|
|
|
|
জলসঙ্কট মেটেনি, প্রতিবাদে বিক্ষোভ সিউড়িতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি |
শহরে জলসঙ্কট মেটাতে শুরু হওয়া প্রকল্পের কাজ এখনও শেষ হয়নি। শুধু তাই নয়, একলাখি বাড়ি প্রকল্পের কাজও শেষ করতে পারেনি প্রশাসন। এই ক্ষোভে বৃহস্পতিবার সিউড়ি পুরসভার সামনে বিক্ষোভ দেখালেন শহর কংগ্রেস কমিটির নেতা-কর্মীরা। দুপুর ১টা নাগাদ মাটির কলসিতে দাবিগুলি সেঁটে তাঁরা একটি বড় মিছিল করে পুরসভায় আসেন। পাশাপাশি পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে তাঁরা বেনিয়মের অভিযোগও তোলেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুরসভার গেটের সামনে আগে থেকে মজুত ছিল পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের সবাইকে ভেতরে ঢুকতে না দেওয়ায় ঠেলাঠেলি হয়। পরে কয়েকজন প্রতিনিধি গিয়ে পুরপ্রধানের কাছে তাঁদের দাবি পত্রটি জমা দেন।
কংগ্রেসের দাবি, ২০১০ সালে আগের পুরবোর্ডের সময়ে যে জল প্রকল্পের কাজ অনেক এগিয়ে গিয়েছিল, সেই প্রকল্পের কাজ এখনও শেষ হয়নি। কংগ্রেসের শহর সভাপতি চঞ্চল চট্টোপাধ্যায় এবং সিউড়ি ১ ব্লকের সভাপতি আসীম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ২০০৭ সালে এই শহরে জলপ্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হয়েছিল ১০.৬৪ কোটি টাকা। তাঁদের দাবি, ওই পুরবোর্ডের সময়ে এই খাতে ৪.৭৬ কোটি টাকা পাওয়ার পরে সেই টাকা খরচ করে জলপ্রকল্পের কাজ যথাযথ এগিয়েছিল। |
|
সিউড়ি পুরসভার সামনে কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকেরা। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। |
এর পরেই ক্ষমতায় অসে তৃণমূল। কিন্তু সময় গড়ানের সঙ্গে সঙ্গে ওই প্রকল্পের ব্যয় বরাদ্দ বেড়ে দাঁড়ায় ১৪.১৭ কোটিতে এবং ওই খাতে আরও ৬.৮৪ কোটি টাকা বর্তমান বোর্ড পেলেও কাজ সে ভাবে এগোয়নি। এখনও বিভিন্ন ওয়ার্ডে পাইপ লাইনের কাজ শেষ হয়নি। ফলে জল সমস্যা জটিল হচ্ছে। নেতাদের অভিযোগ, “একলাখি বাড়ি প্রকল্পেও কোন কাজ করেনি পুরসভা। বরং এই দুই খাতে আসা সরকারি টাকা অন্য খাতে খরচ করা হচ্ছে এবং এই অর্ধ সমাপ্ত কাজ করে তড়িঘড়ি আগামী ৩০ জুন প্রকল্পটি উদ্বোধন করে মুখরক্ষা করতে চাইছে পুরপ্রধান।”
তবে শুধু এ দিনের বিক্ষোভই নয়। এই সব বিষয় নিয়ে সিউড়ি পুরসভার বর্তমান বোর্ডের ব্যর্থতা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পথসভা করছে কংগ্রেস। পাল্টা প্রচারে নেমেছে তৃণমূলও। তৃণমূল পুরপ্রধান উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় অবশ্য কংগ্রেসের দাবি মানতে চাননি। এক খাতের টাকা অন্য খাতে ব্যবহার করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উজ্জ্বলবাবু। তাঁর পাল্টা দাবি, “গত বোর্ডের আমলে ওই প্রকল্পের কাজ প্রায় কিছুই হয়নি। সেই সমস্যা মেটাতেই বেশ কিছু সময় লেগেছে। তারপর থেকেই লাগাতার কাজ চলছে। যেটুকু সময় বেশি লেগেছে সেটা কারিগরি সমস্যার জন্য। দু’টি ওভারহেড ও দু’টি ভূগর্ভস্থ জলাধারের কাজ শেষ। যে যে ওয়ার্ডে পাইপ লাইন রয়েছে, জল সরবরাহ করা হয়। আমরা প্রথমে সেইগুলিতে পর্যাপ্ত জল পৌঁছে দিতেই আগে উদ্বোধন করতে চাই। পাশাপাশি পাইপ লাইনের কাজ চলবে।” একলাখি বাড়ি প্রকল্পের কাজ না হওয়া প্রসঙ্গেও গত বোর্ডকে দায়ী করেছেন পুরপ্রধান। তিনি বলেন, “অন্যন্য পুরসভায় একাজ আগেই শেষ হয়েছে। আমরা আসার পরেই ২৭০টি এই ধরনের বাড়ি তৈরি হয়েছে। বাকিগুলিরও দরপত্র ডাকা হয়েছে।” |
|
|
|
|
|