|
|
|
|
অগ্নিদগ্ধ ৯ |
কীর্তনের আসরে গ্যাস লিক বিষ্ণুপুরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বিষ্ণুপুর |
উদয়াস্ত কীর্তন গানের আসর চলাকালীন রান্নার গ্যাস লিক করায় অগ্নিদগ্ধ হলেন রাঁধুনি-সহ ওই দলের ৯ জন সদস্য। প্রত্যেককে প্রথমে বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ৬০-৭০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া সাত জনকে পরে বাঁকুড়া মেডিক্যালে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার সকাল নটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণুপুর থানার ভড়া গ্রামে। অধিকাংশেরই বাড়ি ভড়া গ্রামে। মহকুমা হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার নিবেদিতা মিশ্র বলেন, “প্রাথমিক চিকিত্সার পরে সাত জনকে বাঁকুড়ায় রেফার করা হয়েছে। বাকি দু’জন ৩০ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ। তাঁদের এখানেই চিকিত্সা চলছে।”
পোড়া সিলিন্ডার।
—নিজস্ব চিত্র |
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ভড়া গ্রামের মহাদেব হাতি বলেন, “এক শিক্ষকের বাড়ির উঠোনের পাশেই চলছিল ৪০০ জন আমন্ত্রিতের রান্না হচ্ছিল। যেখানে রান্না হচ্ছিল সেখান থেকে সামান্য দূরেই বসা কীর্তনের আসরে প্রদীপ জ্বলছিল। ওভেন থেকে গ্যাস লিক হতেই ওই প্রদীপ থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামবাসীরা পাম্প চালিয়ে আগুন নেভান।” বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় টেলিফোনে জানান, অগ্নিদগ্ধরা সকলেই দুঃস্থ পরিবারের। তাই তাঁদের চিকিত্সার দায়িত্ব সরকার নেবে।
হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন রাঁধুনি নিমাই পাল। তিনি বলেন, “ওভেনের ‘নব’ খুলে যায়। হু হু করে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ায় এত বড় ঘটনা ঘটে গেল।” ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, পুজোর সামিয়ানা পুড়ে গিয়েছে। আগুন গ্রাস করেছে একটি বট গাছগাছকেও। পুজোস্থলের কাছে কাঁদছিলেন প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত মণ্ডল বললেন, “প্রতি বছর ধর্মঠাকুরের কীর্তন গানের আয়োজন করি। ৪০০ জন নিমন্ত্রিত ছিলেন। এমন অঘটন গত পঁচিশ বছরে হয়নি!” |
|
|
|
|
|