একের পর এক কাচ ভেঙে পড়ার পরে কলকাতা বিমানবন্দরের নয়া টার্মিনালে মঙ্গলবার দেখা দিল নতুন এক সমস্যা। এ বার বিকল হয়ে গেল বাতানুকূল ব্যবস্থা। প্রায় ৪৫ মিনিট এসি বন্ধ থাকার জেরে বিমান সংস্থার যোগাযোগ ব্যবস্থায় দেখা দিল সমস্যা, ঠান্ডা ভাব কেটে মেঝে ভিজে গিয়ে হল কাদা-কাদা ভাব, এমনকী বন্ধ থাকল চেক-ইন কাউন্টারে মালপত্র ওজন করার যন্ত্রও।
এ দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ এসি বিগড়ে যাওয়ার পরে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় নতুন টার্মিনালে বিমান সংস্থার ছোট ঘরগুলিতে। বাইরে থেকে পাখা জোগাড় করে সেখানে হাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। তার চেয়েও বড় সমস্যা দেখা দেয় কাচ আর মেঝে নিয়ে। টার্মিনালের ভিতরে ঠান্ডা ভাব কেটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাচ ও মেঝেতে ঘামের মতো বিন্দু বিন্দু জল জমতে শুরু করে। ঝাপসা হয়ে যায় কাচ। কিছু পরে দেখা যায়, ভিজে গিয়েছে মেঝে। যাত্রীদের পায়ে পায়ে কাদা। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেয়ে যান কর্তৃপক্ষ।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, বিকেল চারটের পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। মেঝে পরিষ্কার রাখার যে বিশেষ গাড়ি আনা হয়েছে, তা দিয়ে ক্রমাগত চলে মেঝে সাফাইয়ের কাজ। যেখান থেকে যাত্রীদের বোর্ডিং কার্ড দেওয়া হয়, বিমান সংস্থার সেই চেক-ইন কাউন্টারে মালপত্র ওজনের যন্ত্র কাজ করা বন্ধ করে দেয়। যাত্রীদের বোর্ডিং কার্ড দিতে অসুবিধা হয়।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি করা হয়েছে, সিইএসসি থেকে যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়, তা এ দিন দুপুরে আচমকাই বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুৎ ফের আসে সওয়া তিনটে নাগাদ। যদিও সিইএসসি-র দাবি, তাদের তরফে বিমানবন্দরে বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা ছিল না। কর্তৃপক্ষের যুক্তি, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় জেনারেটর চালাতে হয়। কিন্তু, জেনারেটরের সাহায্যে বাতানুকূল যন্ত্র চালানো যায় না। এ ছাড়াও বিমান সংস্থার যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য যে অ্যান্টেনা আছে, তার সংযোগও জেনারেটরের সঙ্গে নেই। সেই কারণে এই বিপত্তি। |