|
|
|
|
থামে না কলকাতার বাস, চিঠি মন্ত্রীকে
নিজস্ব সংবাদদাতা • বুদবুদ |
দুর্গাপুর থেকে কলকাতাগামী সরকারি বাস তাঁদের এলাকায় থামানোর আবেদন জানিয়ে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্রকে চিঠি দিলেন বুদবুদের বাসিন্দারা। ওই বাসিন্দাদের অভিযোগ, দুর্গাপুর থেকে কলকাতা যাওয়ার বাসগুলি বুদবুদ বাইপাস দিয়ে চলে যায়। চারটি বাস দাঁড়নোর সিদ্ধান্ত হলেও, সেগুলি নিয়মিত দাঁড়ায় না। ফলে, কলকাতা যেতে হলে পানগড় বা বর্ধমান গিয়ে বাস ধরতে হয়। তাঁদের দাবি, বাসগুলি যদি বুদবুদে থামে তা হলে যাত্রীদের সুবিধা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুদবুদ থেকে বহু মানুষ প্রতি দিন নানা কাজে কলকাতা যান। মানকর স্টেশন থাকলেও সেখানে কলকাতা বা হাওড়া যাওয়ার দু-একটি ট্রেন ছাড়া কোনও মেল বা এক্সপ্রেস থামে না। এই অবস্থায় কাউকে কলকাতা যেতে হলে হয় বর্ধমান থেকে ট্রেন কিংবা দুর্গাপুর বা পানাগড় থেকে বাস বা ট্রেন ধরতে হয়। বাসিন্দারা জানান, বুদবুদের পাশ দিয়ে কলকাতাগামী বাসগুলি গেলেও থামে না। থামলে সুবিধা হয়, দাবি বাসিন্দাদের।
বুদবুদ বণিকসভার সভাপতি রতন সাহা জানান, তাঁরা বহুদিন ধরেই বুদবুদে কলকাতাগামী সরকারি বাস থামানোর আর্জি জানিয়ে আসছেন দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার কাছে। তাঁদের এই আবেদনে সাড়া দিয়ে চারটি বাস বুদবুদে থামানোর কথাও জানানো হয়েছিল। তার মধ্যে দু’টি বুদবুদ বাজারে ও দু’টি বাইপাসে থামার কথা ছিল। রতনবাবুর বক্তব্য, “কর্তৃপক্ষের কথা মতো বেশ কয়েক দিন বাসগুলি বুদবুদে থামছিল। কিন্তু কিছু দিন পরেই তা বন্ধ হয়ে যায়। এখন মাঝেমধ্যে বাস থামে।” রতনবাবু আরও জানান, তাঁদের এলাকায় একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ডিগ্রি কলেজ ও বেশ কিছু সরকারি অফিস আছে। তা ছাড়া রয়েছে সেনাছাউনিও। তাই বাস দাঁড়ানো জরুরি বলে তাঁর মত।
মানকরের বাসিন্দা সুকুমার পাল জানান, বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। কিছু দিন দুর্গাপুর-কলকাতা রুটের চারটি বাস দাঁড়ানোর ব্যবস্থা ছাড়া আর কিছুই হয়নি। সেই বাসগুলির আবার বুদবুদে থামায় বেশ অনীহা। তিনি বলেন, “সরাসরি পরিবহণ মন্ত্রীকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়ে চিঠি লিখেছি।” তিনি জানান, পানাগড় থেকে বাসে চড়তে হলে দুর্গাপুর থেকে অগ্রিম টিকিট কাটতে হয়। ফলে, সময় ও অর্থ, দুই-ই অপচয় হয়। স্থানীয় বিধায়ক সুনীল কুমার মণ্ডল বলেন, “কেউ আবেদন করলে সমস্যা মেটাতে চেষ্টা করব। পরিবহণ মন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলব।” |
|
|
|
|
|