|
|
|
|
দু’বছরেও হয়নি বাসস্ট্যান্ড, ভোগান্তি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
তমলুক রেলস্টেশন লাগোয়া কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড তৈরির কাজ শুরুর দু’বছর পরেও শেষ হল না। তমলুক রেলস্টে শনের কাছে প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০৯ সালে বামফ্রন্ট পরিচালিত তমলুক পুরসভার উদ্যোগে কৃষি বিপণন দফতরের দেওয়া প্রায় এক একর জমিতে বাসস্ট্যান্ড তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। ওই বাসস্ট্যান্ড তৈরির কাজের শিলান্যাস করেছিলেন তত্কালীন তমলুকের সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মন শেঠ ও কৃষি বিপণন পর্ষদের চেয়ারম্যান নরেন চট্টোপাধ্যায়। ২০১১ সালের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছিল। সেই কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায় তমলুক শহরে এখনও কোন স্থায়ী বাসস্ট্যান্ড চালু হয়নি। তৃণমূল পরিচালিত তমলুক পুরসভার পুরপ্রধান দেবিকা মাইতি বাসস্ট্যান্ড তৈরির কাজে দেরির কথা স্বীকার করে বলেন, “অর্থের অভাবে মাঝে কিছু দিন বাসস্ট্যান্ড তৈরির কাজ বন্ধ থাকলেও পরে ফের টাকা বরাদ্দ হওয়ায় দ্রুত গতিতে কাজ হচ্ছে। আগামী দু’মাসের মধ্যে বাসস্ট্যান্ডের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।” |
 |
ফাঁকাই পড়ে আছে প্রস্তাবিত জমি। —নিজস্ব চিত্র। |
জেলার বাসিন্দারের অভিযোগ, পুর্ব মেদিনীপুর জেলা সদর হওয়ার পরও তমলুক শহরে কোনও স্থায়ী বাসস্ট্যান্ড গড়ে ওঠে নি। মেচেদা কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড থেকে হলদিয়াগামী রাজ্য সড়ক পথে তমলুক শহরের রাধাবল্লভপুর, মানিকতলা, শঙ্করআড়া, হাসপাতালমোর, ডিএম অফিস, নিমতলামোর প্রভৃতি মিলিয়ে বেশ কয়েকটি বাস স্টপেজ রয়েছে। তবে জনবহুল তমলুক শহরে কোনও স্থায়ী বাসস্ট্যান্ড না থাকায় ব্যস্ত সড়কের উপরে বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রীদের ওঠানামা করতে হয়। ফলে মাঝে মাঝেই দুর্ঘটনা ঘটে। তমলুক-দিঘা রেল লাইন চালু হওয়ার পর তমলুক রেল স্টেশন দিয়ে যাত্রীদের ওঠানামা বাড়ায় তমলুক রেলষ্টেশনের কাছে ২০০৭ সালে স্থায়ী বাসস্ট্যান্ড গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছিল তত্কালীন বামফ্রন্ট পুরবোর্ড। এ জন্য রেলস্টেশন লাগোয়া কৃষি বিপণন দফতরের হাতে থাকা প্রায় ২০ একর জমির মধ্যে এক একর জমি পুরসভার হাতে হস্তান্তর করা হয়। কৃষি বিপণন দফতরের উদ্যোগে বাকি জমিতে বাজার তৈরির কাজ চলছে। বাসস্ট্যান্ড তৈরির জন্য প্রথম পর্যায়ে রাজ্য পরিবহন দফতর প্রায় দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ করে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডে বাস দাঁড়ানোর চাতাল ছাড়াও বাস যাত্রীদের জন্য প্রতীক্ষালয়, জল-আলোর ব্যবস্থা, রাত্রিবাসের জন্য ঘর, শৌচাগার তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়। প্রথম দিকে দ্রুত গতিতে বাসস্ট্যান্ডের চাতাল নির্মাণের কাজ হয়। অভিযোগ ২০১০ সালের পুর নির্বাচনে জিতে পুরবোর্ডে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর বাসস্ট্যান্ড তৈরির কাজ শ্লথ হয়ে পড়ে। মাঝে বেশ কিছু দিন বাসস্ট্যান্ড তৈরির কাজ পুরোপুরি থমকে গেলেও সম্প্রতি ফের বাসস্ট্যান্ডে যাতায়াতের জন্য রেলের নয়ানজুলির উপর কালভার্ট ও যাত্রী প্রতীক্ষালয় তৈরির কাজ চলছে। পুরসভার বিরোধী দলনেতা সিপিএমের প্রদ্যোত্ দে’র অভিযোগ, বাসস্ট্যান্ড তৈরির কাজে রাজ্যের পরিবহণ দফতর ছাড়াও সাংসদ এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। দফায় দফায় বহু টাকা খরচ হলেও বর্তমান পুরবোর্ডের উদ্যোগের অভাবে কাজ সময়মতো সম্পূর্ণ হয়নি। |
|
|
 |
|
|