সর্বভারতীয় বৃত্তিমূলক শিক্ষার দক্ষতা প্রতিযোগিতায় ওয়েল্ডিং বিভাগে প্রথম হলেন কৃষ্ণনগরের বিপিসি আইটিআই-এর ছাত্র বিক্রমজিৎ মোদক। চরম দারিদ্রের সঙ্গে যুঝে তাঁর এই সাফল্যে গর্বিত শিক্ষকরা। অধ্যক্ষ শরদিন্দু কুন্ডু বলেন, “বুধবারই বিক্রমের এই নজরকাড়া সাফল্যের কথা জানতে পেরেছি। সর্বভারতীয় পরীক্ষায় আমাদের ছাত্র প্রথম হওয়াই আমরা গর্বিত।” |
বিক্রমজিৎ কালীগঞ্জের দেবগ্রাম এলাকার বাসিন্দা। দেবগ্রাম স্টেশনের পাশে বাবার ছোট চায়ের দোকান। সংসারের নিত্য অনটনে বিক্রমজিতের দুই ভাইয়ের পড়াশুনা বেশিদূর এগোয়নি। টিউশনি করে কষ্টেসৃষ্টে বহরমপুর কলেজ থেকে ২০০৯ সালে অঙ্কে স্নাতক হন তিনি। তারপর থেকে লাগাতার চাকরির পরীক্ষায় বসা। বার বার ব্যর্থতা। বেকার জীবনে টিউশনি থেকেই সামান্য আয়ই ভরসা। টানাটানির সংসারেই ২০১১ সালে ওয়েল্ডিং বিভাগে ভর্তি হন বিক্রমজিৎ। কিছু দিনের মধ্যেই শিক্ষকদের নজর কাড়েন তিনি। ২০১২ সালের জুলাই মাসে কলেজের পরীক্ষায় প্রথম হন। পরের বছর জানুয়ারিতে ওয়েল্ডিং-এর পরীক্ষায় রাজ্যের হয়ে সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। শিক্ষক সুশীল বিশ্বাস বলেন, “ভারত সরকারের শ্রম দফতর এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। সার্টিফিকেটের পাশাপাশি বিক্রমজিতকে দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা।” এই সাফল্যের দিনেও অবশ্য বিক্রমজিতের কপালে চিন্তার ভাঁজ। তিনি বলেন, “বাড়ির খুব খুশি হয়েছে। কিন্তু শেষমেশ চাকরিটা মিলবে তো?” এই চিন্তাতেই
রয়েছেন তিনি। |