এ তো গেল মানসিক ভাবে টিমকে চাঙ্গা করার দাওয়াই। এর সঙ্গে চলছে সানরাইজার্সকে আটকানোর গেমপ্ল্যানও। যেমন কোটলার পিচ সম্পর্কে আগে যা ধারণা ছিল, তার ভিত্তিতে রাজস্থান শিবির মনে করছে, এক জন বিশেষজ্ঞ স্পিনার দরকার। এবং সমস্যা হল, এত দিন যে দুই স্পিনার ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েছেন, সেই চান্ডিলা এবং চহ্বাণ দু’জনেই স্পট ফিক্সিংয়ের জালে জড়িয়ে আপাতত হাজতে। ফলে বিশেষজ্ঞ স্পিনারের জন্য এখন বিদেশিদের দিকে তাকাতে হচ্ছে দ্রাবিড়কে। এবং ভাঙতে হচ্ছে সাধের উইনিং কম্বিনেশন। আপাতত ঠিক আছে, ব্র্যাড হগকে স্পিনার হিসাবে খেলানো হবে। সেক্ষেত্রে বিদেশিদের মধ্যে থেকে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হজ বা পেসার ফকনারের এক জনকে বসতে হবে। যিনি বসবেন, সেই বিভাগে দলের শক্তি কমতে বাধ্য। ফকনারের আবার এ বার দু’টো পাঁচ উইকেট নেওয়া ইনিংস সানরাইজার্সের বিরুদ্ধেই। জয়পুর আর হায়দরাবাদে। সুতরাং সমস্যা আর সমস্যা দ্রাবিড়দের ডাগআউটে।
রাজস্থানের প্রতিদ্বন্দ্বী কিন্তু প্রায় নীরবেই এ দিন প্র্যাক্টিস সেরে নিল। এ বারের আইপিএলেই আত্মপ্রকাশ এই ফ্র্যাঞ্চাইজির। হায়দরাবাদ সানরাইজার্স কিন্তু জন্মলগ্ন থেকেই চমকে দিচ্ছে। হায়দরাবাদের সব চেয়ে প্লাস পয়েন্ট বোলিং। যার সঙ্গে যোগ হয়েছে শিখর ধবন, পার্থিব পটেল, ক্যামেরন হোয়াইটদের ব্যাটিং ফর্মও।
ক্রিকেটীয় নিরিখেও বুধবারের ম্যাচ কিন্তু কম আকর্ষণীয় হবে না। দেখা যাবে ওয়াটসন বনাম স্টেইনের লড়াই। আরও একবার দেখা যাবে বর্ষীয়ান দ্রাবিড়কে। কিন্তু রাজস্থান যদি প্লে অফের এই ম্যাচে হেরে যায়, তা হলে সম্ভবত বাইশ গজে আর দেখা যাবে না ‘দ্য ওয়াল’-কে।
এই আবহে কাল কিছুটা হলেও যে অ্যাডভান্টেজ সানরাইজার্স, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর কোচ টম মুডির এখন অস্ত্র হল টিম স্পিরিট। বলছিলেন, “আমার লক্ষ্যই ছিল এক দল ক্রিকেটারকে একটা গ্রুপে বদলে দেওয়া। আমরা সেই লক্ষ্যের দিকেই এগোচ্ছি।”
লক্ষ্যে কারা পৌঁছতে পারে, সেটা বোঝা যাবে আর ২৪ ঘণ্টা বাদেই।
|
রয়্যাল-সমস্যার দুই ছবি |
ডাগআউটে... |
আদালতে... |
• কোটলার পিচের চরিত্র অনুযায়ী
এক জন বিশেষজ্ঞ স্পিনার দলে চাই-ই।
• হাতে ভারতীয় স্পিনার কেউ নেই।
চান্ডিলা-চহ্বাণ, দুই প্রধান স্পিনারই স্পট ফিক্সিং জালে।
• বাধ্য হয়ে অঙ্কে উঠে এসেছে বর্ষীয়ান ব্র্যাড হগের নাম।
• হগ খেললে ভাঙতে হবে বিদেশিদের সেট কম্বিনেশন।
হজ বা ফকনারের এক জনকে বাদ পড়তে হবে।
• হজ না খেললে ব্যাটিং দুর্বল হবে, ফকনার না খেললে বোলিং। |
• শ্রীসন্ত-চান্ডিলা-চহ্বাণের আরও পাঁচ দিন পুলিশ হেফাজত।
• রাজস্থান রয়্যালস চেয়ারম্যানের পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ।
• শ্রীসন্তকে নিয়ে জয়পুরে রাজস্থানের টিম
হোটেলে পুলিশি অভিযান।
• শ্রীসন্তের সামনেই তাঁর প্রেমিকা হিসাবে
পরিচিত এক মহিলাকে পুলিশের জেরা।
• স্পট ফিক্সিংয়ের অর্থেই দু’লক্ষ টাকার
কেনাকাটা করার কথা কবুল শ্রীসন্তের। |
|