দক্ষিণ কলকাতা: গড়িয়া, সোনারপুর
নেই ছাউনি
এ ভাবেই অপেক্ষা
বাসস্টপ আছে। কিন্তু ছাউনি নেই। তাই বৃজি থেকে রুবি মোড় পর্যন্ত ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের দু’ধারের বেশির ভাগ বাসস্টপে খোলা আকাশের নীচে অপেক্ষা করাটাই যাত্রীদের জন্য কার্যত নিয়ম হয়ে উঠেছে। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের অভাবে দিনের পর দিন কাঠফাটা রোদে বা প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই বাসের জন্য অপেক্ষা করাটা দস্তুর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বৃজি, পাটুলি, অজয়নগর, সিংহবাড়ি, মুকুন্দপুর, মাদুরদহ, কালিকাপুর, আনন্দপুর এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দার ক্ষোভ, দীর্ঘ দিন ধরে এই সব এলাকার অধিকাংশ বাসস্টপে ছাউনি নেই। এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, এক সময়ে এই বিস্তীর্ণ এলাকায় গোটা চারেক টিনের ছাউনি দেওয়া যাত্রী প্রতীক্ষালয় ছিল। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেগুলিও এখন আর ব্যবহার করার মতো অবস্থায় নেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বার মাদকাসক্তেরা প্রতীক্ষালয়ের টিন, লোহার পাইপ খুলে নিয়ে বিক্রি করে দিয়েছে। এ কাজ করতে গিয়ে তারা একাধিক বার স্থানীয়দের হাতে ধরাও পড়েছে। কিন্তু বিভিন্ন মহলে বার বার অভিযোগ জানিয়েও এই সব সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা মৌপিয়া সাঁতরা বলেন, “সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় গরমে ও বর্ষায়।
প্রচণ্ড গরমে রোদ এড়াতে গাছের ছায়া খুঁজে বেড়াতে হয়। আর বর্ষায় খোলা আকাশের নীচেই ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।” এলাকাবাসীর ক্ষোভ, প্রায় কয়েক হাজার বাসিন্দা ওই রাস্তা দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করেন, অথচ বাইপাসের দু’ধার জুড়ে যাত্রী প্রতীক্ষালয় না থাকার বিষয়টি বরাবর অবহেলিত।
তবে এ নিয়ে বাইপাস সংলগ্ন ওয়ার্ডগুলির পুর-প্রতিনিধিরা কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তাঁদের বক্তব্য: বাইপাস ‘কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’র (কেএমডিএ) অধীন। সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে যাত্রী প্রতীক্ষালয় নির্মাণের আবেদন করা ছাড়া তাঁদের আর কিছুই করার নেই।
কেএমডিএ-র সিইও অরূপ শা বলেন, “নিত্যযাত্রীদের এই সমস্যা আমাদের নজরে অনেক আগেই এসেছে। এখন বাইপাস চার লেন করার কাজ চলছে। এর পরে যাত্রী প্রতীক্ষালয় নির্মাণের বিষয়টিও আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে।”

ছবি: সুব্রত রায়




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.