনই একটি জায়গা চিহ্ণিত করা হয়। সব মিলিয়ে ৩৩ জনের নামের একটি তালিকাও তৈরি করা হয়। শেখ ইসরাইল, শেখ সানুদের দাবি, ওই তালিকায় তাঁদের নাম রয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে জমিটির মাপজোক করতে গিয়েছিলেন এক রাজস্ব পরিদর্শ। মাপজোক চলাকালীন স্থানীয় এক বাসিন্দা কাজে বাধা দেন বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি দেখে মাপজোক বন্ধ রেখেই অফিসে ফিরে এসেছিলেন ওই রাজস্ব পরিদর্শক। এরপরই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। |
|
|
|
|
|