আইপিএলে সিক্সে আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটা আজ খেলতে নামব। যার আগে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স টিমের মধ্যে একটা টগবগে, ইতিবাচক মেজাজ দেখতে পাচ্ছি। ইডেনে রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচটা কার্যত সেমিফাইনাল। ফাইনালে উঠতে যে লড়াই আমাদের জিততেই হবে। ড্রেসিংরুমে ছেলেদের চনমনে ভাবটা দেখার পরে আমি নিশ্চিত, কাজটা ওরা করে দেখাবে।
রাজস্থান অবশ্য খুব ভাল টিম। অসাধারণ খেলে টুর্নামেন্টের এই পর্যায়ে পৌঁছেছে। কোটলার এলিমিনেটরে সানরাইজার্সের মতো শক্তিশালী দলকে ওরা যে ভাবে হারাল, সেটাই বলে দেয় দল হিসাবে রাহুলরা কতটা জমাট। আসলে টুর্নামেন্টের এই পর্যায়ে পৌঁছে সাফল্য পাওয়ার জন্য ক্রিকেটীয় দক্ষতা যতটা জরুরি, ততটাই জরুরি প্রবল চাপের মুখে স্নায়ু শান্ত রাখতে পারা। আর সেটা তখনই সম্ভব, যখন দলের মধ্যে একটা আদর্শ পরিবেশ তৈরি থাকে।
তবে প্রতিপক্ষ যতই শক্তিশালী হোক, একটা ব্যাপার আমি নিজে দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি যে, যুদ্ধে নামার আগে প্রতিপক্ষকে নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণের বদলে নিজেদের শক্তির উপর ফোকাস করাটাই আখেরে বেশি কাজে দেয়। রণকৌশল অবশ্যই থাকবে। নির্দিষ্ট কিছু পরিকল্পনাও তৈরি করা হবে। কিন্তু সেই প্রস্তুতির বেশিটাই করতে হবে নিজেদের টিমের পরিপ্রেক্ষিতে। মানে রাজস্থান কী করতে পারে সেটা নিয়ে ভাবার বদলে জেতার জন্য আমাদের মুম্বইয়ের কী কী করা দরকার, সেটাই ঠিক করে রাখতে হবে।
আমাদের দুশ্চিন্তা বলতে একমাত্র সচিনের চোট। এই ম্যাচের আগে ফিট হয়ে ওঠার জন্য সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়ে চলেছে সচিন। আমরাও প্রার্থনা করছি, ও যাতে দ্রুত সেরে ওঠে। কারণ সচিন টিমে থাকা মানে মাঠে গোটা দল বাড়তি উদ্দীপ্ত থাকা। সচিন থাকা মানে ওর সমস্ত অভিজ্ঞতা আর ক্রিকেটীয় বুদ্ধির সাহায্য পাবে টিম। তবে সমস্ত চেষ্টা সত্ত্বেও সচিন যদি শেষ পর্যন্ত আজ খেলতে না পারে, তা হলে বড় মঞ্চে জ্বলে ওঠার আরও একটা সুযোগ পাবে আদিত্য তারে। ছেলেটা এ পর্যন্ত যে ক’টা ম্যাচ খেলেছে, তাতে নজর কেড়েছে। অবশ্য ইডেনে ধবল কুলকার্নিকেও পাব না আমরা। ধর্মশালায় পাঁজরে টান ধরেছিল ওর।
ইডেনে নামার জন্য মুম্বই ইন্ডিয়ান্স মুখিয়ে আছে। এ বারের আইপিএলে ইডেনে খেলার কিছু সুখস্মৃতি রয়েছে আমাদের টিমের। এখানে শেষ ম্যাচে কেকেআর-কে আমরা পাঁচ উইকেটে হারিয়েছিলাম। যে জয় রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে নামার আগে আমাদের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। আমাদের বোলিং যথেষ্ট শক্তিশালী। আজ শুধু বোলারদের প্রত্যেককে সেরা ফর্মটা বের করে এনে আগুন ঝরাতে হবে। কারণ খেলাটা টি-টোয়েন্টি। এখানে প্রতিপক্ষের মাত্র এক বা দু’জন ব্যাটসম্যানই ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়ে চলে যেতে পারে। তাই বোলিং বিভাগের একজোট হয়ে আক্রমণ শানানোটা ভীষণ জরুরি। সেটা যদি ঠিকঠাক হয়, তা হলে বাকিটা আপনাআপনিই হবে। |