|
|
|
|
খেলার খবর: আরএইউসি-কে সুবিধা দেওয়ার নালিশ |
|
সদর লিগে এ বার হচ্ছে না অবনমন
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
|
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদর ফুটবল লিগে এ বার অবনমন কার্যকর হচ্ছে না। ফলে, সুপার, প্রথম ও দ্বিতীয় ডিভিশনে অবনমনের আওতায় পড়া দু’টি করে দল ফের ওই সব ডিভিশনেই খেলতে পারবে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক গৌরীশঙ্কর ভট্টাচার্য এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
গৌরীশঙ্করবাবু জানান, গত মরসুমে সুপার ডিভিশনে সাইয়ের সঙ্গে একটি ম্যাচে দল তুলে নেয় আরএইউসি। রেফারির রিপোর্ট অনুসারে জেলা ক্রীড়া সংস্থা তাদের দু’টি ম্যাচ সাসপেন্ড করে। আরএইউসি আদালতের দ্বারস্থ হলেও সেখানে তারা হেরে যায়। কিন্তু ক্লাবের তরফে জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাছে শাস্তি তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়। ক্লাব কর্তারা ক্ষমাও চান। ক্রীড়া সংস্থার এগজিকিউটিভ কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ওই ক্লাবের সাজা মকুব করে দেওয়া হবে।
জেলা ক্রীড়া সংস্থা সূত্রে খবর, এর পরেই অবনমনের আওতায় থাকা সমস্ত ক্লাব সোচ্চার হয়, তারাও যে ডিভিশনে খেলছে সেখান থেকে নামানো যাবে না। কার্যত তাদের চাপেই সমস্ত অবনমন কার্যকর না করার সিদ্ধান্ত হয়। তবে যে দলগুলি চ্যাম্পিয়ন হয়ে উঠেছে, তাদের নতুন ডিভিশনে খেলতে দেওয়া হবে। অর্থাৎ, তিনটি ডিভিশনে দলের সংখ্যা আগের তুলনায় বাড়বে।
আরএইউসি-কে এমন সুবিধা দেওয়া হল কেন? জেলা ক্রীড়া সংস্থার ফুটবল সচিব দেবাশিস কোঙারের যুক্তি, “ক্লাবটি ৭৬ বছরের পুরনো। তাদের অবনমনে পাঠাতে বাধ্য করলে হয়তো তারা আর দলই করবে না। অতীতে এমন করে অনেক ক্লাবই উঠে গিয়েছে। তাই আরএইউসি ক্ষমা চেয়ে নেওয়ায় তাদের অবনমন রদ করা হয়েছে।” সেক্ষেত্রে অন্য ক্লাবগুলিও তো এর পরে নানা দাবি আদায়ে ক্রীড়া সংস্থাকে চাপ দিতে পারে, সংস্থার সাধারণ সম্পাদক পীরদাস মণ্ডলকে এই প্রশ্ন করা হলে তাঁর বক্তব্য, “এই সিদ্ধান্ত এগজিকিউটিভ কমিটির। তাই এ ব্যাপারে আমাদের কিছু করার নেই।”
যে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে, তার সভাপতি তুষারকান্তি ঘোষ আবার বলছেন, “এগজিকিউটিভ কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঠিকই, কিন্তু আমি এই সংস্থায় টানা ৪৫ বছর রয়েছি। নিজেদের তৈরি আইন ভেঙে এ ভাবে কোনও দিনই ক্লাবগুলির অবনমন ঠেকানো হয়নি।” কেন এমন হল, সে নিয়ে তুষারবাবু অবশ্য মন্তব্য করতে চাননি।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছেন কল্যাণ স্মৃতি সঙ্ঘের কর্তা শ্রীগোপাল বন্দোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “অতীতে আমরাও এক বার অবনমনের আওতায় পড়েছি। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত বদলানোর চেষ্টা তো আমরা করিনি। একটি বিশেষ ক্লাবকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে ক্রীড়া সংস্থা। এর ফল ভাল হবে না।”
ক্ষুব্ধ তৃতীয় ডিভিশনের দল রতন স্মৃতি সঙ্ঘও। তাদের সভাপতি সুজিত দাসের দাবি, “অবিচারের শিকার হয়ে এক বার আমরা সুপার ডিভিশন থেকে দল তুলে নিয়েছিলাম। কিন্তু নিজেদের পক্ষে সিদ্ধান্ত টানার জন্য দরবার করিনি। এ বার তৃতীয় ডিভিশন থেকে খেলা শুরু করেছি।” তাঁর প্রশ্ন, “গোলপার্থক্যে চাম্পিয়ন দলকে দ্বিতীয় ডিভিশনে খেলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আমরা রানার্স। আমাদেরও দ্বিতীয় ডিভিশনে খেলার সুযোগ দেওয়ার আবেদন জানাব। সব ডিভিশন থেকে দু’টি করে দল আগের ডিভিশনে উঠলে, তৃতীয় ডিভিশন থেকে মাত্র একটি দল কেন উঠবে?” |
|
|
|
|
|