|
|
|
|
জেলা পরিষদের কর্মীকে মারধর তৃণমূল নেতার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
জেলা পরিষদ অফিসে সদলবলে এসে এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরের ওই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ অফিস চত্বরে। ক্ষুদ্ধ জেলা পরিষদের কর্মীরা জেলা পরিষদ ও প্রশাসনকে নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলীয় নেতার এই আচরণে অস্বস্তিতে পড়েছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
জেলা পরিষদ সূত্রে খবর, গ্রামীণ সড়ক দফতরের কম্পিউটার বিভাগের কর্মী দীপঙ্কর সামন্ত এ দিন অফিসে নিজের কাজ করছিলেন। দুপুর দেড়টা নাগাদ তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি দিবাকর জানা দলের বেশ কয়েকজন স্থানীয় নেতা ও কর্মীকে নিয়ে চড়াও হন। শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের দুটি গ্রামীণ রাস্তার
|
প্রহৃত কর্মী।
—নিজস্ব চিত্র। |
পাকা করার কাজের অনুমোদনে দেরি হচ্ছে কেন জানতে চান তিনি। গালিগালাজ করতে করতে হঠাত্ই কর্মরত দীপঙ্করবাবুকে চড় মারেন বলে অভিযোগ। মারধর করার হুমকিও দেন। অন্য সহকর্মীরা বাধা দিতে এলে দিবাকরবাবুর সঙ্গে আসা তৃণমূল কর্মীরা তাঁদের ঠেলে বের করে দেন বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে জেলা পরিষদ অফিসে আসেন অতিরিক্ত জেলাশাসক ও মহকুমা পুলিশের পদস্থ কর্তারা। তাঁদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে দীপঙ্করবাবু-সহ জেলা পরিষদের কর্মীরা সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতিকে অভিযোগ জানান।
অভিযুক্ত দিবাকর জানা মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, “শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির তরফে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা পাকা করার জন্য জেলা পরিষদে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেগুলি এখনও অনুমোদন পায়নি। অথচ, জেলা পরিষদের পূর্ত বিভাগের ওই কর্মী যে এলাকার বাসিন্দা সেই এলাকার অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ দুটি রাস্তাকে অনুমোদন করিয়ে নিয়েছেন।” তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “এলাকার জনপ্রতিনিধিদের না জানিয়েই ওই কর্মী এই কাজ করেছেন। এর কারণ জানতে চাইলে ওই কর্মী দুর্ব্যবহার করেন। প্রতিবাদ করলে ঠেলাঠেলি হয়। মারধরের অভিযোগ ঠিক নয়।”
দীপঙ্করবাবু অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধক্ষ্য শেখ সুফিয়ান বলেন, “শুধুমাত্র সন্দেহের বশে ওই কর্মচারীকে নিগ্রহ করা হয়েছে। এটা সমর্থন করা যায় না।” জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি তথা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক মামুদ হোসেন বলেন, “জেলা পরিষদের অফিসের মধ্যে কর্মচারীকে নিগ্রহের ঘটনা নিন্দনীয়। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|