বছর চারেক আগে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা খরচ করে বহরমপুর মানসিক হাসপাতালের নার্সদের জন্য আবাসন তৈরি করেছিল পূর্ত দফতর। কিন্তু হস্তান্তর না হওয়ায় ওই আবাসন এখন পোড়ো বাড়ি। অভিযোগ কাজ চলাকালীন ওই আবাসনে বেশ কয়েক বার চুরি যাওয়ায় হস্তান্তরপর্ব আটকে যায়। নতুন করে আবাসন সংস্কারের জন্য ৩১ লক্ষ টাকা অনুমোদনের জন্য প্রকল্প তৈরি করে গত ২৫ এপ্রিল স্বাস্থ্যভবনে জমা দিয়েছে পূর্ত দফতর। ওই দফতরের (বহরমপুর ডিভিশন-২) নির্বাহী বাস্তুকার অর্জুন মণ্ডল বলেন, “ভবন নির্মাণের পরে শৌচাগার ও জলের পাইপ লাইনের কাজ চলছিল। সেই সময়ে চুরি হওয়ায় কাজ থমকে যায়। অভিযোগও দায়ের হয়। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি।” ২০০৭ সালে আবাসন নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে বছর দুয়েকের মধ্যে তা শেষ হয়ে যায়। কিন্তু চুরির পরে কাজ থমকে গিয়েছিল। এই অবস্থায় পূর্ত দফতর (বহরমপুর ডিভিশন-২) নতুন করে আবাসন সংস্কারের জন্য প্রায় ৩১ লক্ষ টাকার প্রকল্প তৈরি গত ২৫ এপ্রিল স্বাস্থ্য ভবনে জমা দিয়েছে। কিন্তু যেখানে রাজ্য সরকারের ভাঁড়ার শূন্য, সেখানে নতুন করে ৩১ লক্ষ টাকা খরচের যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। |
তবে সম্প্রতি বহরমপুর থানা চুড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরে প্রায় ৩১ লক্ষ টাকার প্রকল্প তৈরি করে স্বাস্থ্যভবনে জমা দেওয়া হয়েছে। এর আগে ২০০৭ সালে ওই কাজ আবাসন তৈরির কাজ শুরু হয়। ওই আবাসনে ১৬টি পরিবার থাকতে পারবেন। ওই আবাসন নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অজয় চক্রবর্তী বলেন, “পূর্ত দফতর ওই আবাসনটি এখন পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেয়নি। ফলে আবাসনটি কোন অবস্থায় রয়েছে আমার জানা নেই।”
কিন্তু আবাসনে কি সত্যিই চুরির ঘটনা ঘটেছিল? তা নিয়েই পুলিশের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে। ঠিকাদার ও পূর্ত দফতরের তৎকালিন আধিকারিকদের আঁতাত প্রসঙ্গ পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। কোনও কাজ না করেই অর্থ আত্মসাৎ করে চুরির গল্প ফেঁদে থানায় অভিযোগ দায়ের হয় বলেও পুলিশের অনুমান। এ ব্যাপারে নির্বাহী বাস্তুকার অর্জুন মণ্ডল অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি। |