নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দু’চার হাজার নয়, পুলিশ ১৫ লক্ষ টাকা দাবি করেছেল বলে অভিযোগ। না-দেওয়ায় থানায় নিয়ে গিয়ে পেটানোর অভিযোগ ছিল। দু’বছর আগেকার সেই ঘটনায় রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশ মেনে তিন পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করল রাজ্য সরকার। ওই মামলায় অভিযোগকারীকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার সুপারিশ করে কমিশন। রাজ্য জানায়, সেই সুপারিশও রূপায়ণ হচ্ছে।
সুদীপ্ত রায় নামে হাওড়ার আমতার এক বাসিন্দা ২০১১ সালে কমিশনে অভিযোগ জানান, স্থানীয় থানার তিন অফিসার মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাঁর কাছে ১৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন। তিনি দিতে রাজি না-হওয়ায় তাঁকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। কমিশন তদন্ত করে জানতে পারে, সুদীপ্তবাবুর অভিযোগ ভিত্তিহীন নয়। কমিশন ২০১২ সালের ২৩ জুলাই রাজ্য সরকারকে সুপারিশ করে, আমতা থানার তৎকালীন ওসি শুভ্রদীপ মজুমদার এবং দুই এএসআই শান্তনু ঘোষ ও পরিমল দত্তের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চালানো হোক। সেই সঙ্গে সুদীপ্তবাবুকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫০ হাজার দেওয়ারও সুপারিশ করে কমিশন। দু’মাসের মধ্যে ওই সব সুপারিশ রূপায়ণ করার কথা ছিল। কিন্তু সরকার তা করেনি।
বেশ কয়েক মাস কেটে যাওয়ার পর কমিশন সরকারের কাছে জানতে চায়, ওই সুপারিশ রূপায়ণের ব্যাপারে তারা কী ভাবছে। চলতি বছরের ২০ মার্চ কমিশনের কাছে দু’মাস সময় চায় সরকার। কমিশন সেই আর্জি মঞ্জুর করে। কমিশনের যুগ্মসচিব সুজয়কুমার হালদার বৃহস্পতিবার জানান, রাজ্য সরকার এ দিনই কমিশনকে লিখিত ভাবে জানিয়েছে, তারা কমিশনের সুপারিশ মেনে আমতা থানার তৎকালীন ওসি এবং দুই এএসআই-এর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। সুপারিশ মেনে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে সুদীপ্তবাবুকে। |