|
|
|
|
সম্পাদক সমীপেষু... |
কে আই টি’কে জাদুঘরে পাঠাচ্ছেন! |
বাজার অথবা জাদুঘর (১৭-৫) শিরোনামে সম্পাদকীয় নিবন্ধে কলকাতা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (কে আই টি) সম্বন্ধে যে কটূক্তি করা হয়েছে, তা পড়ে এক জন নির্মাণবিৎ এবং কলকাতাপ্রেমী হিসেবে ব্যথিত হয়েছি। ২০১১ সালে জন্মের পর থেকে এই সংস্থাটি কলকাতার উন্নতির জন্য যা যা কাজ করেছে এবং যে দক্ষতার সঙ্গে করেছে তার ধারেকাছে পরবর্তী প্রতিষ্ঠানগুলি আসতে পারেনি। আজকে যে সব রাজপথ কলকাতার গর্ব (যেমন, চিত্তরঞ্জন এভিনিউ, যতীন্দ্রমোহন এভিনিউ, বিবেকানন্দ রোড, রাসবিহারী এভিনিউ, সাদার্ন এভিনউ, চেতলা সেন্ট্রাল রোড, বেলেঘাটা-কাঁকুড়গাছি) অঞ্চলের সমস্ত নতুন রাস্তা— সেগুলো সব কে আই টি-র তৈরি। যে সব অঞ্চল কে আই টি তৈরি করেছে তাদের মধ্যে আছে যেমন, বালিগঞ্জ, ভবানীপুরের বকুলবাগান অঞ্চল, বেলেঘাটা-কাঁকুড়গাছি। যথানিয়মে যত্ন করে পাতা পয়ঃপ্রণালী জলের পাইপ, চওড়া রাস্তা ইত্যাদির দরুন আজকে কে আই টি-সৃষ্ট অঞ্চলগুলির জমির দাম সব চেয়ে বেশি। কলকাতার আর এক গর্ব, রবীন্দ্র সরোবর তো এখনও কে আই টি-র হাতে। আমি মেট্রো রেলে কাজ করাকালীন কে আই টি-র তৈরি নকশা দেখেছি। এত যত্ন করে তৈরি, এত পুঙ্খানুপুঙ্খ নকশা আর কোনও প্রতিষ্ঠান বানাতে পারে না। কে আই টি-র তৈরি রাস্তার সঙ্গে তুলনা করা যায় রাজ্য সরকারের পূর্ত দফতর (পি ডব্লিউ ডি)র তৈরি ডায়মন্ড হারবার রোডের। খুবই হতশ্রী রাস্তা। পি ডব্লিউ ডি-র দোষ নেই। রাজ্য সরকার থেকে তাদের যে কাজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, অর্থাৎ শহরের রাস্তা তৈরি করা, তাতে তাদের কোনও অভিজ্ঞতাই ছিল না। একই সময়ে তৈরি কে আই টি-র দেশপ্রাণ শাসমল রোডের চেহারাটাই আলাদা। তার কারণ, কে আই টি-র শতাব্দীর কলকাতা-উন্নয়নের অভিজ্ঞতা। তাকে জাদুঘরে পাঠানো! |
তথাগত রায়। কলকাতা-৭৩
|
পূতিগন্ধময় আদিগঙ্গা |
|
ছবি: স্বপনকুমার গোস্বামী |
চেতলা হাট রোড থেকে কালীঘাট মন্দিরের পথে আদিগঙ্গা পার হওয়ার খেয়াঘাট আছে। ঘাট নিলাম হয়। ইজারাদার খেয়া পার করার জন্য আট আনা পয়সা নেয়। নোংরা পূতিগন্ধময় আদিগঙ্গা ভাটার সময়ে জলহীন হয়ে পড়ায় তিনটি নৌকা বেঁধে দিয়ে পারাপারের পথ করা হয়। আদিগঙ্গায় এই নৌকায় উঠে পথ চলার ব্যাপারটা বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ এবং রোগীদের পক্ষে ভীতিপ্রদ। কালীঘাট সংলগ্ন এই অংশে একটি পাকা কংক্রিটের সেতুর দাবি অনেক দিনের। এলাকার জনপ্রতিনিধি তথা মন্ত্রিবর একটু সক্রিয় হলেই চেতলা থেকে কালীঘাট মন্দির যাওয়ার পাকা সেতু নির্মিত হতে পারে। তাতে এলাকার মানুষ উপকৃত হবেন। |
স্বপনকুমার গোস্বামী।কলকাতা-২৭ |
|
|
|
|
|