কাবুলে বড় ধরনের হামলা চালাল জঙ্গিরা। আজ শহরের কেন্দ্রে দু’টি বিস্ফোরণ ঘটানোর পরে আফগান পাবলিক প্রোটেকশন ফোর্সের (এপিপিএফ) দফতরেও ঢুকে পড়েছে তারা। বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন একটি আন্তর্জাতিক সংগঠনের দুই কর্মী। এপিপিএফের দফতরে এখনও চলছে লড়াই। সংঘর্ষে নিহত হয়েছে দুই জঙ্গি। আহত হয়েছেন কয়েক জন পুলিশও।
পুলিশ জানিয়েছে, বিকেল চারটে নাগাদ কাবুলের কেন্দ্রে বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। ওখানে ই আফগান গোয়েন্দা বিভাগের হাসপাতাল ও এপিপিএফের অফিস। তার পরেই এপিপিএফের অফিসে ঢুকে পড়ে তারা। ঘটনাস্থলের কাছেই ভারতীয় দূতাবাস। তবে বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, হামলার লক্ষ্য ছিল না দূতাবাস। দূতাবাসের কর্মীরা নিরাপদেই আছেন। একটি আন্তর্জাতিক সংগঠনের অতিথিশালার দুই কর্মী আহত হয়েছেন।
কাবুলের পুলিশ প্রধান জেনারেল আয়ুব সালাঙ্গি জানিয়েছেন, যথেষ্ট পরিকল্পনা করেই এই হামলা চালানো হয়েছে। দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে। এপিপিএফের দফতরে আত্মগোপন করে আছে দু’জন, তাদের মধ্যে এক জন মানববোমা বলে সন্দেহ পুলিশের। হামলার দায় স্বীকার করেছে তালিবান। |
কাবুলে সম্প্রতি সামরিক কনভয়ে তালিবানি হানায় নিহত হন ন্যাটোর দুই সেনা। আফগান গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, ক্রমশই আরও হামলা বাড়াতে পারে তালিবান। ২০১৪ সালে আফগানিস্তান ছেড়ে যাবে ন্যাটো বাহিনী। তার পরেই সে দেশে জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা সব শিবিরেরই। প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সরকার সেই সন্ত্রাস দমন করতে পারবে না কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
পাকিস্তানে সম্প্রতি সরকার বদল হয়েছে। জঙ্গি দমনের ক্ষেত্রে কড়া মনোভাব নেওয়ারই ইঙ্গিত দিয়েছেন হবু প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। আবার সম্প্রতি ভারতে এসে সামরিক সাহায্য বাড়ানোর অনুরোধ করেছেন কারজাই। ফলে, হামলা চালিয়ে তালিবান পাকিস্তান এবং ভারতকেও বার্তা দিতে চাইছে বলে ধারণা গোয়েন্দাদের।
|