পটাশপুর
বোমায় জখম তৃণমূল নেতার ছেলে
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে সোমবার রাতে এক গোষ্ঠীর ছোঁড়া বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হলেন বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতার ছেলে। দশম শ্রেণির ছাত্র অর্জুন গিরিকে প্রথমে এগরা মহকুমা হাসপাতাল ও পরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়। পটাশপুর ২ ব্লকের আড়গোয়াল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দক্ষিণ সন্দলপুর গ্রামের ঘটনা। তৃণমূলের দক্ষিণ সন্দলপুর বুথ কমিটির সম্পাদক ইন্দ্রনাথ গিরি তাঁদের মারধর, হুমকি ও বোমায় ছেলের আহত হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ, ঘটনাস্থলে পুলিশ না আসা পর্যন্ত প্রায় তিন ঘণ্টা অর্জুনকে হাসপাতালে নিয়ে যেতেও দেয়নি অভিযুক্তেরা। গোটা ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
হাসপাতালে অর্জুন।— নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর এক কর্মীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে ধৃত বিপক্ষ গোষ্ঠীর নেতা অপরেশ সাঁতরা জামিন পেয়ে সোমবার বাড়ি ফেরেন। খুশি সমর্থকরা সে জন্য সোমবার সন্ধ্যায় প্রতাপদীঘিতে দলের ব্লক কার্যালয়ে তাঁকে সর্ম্বধনা দেন। অপরেশ সাঁতরার অনুগামী হওয়ায় সেখানে ছিলেন ইন্দ্রনাথ গিরিও। সন্দলপুর থেকে তিনিই একমাত্র সেখানে গিয়েছিলেন। অভিযোগ সেই আক্রোশেই ওই হামলা। ইন্দ্রনাথবাবুর স্ত্রী আরতিদেবী বলেন, “ছেলেমেয়ে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল। হঠাত্‌ কয়েকজন সশস্ত্র অবস্থায় মোটর বাইকে এসে হুমকি দিয়ে স্বামী কোথায় তা জানতে চায়। আমি চিত্‌কার করলে ওরা মারধর করে।” ইন্দ্রনাথবাবুর অভিযোগ, “অপরেশ সাঁতরার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ায় সাতশতমাল গ্রামের চিত্তরঞ্জন বর, শেখ মাবুদ, সিঁয়ারি গ্রামের অভিমন্যু দোলাইরা জানায় দলীয় কার্যালয়ে আমার বিচার হবে। যেতে অস্বীকার করলে ওরা মারধর করে। আমি চিত্‌কার করলে ছেলে বেড়িয়ে আসে। তখন ওরা পরপর দুটো বোমা ছোঁড়ে। তাতেই জখম হয় অর্জুন। বোমার শব্দে প্রতিবেশিরা ছুটে এলে ওরা পালায়।” এরপর ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর লোকেরা অসুস্থ অর্জুনকে হাসপাতালে নিয়ে যেতেও বাধা দেয় বলে অভিযোগ। অর্জুনের বাবা-মায়ের আক্ষেপ, “যে দলের জন্য সব কিছু করলাম সেই দলই আমাদের ছেলেকে মৃত্যুমুখে পাঠাল।” অপরেশ সাঁতরার অভিযোগ, “এমন ঘটনার আশঙ্কা করে আগেই পুলিশকে জানানো হয়েছিল। সোমবার রাতে আমার বাড়ির সামনেও ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর বাইক বাহিনী দাপিয়ে বেড়ায়। দলীয় নেতৃত্ব এঁদের নিয়ন্ত্রণ না করলে পঞ্চায়েত ভোটে দলের বড় ক্ষতি হবে।” মঙ্গলবার অপরেশবাবু থানায় লিখিত ভাবে জানান, তাঁকে ও তাঁর অনুগামীদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মামুদ হোসেন অবশ্য বলেন, “কোনও বিশৃঙ্খলা দল বরদাস্ত করবে না। পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে। আমরাও দলীয় ভাবে তদন্ত করব।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.