বাঁকুড়ার শিল্পী সাংস্কৃতিক কর্মী ও বুদ্ধিজীবী মঞ্চের সম্পাদক মধুসূদন দরিপার আক্ষেপ, “একেই দুষণে গন্ধেশ্বরী প্রায় শেষ হওয়ার মুখে। তার উপরে জনসভা হলে ওই নদী আরও দূষিত হবে।”
তাঁর প্রশ্ন, নদীতে এই ধরনের সভা করার অনুমতিই বা রাজনৈতিক দলগুলিকে দেওয়া হচ্ছে কেন? বাঁকুড়া সদর মহকুমা শাসক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা শুধু সভায় মাইক বাজানোর অনুমতি দিয়ে থাকি। কোথায় সভা হবে না হবে তার অনুমতি দেয় পুলিশ।” বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমারের পাল্টা দাবি, “সভা কোথায় হবে, তার অনুমতি দেয় জেলা প্রশাসন। তাই এ ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই।” জেলা শাসক বিজয় ভারতী বলেন, “পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, সতীঘাটে জনসভা হবে। নদীর কথা লেখা নেই।”
তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা কো-চেয়ারম্যান অরূপ চক্রবর্তীর দাবি, “বাঁকুড়া শহরে বড় জনসভা করার জায়গা নেই। তাই ওই স্থান নির্বাচন।” যদিও বাঁকুড়া শহরের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শহরের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে সভা করার উপযোগী জায়গা কয়েকটি রয়েছে। রাজনৈতিক নেতারা সেই জায়গাগুলিও নির্বাচন করতে পারতেন। |