দানেশ শেখ লেন
উদ্বোধনই সার
ক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কে নেবে তাই নিয়ে চাপান-উতোরে উদ্বোধনের ছ’মাস পরেও অব্যবহৃত হয়ে রইল দানেশ শেখ লেন বাস টার্মিনাস। টার্মিনাসের নির্মাতা সংস্থা এইচআইটি ও হাওড়া পুরসভার মধ্যে চলছে চাপান-উতোর। তারই ফলে কবে ওই টার্মিনাসে বাস দাঁড়াবে তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে।
এইচআইটি-র বক্তব্য টার্মিনাস নির্মাণ তাদের দায়িত্ব, রক্ষণাবেক্ষণ নয়। আবার পুরসভা জানিয়ে দিয়েছে পরিকাঠামোর অভাবে এই দায়িত্ব তারা নিতে পারবে না।
এইচআইটি সূত্রের খবর, দানেশ শেখ লেনে রাস্তার উপরেই বাস, মিনিবাস ও ট্যাক্সি দাঁড়ানোয় প্রায়ই যানজট হয়।
সে জন্যই সেখানে নতুন বাসটার্মিনাস তৈরির পরিকল্পনা হয়। স্থানীয় কাউন্সিলর তথা হাওড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন স্বপ্না ভট্টাচার্য বলেন, “রাস্তার উপরেই বাস দাঁড়ায়। স্কুল, আবাসন আছে। প্রচণ্ড যানজট হয়। তাই এই টার্মিনাস তৈরির পরিকল্পনা করা হয়।”
টার্মিনাসটি তৈরি করে হাওড়া উন্নয়ন সংস্থা (এইচআইটি)। এইচআইটি সূত্রের খবর, টার্মিনাসটি তৈরির জন্য রাজ্য পরিকল্পনা দফতর ও পরিবহণ দফতর মিলিত ভাবে প্রায় ৯০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছিল। গত বছরের ১৭ অক্টোবর টার্মিনাসটির উদ্বোধন হয়। কিন্তু উদ্বোধনের পরে তার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। এইচআইটি-র চিফ ইঞ্জিনিয়ার মৃন্ময় চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রক্ষণাবেক্ষণ করা আমাদের কাজ নয়। আমরা তৈরি করে পুরসভাকে হস্তান্তর করে দিই।
সে বিষয়ে আমরা চিঠিও দিই, কিন্তু পুরসভা তার তার কোনও উত্তর দেয়নি।” যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে হাওড়ার মেয়র মমতা জয়সোয়াল বলেন, “এইচআইটি এখনও আমাদের টার্মিনাসটি হস্তান্তর করেনি। তবে তা করতে চাইলেও আমরা দায়িত্ব নেব না। কারণ তার উপযুক্ত পরিকাঠামো আমাদের নেই।”
এই চাপান-উতোরে সমস্যা যেমন ছিল রয়েই গিয়েছে। এখনও রাস্তার পাশেই মিনিবাস, বাস, ট্যাক্সি দাঁড়িয়ে থাকে। যানজট চলছেই। দানেশ শেখ লেন মিনিবাস কর্মী ইউনিয়নের সেক্রেটারি দেবাশিস ভাদুড়ি বলেন, “এখন রাস্তার উপরেই মিনিবাস, ট্যাক্সি দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে যানজট হয়। নতুন স্ট্যান্ডে জল নেই, আলোও নেই।”
পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র বলেন,“আমি কয়েক দিনের মধ্যেই হাওড়া যাচ্ছি। তখন বাসটার্মিনাসটি ঘুরে দেখে সেটি দ্রুত চালু করার চেষ্টা করব।”

টার্মিনাস
• লম্বায় ৮৫ মিটার
• চওড়ায় ৩০ মিটার।
• এক সঙ্গে ১৮টি বাস দাঁড়াতে পারবে।
• ট্যাক্সি দাঁড়ানোরও জায়গা আছে।
• জমিটি ছিল কেএমডিএ-র।
• রয়েছে যাত্রী ছাউনি, টিকিট কাউন্টার, ক্যান্টিন, শৌচাগার।

ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.