হলদিয়া বন্দর থেকে এবিজি বিদায়ের মূল্য আমূল বদলে দিচ্ছে রাজ্যের বন্দর অর্থনীতিকে। যে-দরে এবিজি মাল খালাস করত, এখন তার চেয়ে অনেক বেশি দর হাঁকছে অন্য সংস্থা। আর তাতেই উদ্বিগ্ন বন্দর কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, চড়া দরের কারণ খতিয়ে দেখা জরুরি। সংশ্লিষ্ট মহলের অভিযোগ, এর পিছনে রয়েছে ব্যবসার খরচের বাইরেও ‘অন্য’ খরচ। যদিও সেটা কী, তা নিয়ে মুখে কুলুপ সকলেরই।
এবিজি ‘বিতাড়ন’-এর জেরে হলদিয়ার ২ ও ৮ নম্বর বার্থের মাল খালাসের চড়া দর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও, তার কার্যকারণ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি হলদিয়া বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান মণীশ জৈন। বৃহস্পতিবার সিআইআইয়ের সভার ফাঁকে তিনি বলেন, “বিষয়টি উদ্বেগের। কেন এটা হচ্ছে দেখতে হবে।”
এখন প্রতি টন মালে জাহাজের কাছ থেকে নেওয়া হয় ২৩৬ টাকা। এর মধ্যে মাল খালাসে নিযুক্ত সংস্থাকে একটা অংশ দেয় বন্দর। এবিজি-র যৌথ উদ্যোগ সংস্থা গড়ে টন প্রতি ৭৫ টাকা পেত। মাস কয়েক আগে একটি বেসরকারি সংস্থা প্রায় ২৫০ টাকা দর দেয়। ক্ষতি হবে বলে সে প্রস্তাব বাতিল করেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি আর এক সংস্থা ১৭০ টাকার কিছু বেশি দর দিয়েছে। বন্দর সূত্রে দাবি, এই দর ১৩০-১৩৫ টাকার বেশি হতে পারে না। আর সেখানেই প্রশ্ন উঠছে, অন্যান্য কারণের পাশাপাশি ‘রাজনীতির চাপে’ বাড়তি কর্মী নিয়োগের বাধ্যবাধকতার জন্যই মাল খালাসকারী সংস্থার খরচ বেশি হচ্ছে কি না। ২৭ মে কলকাতা বন্দরের পরিচালন পর্ষদের বৈঠকে ওই দর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। |