আই এফ এ-র শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির শো-কজের জবাব দিয়ে শুক্রবার বেশি রাতে মরক্কোর বিমানে উঠে পড়লেন মোহনবাগান কোচ করিম বেঞ্চারিফা। তাঁর কলকাতায় ফেরার কথা জুলাইয়ের মাঝামাঝি। কিন্তু ফিরে এসে তিনিই ওডাফা-ইচেদের কোচিং করাবেন?
ডার্বি ম্যাচের পরদিন হঠাৎই এই গুঞ্জনে উত্তাল সবুজ-মেরুন শিবির। করিম নিজে অবশ্য বলছেন, “আমি দু’বছরের জন্য মোহনবাগানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। এখানেই কোচিং করাব।” কিন্তু ক্লাব সূত্রের খবর, টোলগে ওজবের মতোই কোচকেও চুক্তির অর্ধেক টাকায় পরের মরসুমে থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন ক্লাব কর্তারা। কিন্তু কোটি টাকার চুক্তিবদ্ধ দেশের হায়েস্ট পেইড কোচ করিম নাকি তাতে এখনও রাজি হননি। শেষ পর্যন্ত কোচ যদি নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন তা হলে তাকে কি ছেড়ে দেওয়া হবে? ক্লাব কর্তাদের একাংশ কিন্তু সে ক্ষেত্রে কোচ বদলের পক্ষেই। চুক্তির টাকা কমানোর প্রশ্নে অবশ্য করিম নিশ্চুপ। “আমি ব্যস্ত আছি। পরে ফোন করছি” বলেও আর ফোন করেননি। |
যে চিট ফান্ড কোম্পানি এ বছর সহযোগী স্পনসর হিসাবে ছ’কোটি টাকা দেবে বলেছিল তারা সরে গিয়েছে। আই লিগের নির্বাসন তুলতে দু’কোটি টাকার বোঝা ঘাড়ে। এই অবস্থায় তীব্র সমস্যায় মোহনবাগান কর্তারা। এ দিন রাতে মোহনবাগান সচিব অঞ্জন মিত্রের সল্টলেকের বাড়িতে আলোচনায় বসেছিলেন ক্লাবের শীর্ষ কর্তারা। সেখানে ঠিক হয়, দু’বছরের চুক্তিবদ্ধ ফুটবলারদের গড়ে চল্লিশ শতাংশ টাকা কমানো হবে। তাতে যদি কেউ চলে যেতে চায় ছেড়ে দেওয়া হবে। এমনকী কমানো হচ্ছে ওডাফার পেমেন্টও। রহিম নবির মতো দু’একজন অবশ্য ব্যতিক্রম। তবে দেড় কোটির টোলগেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে অর্ধেক টাকায় খেলার। বাইরের ফুটবলার বলতে ওএনজিসি-র জাপানি ফুটবলার কাতসুমি, মহমেডানের কিংশুক দেবনাথ, স্পোর্টিং ক্লুবের আদিল খানের বাগানে আশা নিশ্চিত। তবে আদিল চুক্তি করলেও এখনও হাতে টাকা পাননি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সবচেয়ে সমস্যায় ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে আসতে চাওয়া সঞ্জু প্রধান এবং নওবা সিংহ। সঞ্জুর সঙ্গে কথা হয়েছিল পঁচাত্তর লাখের। নওবার পঞ্চাশ লাখ। এর বাইরে ফ্ল্যাট-সহ আরও কিছু আবদার ছিল দু’জনের। এখন আর তাঁদের ফোনও ধরছেন না মোহন-কর্তারা। ঠিক হয়েছে, ক্লাব আই পি এল ফুটবলের জন্য কোনও চুক্তিবদ্ধ ফুটবলারকে ছাড়বে না। |