|
|
|
|
‘থমকে’ হলদিয়ায় বৈঠক ৩১ মে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
বিরোধী তৃণমূল অনাস্থা আনার পর থেকেই চাপানউতোর চলছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বাম পরিচালিত হলদিয়া পুরসভায়। অস্থির পরিস্থিতিতে থমকে পুরসভার উন্নয়নমূলক কাজ। এই প্রেক্ষিতে ৩১ মে, শুক্রবার সপ্তম উন্নয়নমূলক বোর্ড মিটিং ডাকতে চলেছে পুর-বোর্ড। যদিও উত্তপ্ত এই পরিস্থিতিতে আদপে বৈঠক করা যাবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন পুর-কর্তৃপক্ষ।
গত ২ মে বাম পরিচালিত হলদিয়া পুরসভার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলররা। কিন্তু নির্দিষ্ট আলোচ্যসূচি না থাকায় অনাস্থা বৈঠক ডাকা সম্ভব নয় বলে ৭ মে তাঁদের আইনি চিঠি দেন পুরপ্রধান তমালিকা পণ্ডা শেঠ। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের কথা মাথায় রেখে তৃণমূলও আর অনাস্থা নিয়ে উচ্চবাচ্য করছে না। কারণ, পুরসভায় অনাস্থা ভোটে জিততে না পারলে মুখ পুড়বে দলেরই। বিরোধী দলনেতা দেবপ্রসাদ মণ্ডলের কথায়, “আমরা বিরোধিতার সুর নরম করছি না। তবে প্রদেশের চাপে আপাতত অনাস্থার বিষয়টিতে সামান্য পিছিয়ে থাকছি। পঞ্চায়েত ভোট এর একটা কারণ হলেও হতে পারে।”
এ দিকে, ডামাডোলের মাঝে শিকেয় উঠেছে পুরসভার নিত্য দিনের কাজকর্ম। একেই নিত্য অশান্তি দেখে পুরসভায় সাধারণ মানুষের আনাগোণা অনেক কমে গিয়েছে। তার উপরে বিক্ষোভ এড়াতে ও শারীরিক অসুস্থতায় মাঝে-মধ্যেই অনুপস্থিত থাকছেন পুরপ্রধান ও উপপুরপ্রধান। অভিযোগ, কাজে মন নেই পুরকর্মীদেরও। অধিকাংশই বাড়ি চলে যাচ্ছেন তাড়াতাড়ি। একাংশ অফিসে থাকলেও কাজকর্ম করছেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুরকর্মীর কথায়, “স্লোগান, ভাঙচুর হচ্ছে। কাজের পরিবেশ নেই। কাজ করে আনন্দ নেই। পুরপ্রধান না এলে সই হচ্ছে না। আমরা তো তা-ও আসছি।”
পরিস্থিতির কথা মেনে নিয়ে উপ-পুরপ্রধান নারায়ণ প্রামাণিক বলেন, “এটা ঠিক কর্মীদের মধ্যে একটা ঢিলেঢালা ভাব দেখা যাচ্ছে। তবে পুরসভার কাজকর্ম আটকে নেই। পুরপ্রধান ও আমি অসুস্থ থাকলেও আসছি আবার। পুরসভার কাজের গতি আনতে আগামী ৩১ মে বোর্ডের মিটিং ডাকা হয়েছে। চিঠি দেওয়া হবে সমস্ত কাউন্সিলরকেই।” বোর্ড মিটিংয়ে থাকবেন কি না এখনই জানাতে পারেননি বিরোধী দলনেতা দেবপ্রসাদবাবু। |
|
|
|
|
|