|
|
|
|
রাজস্থানে ঘরে বন্দি মালদহের ৩৩ মজুর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
ইলেক্ট্রিক টাওয়ারের কাজ করতে যাওয়া মালদহের ৩৩ জন দিনমজুরকে রাজস্থানের জয়পুরের বালাপুরা গ্রামে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে আগ্রার এক ঠিকাদার গোষ্ঠীর নামে। তাদের আটকে রেখে ওই ঠিকাদার গোষ্ঠী দিনমজুর সরবরাহকারী কাছে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে হুমকি দেয়, টাকা না পেলে এক জন দিনমজুরকেও জয়পুর থেকে ছাড়া হবে না। বিষয়টি নিয়ে দিনমজুর সরবরাহকারী রাজ্যের পযর্টন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী ও জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন। মন্ত্রী বলেন, “দিল্লির রেসিডেন্ট কমিশনার ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেছি। রাজস্থান সরকারের হস্তক্ষেপ চাওয়া হবে।” জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “বিষয়টি জানার পর জয়পুরের পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। জয়পুর পুলিশ ওই দিনমজুরদের উদ্ধার করে আমাদের হাতে তুলে দেবে। জেলা পুলিশের তরফে ৩৩ জন দিনমজুরের পরিচয়, ছবি-সহ ফ্যাক্স সেখানে পাঠানো হয়েছে।” তবে মজুর সরবরাহকারী ব্যক্তির সঙ্গে ঠিকাদার সংস্থার ঠিক কী চুক্তি হয় বা কত টাকা এখনও পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে তা পুলিশ খতিয়ে দেখা শুরু করেছে।
দিনমজুর সরবরাহকারী মালদহ শহরের মহেশমাটির বাসিন্দা সাগ্নিক সাহার সঙ্গে আগ্রার একটি সংস্থার দিনমজুর সরবরাহ নিয়ে চুক্তি হয়। ঠিক হয়, ৩৩ জন দিনমজুররের জন্য প্রতিদিন আগ্রার ওই সংস্থা সাগ্নিক সাহাকে ১৯৬৩০ টাকা করে দেবে। এবং দিনমজুরেরা জয়পুরে পৌঁছানোর পরই ১৫ দিনের অগ্রিম কাজের টাকা দেবে। মালদহের নঘরিয়া, মিল্কি, মানিচক থেকে দিনমজুর সংগ্রহ করে গত ৩ মে ওই সরবরাহকারী রাজস্থানে পাঠায়েছিলেন। দিনমজুরেরা আগ্রায় পৌঁছানোর পর সাগ্নিক টাকা চাইতেই তাঁকে ঘোরানো শুরু হয়। সোমবার উল্টে, তাঁর কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে দিনমজুরদের আটকে রাখা হয়। শেষে সাগ্নিকবাবু ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করে, মন্ত্রী ও পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন। সাগ্নিক জানান, প্রথম শুনি ৪০ ফুটের বদলে ৮০ ফুটের টাওয়ারের কাজ করানো হচ্ছে। শ্রমিকেরা আপত্তি করলে তাঁদের আটকে রাখা হয়। খেতে দেওয়া হয়নি, মারধর করা হয়। ফোনও কেড়ে নেওয়া হয়। জয়পুরে পুলিশকে টেলিফোন করে সাহায্য মেলেনি। ওই ঠিকাদার সংস্থার দাবি, ওই ৩৩ জন ঠিকমত কাজ করতে পারছেন না। তাই লোকসান হয়েছে। ৫ লক্ষ টাকা না দিলে তাঁদের ছাড়া হবে না। এক আত্মীয়কে শ্রমিকদের সঙ্গে পাঠাই। তিনিই টেলিফোন করে সব জানিয়েছেন। সাগ্নিকবাবু বলেন, “দিনমজুরদের পরিবারের সদস্যরা রোজ বাড়ি আসছে। ওঁরা উদ্বিগ্ন। আমিও কিছু করতে পারছি না। তাই এখন পুলিশ-প্রশাসনই ভরসা।” |
|
|
|
|
|