প্রাক্তন ক্রিকেটার, প্রাক্তন ফুটবলার এমনকী বণিকসভারও মত, ক্রিকেটে গড়াপেটা সমস্যার সমাধানের একমাত্র পথ বেটিংয়ের বৈধকরণ। প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জিওফ্রে বয়কট সাফ বলছেন, “আমেরিকায় যখন বিয়ার পান নিষিদ্ধ ছিল, অবৈধ বিয়ার পানের ঘটনা বেশি করে হত, আর এর সঙ্গে মাফিয়ারাও যোগ দিয়েছিল। একই ভাবে ক্রিকেটের ক্ষেত্রেও তাই দেখা যাচ্ছে। সমাজের সবথেকে খারাপ অংশই গড়াপেটায় যুক্ত। অনেকেই ভারত সরকারকে বেটিং বৈধ করার পরামর্শ দিয়েছে। ঘোড়দৌড়ের মতো ক্রিকেটেও বেটিং বৈধ হলে দুর্নীতিটা অনেক কমবে।”
প্রাক্তন ফুটবলার ও অধিনায়ক ভাইচুং ভুটিয়া আবার বলে দেন, “ইউরোপে বেটিং কিন্তু বৈধ। ওখানে গড়াপেটা কেলেঙ্কারি তাই ফুটবলে নিত্যদিন দেখা যায় না। এখানে যেটা ক্রিকেটের ক্ষেত্রে উঠে আসছে। আমার মনে হয় বেটিং বৈধ করলেই দুর্নীতির ব্যাপারটা কমবে, প্লেয়ারদেরও লোভী হওয়া উচিত নয়। কোনও প্রয়োজনও নেই। এটা দুর্ভাগ্যজনক। তবে কয়েক জন প্লেয়ারের জন্য গোটা খেলাটাই খারাপ, ক্রিকেট খারাপ এমন বলার কোনও মানে হয় না। খেলাটা যে, কোনও প্লেয়ারের থেকে বড়।”
একই মত বণিকসভা ‘ফিকি’রও। ভারতীয় বণিকসভার পক্ষে বলা হয়েছে, “বেটিংয়ে নিষিদ্ধ করার এত প্রচেষ্টার পরও তলায় তলায় তা কিন্তু রয়েই গিয়েছে। তাই সরকারের উচিত বেটিংকে বৈধ করার কথা ভাবা।”
স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে শ্রীসন্ত সহ রাজস্থান রয়্যালসের দুই ক্রিকেটার ধরা পড়ার পর থেকে গড়াপেটার জট ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে, একে একে উঠে আসছে রথী-মহারথীদের নাম। বয়কট বলছেন, গড়াপেটার সমস্যা কিন্তু সবথেকে বেশি দেখা যাচ্ছে এশিয়াতেই। “বিশ্বের অন্য প্রান্তের দেশে এত দেখা যাচ্ছে না গড়াপেটা সমস্যা, যতটা এশিয়ায়। ভাববেন না আবার আমি ভারত, পাকিস্তান বা বাংলাদেশের বিরোধী। তবে এটাই সত্যি। ক্রিকেটকে কেন্দ্র করে যেখানে এত বিশাল পরিমাণ অর্থ উড়ে বেড়াবে, সেখানে সমস্যা তো হবেই।” |