নদীর চরে আজ সভা, বিতর্ক
ড়াই বছর পরে আজ বুধবার ফের বাঁকুড়া শহরে গন্ধেশ্বরী নদীর চরে রাজনৈতিক সভা করতে চলেছে তৃণমূল। ২০১০ সালে সতীঘাটে গন্ধেশ্বরী নদীর চরে প্রক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও পরের দিনে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করেন। নদীর শুকনো চরে সভা করা নিয়ে সে বার বিতর্কের জল গড়িয়েছিল অনেক দূর।
এ বার সভা করার কথা রয়েছে তৃণমূলের সাংসদ মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারীর। এ বারও নদীর চরে সভা করা নিয়ে ক্ষুব্ধ গন্ধেশ্বরী নদী বাঁচাও কমিটি ও জেলার বুদ্ধিজীবীদের একাংশ।
গন্ধেশ্বরী নদীর পাড়ে তৈরি তৃণমূলের সভা মঞ্চ। নদীর চরে দর্শকদের জন্য পোঁতা হয়েছে বাঁশ। ছবি: অভিজিৎ সিংহ।
বাঁকুড়ার শিল্পী সাংস্কৃতিক কর্মী ও বুদ্ধিজীবী মঞ্চের সম্পাদক মধুসূদন দরিপার আক্ষেপ, “একেই দুষণে গন্ধেশ্বরী প্রায় শেষ হওয়ার মুখে। তার উপরে জনসভা হলে ওই নদী আরও দূষিত হবে।”
তাঁর প্রশ্ন, নদীতে এই ধরনের সভা করার অনুমতিই বা রাজনৈতিক দলগুলিকে দেওয়া হচ্ছে কেন? বাঁকুড়া সদর মহকুমা শাসক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা শুধু সভায় মাইক বাজানোর অনুমতি দিয়ে থাকি। কোথায় সভা হবে না হবে তার অনুমতি দেয় পুলিশ।” বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমারের পাল্টা দাবি, “সভা কোথায় হবে, তার অনুমতি দেয় জেলা প্রশাসন। তাই এ ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই।” জেলা শাসক বিজয় ভারতী বলেন, “পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, সতীঘাটে জনসভা হবে। নদীর কথা লেখা নেই।”
তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা কো-চেয়ারম্যান অরূপ চক্রবর্তীর দাবি, “বাঁকুড়া শহরে বড় জনসভা করার জায়গা নেই। তাই ওই স্থান নির্বাচন।” যদিও বাঁকুড়া শহরের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শহরের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে সভা করার উপযোগী জায়গা কয়েকটি রয়েছে। রাজনৈতিক নেতারা সেই জায়গাগুলিও নির্বাচন করতে পারতেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.